আত্রাইয়ে ‎দমকা হাওয়া ও বৃষ্টিপাতে আলু ও ধান ফসলের ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি


আত্রাইয়ে ‎দমকা হাওয়া ও বৃষ্টিপাতে আলু ও ধান ফসলের ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি
গত তিন দিনের অসময়ে ভারী বৃষ্টিপাত এবং দমকা হাওয়ায় নওগাঁর আত্রাই উপজেলার বিভিন্ন মাঠে ধান,আলুসহ প্রায় কয়েক হাজার বিঘা জমির বিভিন্ন ফসল পানিতে অর্ধ নিমজ্জিত হয়েছে। এতে ফলন বিপর্যয়সহ ব্যপক ক্ষতির আশংকা করছেন কৃষকরা। বিশেষ করে আলু,পেঁয়াজ,সরিষাসহ বিভিন্ন শাক সবজি সম্পন্ন নষ্ট হয়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন কৃষকরা। ‎ ‎আত্রাই উপজেলা কৃষি অফিস সুত্র জানায়,চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৬হাজার ৮৩০হেক্টর জমিতে আমন ধান রোপন করেছেন কৃষকরা। এছাড়া আলু ৫৬হেক্টর,সরিষা ৯০হেক্টর,এবং বিভিন্ন সবজি রয়েছে ১৫ হেক্টর জমিতে বোপন করা হয়েছে। এর মধ্যে দমকা হাওয়া এবং বৃষ্টিপাতের কারনে প্রায় ৭০৫ বিঘা(৯৪হেক্টর) জমির ধান নুয়ে পরে পানিতে অর্ধ নিমজ্জিত হয়েছে। এছাড়া আলু ১৪৩বিঘা(১৯হেক্টর)সরিষা ১১৩বিঘা(১৫হেক্টর) এবং বিভিন্ন শাক সবজি ১৬৫বিঘা (২২হেক্টর) জমির ফসল পানিতে অর্ধ নিমজ্জিত হয়েছে। ‎আত্রাই উপজেলার কালীকাপুর গ্রামের কৃষক শফির উদ্দীন বলেন,গত বছর প্রায় ৩বিঘা জমিতে আলু বোপন করেছিলেন। কিন্তু আলুর বাজার দর ভাল না পাওয়ায অনেক লোকসান হয়েছে। কিন্তু সেই লোকজসান কাটাতে এবং ভাল দাম পাবার আসায় এবার প্রায় আড়াই বিঘা জমিতে গত ৫দিন আগে আলু বোপন করেছেন। কিন্তু ভারী বৃষ্টিপাতে আলুর জমিতে পানি জমে ডুবে গেছে। ফলে বোপনকৃত আলু বীজ নষ্ট হয়ে যাবে। এতে আলু বোপন করে বৃষ্টির কারনে আবার চরম লোকসানে পরেছেন তিনি। ‎উপজেলার পাঁচুপুর গ্রামের কৃষক হাফিজ উদ্দীন বলেন,মাত্র চার দিন আগেই তিনি দুই বিঘা জমিতে সরিষা বোপন করেছেন। কিন্তু বোপনের পর থেকেই বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। এতে বোপন করা সরিষা সম্পন্ন নষ্ট হয়ে যাবে বলে আশংকা করছেন তিনি। ‎আত্রাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রসেনজিৎ তালুকদার বলেন,এখন পর্যন্ত আলু,সরিষা যেগুলো পানিতে নিমজ্জিত হয়ে আছে এগুলো রক্ষা পাওয়া অনেকটায় মস্কিল হয়ে পরবে। এছাড়া বিভিন্ন মাঠের ধান অধিকাংশ জায়গায় পাক ধরেছে। ফলে ধানের খুব বেশি ক্ষতি হওয়ার আশংকা নেই। তবে যে ধান গুলো নুয়ে পড়েছে এবং কেবলমাত্র শীষ বের হয়েছে এগুলোর ক্ষতির আশংকা রয়েছে।