শালিখায় চটার বিলে জলাবদ্ধতা,দুর্ভোগে কৃষকেরা


মাগুরার শালিখা উপজেলার আড়পাড়া ইউনিয়নের চটার বিলে জলাবদ্ধতার কারনে ফসল উৎপাদন ও ফসল তুলতে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়ছেন এ এলাকার কৃষকেরা।ফসল কাটা, ফসল ঘরে তোলা, নতুন ফসল উৎপাদনের বিঘ্ন হওয়ায় কৃযক অর্থনৈতীক ভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। এ মাঠের চারপাশের ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামগুলো হলো আড়পাড়া, দরিশলই, ফুলবাড়ী, আনন্দনগর, পুকুরিয়া ও কুমারকোটা। এই ৭গ্রামের মানুষ মাঠের পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় ধান কাটতে পারছে না। পানির মধ্যে ধান কাটলে একদিকে বিছালি হচ্ছেনা অপর দিকে ধান কাটা ও বাড়ীতে নিতে অতিরিক্ত শ্রমিকের মজুরি গুনতে হচ্ছে।বাড়ীতে ফসল নেওয়ার পরও খড় থেকে ফসল ছড়ানো ও সংরক্ষণে নারীদের অধিক কষ্ট করতে হচ্ছে। পানি নিষ্কাশন না হওয়ার কারণে রবি মৌসুমেও বিভিন্ন ধরনের রবি ফসল উৎপাদন অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। যা এই এলাকার কৃষকদের কে অর্থনৈতিকভাবে বড় রকম বিপর্যয়ের মুখে ফেলতে পারে। এ ব্যাপারে এই এলাকার বিভিন্ন গ্রামের কৃষি কাজের সাথে সম্পৃক্ত অনেকে জানান দরিশলই গ্রামের আনিচুর মোল্লা, আক্তার মোল্লা, ছাকা মোল্লা।আড়পাড়া গ্রামের আছাদ মোল্লা, কল্লোল শেখ, কায়েম মোল্লা। পুকুরিয়া গ্রামের সাবেক মেম্বার বজলুর রমমান, মনজুর রহমান বিশ্বাস, মীর মুসতাক আহম্মদ। আনন্দ নগর গ্রামের বারিক মোল্লা, লিটন মোল্লা, ওমর মাষ্টার। ফুলবাড়ী গ্রামের হামজা মুন্সি, মুতালেব বিশ্বাস, বিপ্লব মুন্সি, আক্তার মুন্সি ও কুমোর কোটা গ্রামের মাসুম শিকদার, জিল্লু শিকদার, বাবলু শিকদার।তারা সকলেই জানান জলাবদ্ধতার কারণে ধান কাটতে পারছে না। শ্রমিক খরচ বেশী, বিছালী হচ্ছে না, নারীরা ফসল সারতে অধিক কষ্ট পাচ্ছে। রবি ফসল উৎপাদন অনিশ্চয়াতার মধ্যে পড়েছে। খাল খনন অথবা বিকল্প ভাবে পনি নিস্কাশন ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান তারা, তা নাহলে এলাকার কৃষকের অর্থনৈতিকভাবে বড় রকমের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।আড়পাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আরজ আলী বিশ্বাস জানান বিলের পূর্বদিকে পানি নিষ্কাশন একটি মাত্রখাল কিন্ত দীর্ঘ দিন খালটি খনন না করায় ভরাট হয়ে গেছে যার জন্য বিলের পানি বের হতে পারেনা। দ্রুত খালটি খনন করে পনি নিস্কাশনের ব্যবস্থা করলে দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতার নিরসন হবে।