
নিউজ ডেক্স
আরও খবর

শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যা: অপরাধীর বিচার নিশ্চিত করতে হবে

‘যতবার পদ্মা পাড়ি দেব, ততবার প্রধানমন্ত্রীকে স্যালুট জানাব’

পদ্মা সেতু উদ্বোধন: গানে গানে মাতিয়ে তুলছেন মাঝি-মাল্লারা

ত্রাণ পাচ্ছে না প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ

জুনজুড়েই থাকতে পারে বন্যা, ছড়াচ্ছে মধ্যাঞ্চলেও

হঠাৎ বন্যা বানভাসি অর্ধকোটি মানুষ দুর্বিপাকে

সড়কের গড় গতি: ‘তলানিতে’ বাংলাদেশ
সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের স্বচ্ছতা
সময়মতো অডিট হওয়া জরুরি

দেশে নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন না হওয়া যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে। প্রকল্পে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়টিও বহুল আলোচিত।
এ কারণে কোনো প্রকল্প অনুমোদনের আগে যেমন যথাযথ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা উচিত, তেমনি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রেও স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার বিষয়টি নিশ্চিত করা উচিত।
এজন্য দরকার প্রকল্পের কাজের সময়মতো অডিট হওয়া। কিন্তু পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) এক খসড়া প্রতিবেদনে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের ক্ষেত্রে এর ব্যত্যয় দেখা গেছে।
‘রুরাল কানেকটিভিটি ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট’ নামে একটি সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে ২০১৮ সালের জুলাইয়ে। বাস্তবায়নের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২০২৩ সালের জুন মাস। অর্থাৎ ইতোমধ্যেই পেরিয়ে গেছে চার বছর। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হচ্ছে মোট ৩৪ জেলায়। কিন্তু

দেখা যাচ্ছে, এই চার বছরে মাত্র ৮টি জেলায় অডিট হয়েছে। বাকি ২৬টি জেলা অর্থাৎ ৭৭ শতাংশ জেলায় কোনো অডিট হয়নি। যেসব জেলায় অডিট হয়েছে, সেগুলোর প্রতিটিতেই পাওয়া গেছে আপত্তি। এছাড়া নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়া নিয়েও দেখা দিয়েছে সংশয়। উল্লেখ্য, গত মার্চ পর্যন্ত প্রকল্পের ক্রমপুঞ্জিত আর্থিক অগ্রগতি হয়েছে মাত্র ৪৪ দশমিক ৫২ শতাংশ। আর ভৌত অবকাঠামোগত অগ্রগতি ৬৫ শতাংশ। বিষয়টি দুর্ভাগ্যজনক। প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা বলছেন, অডিট আপত্তি নিষ্পত্তির জন্য কাগজপত্র অডিট অফিসে জমা দেওয়া হয়েছে এবং এটি প্রক্রিয়াধীন আছে। অথচ প্রকল্পের কাজের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য প্রকল্প চলমান থাকা অবস্থায় অডিট হওয়া জরুরি বলে বলেছেন পরিকল্পনা সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী। তিনি আরও

বলেছেন, অডিট না করাটাও একটি অনিয়ম। আমরাও মনে করি, সময়মতো অডিট না হলে প্রকল্পের কাজের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাবে। মনে রাখা দরকার, কোনো প্রকল্প যথাসময়ে বাস্তবায়ন না হলে অহেতুক ব্যয় যেমন বৃদ্ধি পায়, তেমনি বাড়ে জনদুর্ভোগও। কাজেই অডিটের বিষয়ে গাফিলতির সুযোগ নেই। সংশ্লিষ্টরা এ ব্যাপারে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেবেন, এটাই কাম্য।

দেখা যাচ্ছে, এই চার বছরে মাত্র ৮টি জেলায় অডিট হয়েছে। বাকি ২৬টি জেলা অর্থাৎ ৭৭ শতাংশ জেলায় কোনো অডিট হয়নি। যেসব জেলায় অডিট হয়েছে, সেগুলোর প্রতিটিতেই পাওয়া গেছে আপত্তি। এছাড়া নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়া নিয়েও দেখা দিয়েছে সংশয়। উল্লেখ্য, গত মার্চ পর্যন্ত প্রকল্পের ক্রমপুঞ্জিত আর্থিক অগ্রগতি হয়েছে মাত্র ৪৪ দশমিক ৫২ শতাংশ। আর ভৌত অবকাঠামোগত অগ্রগতি ৬৫ শতাংশ। বিষয়টি দুর্ভাগ্যজনক। প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা বলছেন, অডিট আপত্তি নিষ্পত্তির জন্য কাগজপত্র অডিট অফিসে জমা দেওয়া হয়েছে এবং এটি প্রক্রিয়াধীন আছে। অথচ প্রকল্পের কাজের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য প্রকল্প চলমান থাকা অবস্থায় অডিট হওয়া জরুরি বলে বলেছেন পরিকল্পনা সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী। তিনি আরও

বলেছেন, অডিট না করাটাও একটি অনিয়ম। আমরাও মনে করি, সময়মতো অডিট না হলে প্রকল্পের কাজের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাবে। মনে রাখা দরকার, কোনো প্রকল্প যথাসময়ে বাস্তবায়ন না হলে অহেতুক ব্যয় যেমন বৃদ্ধি পায়, তেমনি বাড়ে জনদুর্ভোগও। কাজেই অডিটের বিষয়ে গাফিলতির সুযোগ নেই। সংশ্লিষ্টরা এ ব্যাপারে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেবেন, এটাই কাম্য।
দৈনিক ডোনেট বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।