
নিউজ ডেক্স
চট্টগ্রামে বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা বন্দরের বহির্নোঙরে পণ্য খালাস ব্যাহত

দিনভর বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে জাহাজ থেকে পণ্য খালাস ব্যাহত হয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত থেমে থেমে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়।
এ কারণে বহির্নোঙরে অবস্থানরত বড় জাহাজ থেকে লাইটার জাহাজে পণ্য লোড করা যায়নি। এদিকে নগরীর নিচু এলাকাগুলোর অনেক স্থানে পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে নগরবাসীকে। পানি উঠেছে সড়ক, বাসাবাড়ি ও হাসপাতালে।
আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালের নিচতলায় পানি ওঠায় চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে রোগী ও স্বজনদের। পতেঙ্গাস্থ চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিস জানায়, গতকাল বিকাল ৩টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় ৪০ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বাংলাদেশের ওপর মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় আরও

কয়েকদিন বৃষ্টিপাত হতে পারে। স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, বৃষ্টির পানিতে সকালে নগরীর নিচু এলাকার সড়ক ও বাসাবাড়িতে পানি ওঠে। কোথাও কোথাও হাঁটুপানি জমে যায়। বহদ্দারহাট, চকবাজার, ডিসি রোড, আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকা, শুলকবহর, চান্দগাঁওসহ বিভিন্ন এলাকার বাসাবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি প্রবেশ করায় অনেকেই বিপাকে পড়েছেন। আসবাবপত্র ও মূল্যবান জিনিসপত্র নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি মানুষকে বেশ কয়েক ঘণ্টা থাকতে হয় গৃহবন্দি অবস্থায়। নগরীর প্রধান সড়কের বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, ষোলশহর, জিইসি মোড় ও ওয়াসা মোড়সহ বিভিন্ন স্থানে নালা উপচে পানি সড়কে উঠে পড়ায় ব্যাহত হয় যানবাহন চলাচল। তবে সরকারি ছুটির দিন হওয়ায় বাসাবাড়ি থেকে মানুষ তেমন একটা বের হননি। জরুরি কাজে যারা বেরিয়েছেন, তাদের

বিভিন্ন সড়কে পানি মাড়িয়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে হয়। নগরীর আতুরার ডিপো এলাকার বাসিন্দা খুরশিদ আলম বলেন, ‘কয়েক বছর ধরেই সামান্য বৃষ্টিতে মুরাদপুর মোড় ও ষোলশহর দুই নম্বর গেট এলাকা সমুদ্র হয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে ফ্লাইওভার নির্মাণের পর এবং খাল-নালা সংস্কার কাজ শেষ না হওয়ায় এ এলাকার জলাবদ্ধতা অনেকটা স্থায়ী রূপ নিয়েছে। বিষয়টি দেখার কেউ নেই। প্রতিবছর বর্ষায় পানি মাড়িয়ে অবর্ণনীয় দুর্ভোগের মধ্যে চলাচল করতে হয়।’ এদিকে গতকাল সকালের দিকে পানি ওঠে আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালের নিচতলায়। এ সময় হাসপাতালটির রোগী, রোগীর সঙ্গে থাকা আত্মীয়স্বজন ও চিকিৎসকরা বিপাকে পড়েন। হাঁটুপানি মাড়িয়ে তাদের হাসপাতালের ওপরের তলাগুলোতে যেতে হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিচতলার রোগীদের অন্যত্র সরিয়ে নেয়। বন্দরে

পণ্য খালাস ব্যাহত : চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে অপেক্ষমাণ বড় আকারের (মাদার ভেসেল) জাহাজগুলো থেকে পণ্য খালাস গতকাল বৃষ্টির কারণে ব্যাহত হয়েছে। এসব জাহাজ থেকে পণ্যবোঝাই করে ছোট আকারের (লাইটার) জাহাজ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যায়। কিন্তু বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় বেশিরভাগ বড় জাহাজ থেকে পণ্য খালাস হয়নি। গম, চাল, বিভিন্ন ধরনের খাদ্যশস্য, সার, চিনি, সিমেন্ট ক্লিংকার বহির্নোঙরে খালাস হয়। লাইটার জাহাজ নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেলের কর্মকর্তা আতাউল করিম রঞ্জু জানান, বৃহস্পতিবার ৩০টি লাইটার পণ্য বোঝাই করতে বহির্নোঙরে গেলেও বৃষ্টির কারণে সেগুলো বসে ছিল। গতকাল আরও ৩০টি লাইটার যাওয়ার কথা ছিল। যেহেতু কাজ হচ্ছে না তাই ১০ লাইটার পাঠানো হয়েছে। বাকি

২০টি কূলে অলস বসে ছিল। গতকাল মোট ২২টি মাদার ভেসেল থেকে পণ্য খালাসের শিডিউল থাকলে বৃষ্টির কারণে ভেস্তে গেছে। শিপিং এজেন্টরা জানান, একটি মাদার ভেসেল অতিরিক্ত একদিন বসে থাকলে প্রায় ১০ হাজার মার্কিন ডলার ক্ষতি হয়। বন্দর সূত্র জানিয়েছে, বহির্নোঙরে বাল্ক (খোলা) কার্গো খালাস ব্যাহত হলেও জেটিতে কনটেইনার খালাস স্বাভাবিক ছিল।

কয়েকদিন বৃষ্টিপাত হতে পারে। স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, বৃষ্টির পানিতে সকালে নগরীর নিচু এলাকার সড়ক ও বাসাবাড়িতে পানি ওঠে। কোথাও কোথাও হাঁটুপানি জমে যায়। বহদ্দারহাট, চকবাজার, ডিসি রোড, আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকা, শুলকবহর, চান্দগাঁওসহ বিভিন্ন এলাকার বাসাবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি প্রবেশ করায় অনেকেই বিপাকে পড়েছেন। আসবাবপত্র ও মূল্যবান জিনিসপত্র নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি মানুষকে বেশ কয়েক ঘণ্টা থাকতে হয় গৃহবন্দি অবস্থায়। নগরীর প্রধান সড়কের বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, ষোলশহর, জিইসি মোড় ও ওয়াসা মোড়সহ বিভিন্ন স্থানে নালা উপচে পানি সড়কে উঠে পড়ায় ব্যাহত হয় যানবাহন চলাচল। তবে সরকারি ছুটির দিন হওয়ায় বাসাবাড়ি থেকে মানুষ তেমন একটা বের হননি। জরুরি কাজে যারা বেরিয়েছেন, তাদের

বিভিন্ন সড়কে পানি মাড়িয়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে হয়। নগরীর আতুরার ডিপো এলাকার বাসিন্দা খুরশিদ আলম বলেন, ‘কয়েক বছর ধরেই সামান্য বৃষ্টিতে মুরাদপুর মোড় ও ষোলশহর দুই নম্বর গেট এলাকা সমুদ্র হয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে ফ্লাইওভার নির্মাণের পর এবং খাল-নালা সংস্কার কাজ শেষ না হওয়ায় এ এলাকার জলাবদ্ধতা অনেকটা স্থায়ী রূপ নিয়েছে। বিষয়টি দেখার কেউ নেই। প্রতিবছর বর্ষায় পানি মাড়িয়ে অবর্ণনীয় দুর্ভোগের মধ্যে চলাচল করতে হয়।’ এদিকে গতকাল সকালের দিকে পানি ওঠে আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালের নিচতলায়। এ সময় হাসপাতালটির রোগী, রোগীর সঙ্গে থাকা আত্মীয়স্বজন ও চিকিৎসকরা বিপাকে পড়েন। হাঁটুপানি মাড়িয়ে তাদের হাসপাতালের ওপরের তলাগুলোতে যেতে হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিচতলার রোগীদের অন্যত্র সরিয়ে নেয়। বন্দরে

পণ্য খালাস ব্যাহত : চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে অপেক্ষমাণ বড় আকারের (মাদার ভেসেল) জাহাজগুলো থেকে পণ্য খালাস গতকাল বৃষ্টির কারণে ব্যাহত হয়েছে। এসব জাহাজ থেকে পণ্যবোঝাই করে ছোট আকারের (লাইটার) জাহাজ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যায়। কিন্তু বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় বেশিরভাগ বড় জাহাজ থেকে পণ্য খালাস হয়নি। গম, চাল, বিভিন্ন ধরনের খাদ্যশস্য, সার, চিনি, সিমেন্ট ক্লিংকার বহির্নোঙরে খালাস হয়। লাইটার জাহাজ নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেলের কর্মকর্তা আতাউল করিম রঞ্জু জানান, বৃহস্পতিবার ৩০টি লাইটার পণ্য বোঝাই করতে বহির্নোঙরে গেলেও বৃষ্টির কারণে সেগুলো বসে ছিল। গতকাল আরও ৩০টি লাইটার যাওয়ার কথা ছিল। যেহেতু কাজ হচ্ছে না তাই ১০ লাইটার পাঠানো হয়েছে। বাকি

২০টি কূলে অলস বসে ছিল। গতকাল মোট ২২টি মাদার ভেসেল থেকে পণ্য খালাসের শিডিউল থাকলে বৃষ্টির কারণে ভেস্তে গেছে। শিপিং এজেন্টরা জানান, একটি মাদার ভেসেল অতিরিক্ত একদিন বসে থাকলে প্রায় ১০ হাজার মার্কিন ডলার ক্ষতি হয়। বন্দর সূত্র জানিয়েছে, বহির্নোঙরে বাল্ক (খোলা) কার্গো খালাস ব্যাহত হলেও জেটিতে কনটেইনার খালাস স্বাভাবিক ছিল।
দৈনিক ডোনেট বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।