ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার (১০ জুন) সন্ধ্যা ৭টায় এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের তৃতীয় রাউন্ডে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ। ম্যাচ শুরুর আগে চূড়ান্ত একাদশ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ফুটবল দল। একাদশে জায়গা পেয়েছেন আলোচিত তিন প্রবাসী ফুটবলার—হামজা চৌধুরী, সামিত সোম ও ফাহমিদুল ইসলাম।
কানাডাপ্রবাসী এই মিডফিল্ডার শুরুর একাদশে থাকলেও জায়গা হারিয়েছেন অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। এর আগে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষেও বেঞ্চে বসেই কাটাতে হয়েছে জামালকে।
গেল সপ্তাহে খেলা প্রীতি ম্যাচের একাদশে তিন পরিবর্তন এনে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার বাংলাদেশ। এ ম্যাচ দিয়ে লাল-সবুজ জার্সিতে অভিষেক হল সামিত সোমের।
ভুটান ম্যাচের স্কোয়াড থেকে বাদ পড়েছেন জামাল ভূঁইয়া, সোহেল রানা ও তাজ উদ্দিন। একাদশে এসেছেন সামিত সোম, মোহাম্মদ হৃদয় এবং শাকিল আহাদ তপু। ৪ জুন ম্যাচের দিন ঢাকায় পা রাখেন সামিত সোম। দীর্ঘ ভ্রমণের ধকলের কারণে সে ম্যাচে তাকে বিবেচনা করেননি কোচ, দর্শক কাতারে ছিলেন ২৭ বছর বয়সী ক্যাভালরি এফসির মিডফিল্ডার। সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে সামিত সোমের ওপর আস্থা রেখেছেন বাংলাদেশ কোচ হাভিয়ের ক্যাবরেরা। মজার বিষয় হচ্ছে, আগের ম্যাচের গোলদাতা সোহেল রানার জায়গা হয়নি একাদশে। জায়গা ধরে রাখতে পারেননি সে ম্যাচের ৪৫ মিনিট আলো ছড়ানো ৩৫ বছর বয়সি মিডফিল্ডার জামাল ভূঁইয়াও।
বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক সামিতের, শুরুর একাদশে নেই অধিনায়ক জামাল গোলরক্ষক হিসেবে বরাবরের মত হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা আস্থা রেখেছেন মিতুল মারমার ওপর, এদিন ব্যতিক্রম হয়নি। রক্ষনের প্রাণকেন্দ্রে তপু বর্ম ও তারিক কাজী; তাদের সঙ্গী সাদ উদ্দিন এবং শাকিল আহাদ তপু। মাঝমাঠে মোহাম্মদ হৃদয়ের সঙ্গী হয়েছেন তিন প্রবাসী—ইলংল্যান্ডের হামজা চৌধুরী এবং দুই কানাডিয়ান ফুটবলার সামিত সোম ও সৈয়দ কাজেম শাহ কিরমানী। আক্রমণভাগে রাকিব হোসেনের সঙ্গী ইতালি প্রবাসী ফাহমিদুল ইসলাম। মোহাম্মদ হৃদয় ভুটানের বিপক্ষে ম্যাচে বদলি হিসেবে মাঠে এসেছিলেন। সে ম্যাচে একাদশে ছিলেন সৈয়দ কাজেম শাহ কিরমানী।
বাংলাদেশের একাদশ
গোলরক্ষক : মিতুল মারমা
রক্ষণভাগ : মো. সাদ উদ্দিন, তপু বর্মন, তারিক রায়হান কাজী, মো. শাকিল আহাদ তপু
মিডফিল্ড : হামজা চৌধুরী, মো. হৃদয়, সৈয়দ শাহ কাজেম
অ্যাটাকিং মিডফিল্ড/ফরোয়ার্ড : সামিত শোম, ফাহমিদুল ইসলাম, রাকিব হোসেন
অন্যদিকে সিঙ্গাপুর শক্তিশালী প্রতিপক্ষ হলেও দেশের মাটিতে বাড়তি উন্মাদনার জোরে আজ ভিন্ন কিছু দেখাতে পারে লাল-সবুজরা—এমনটাই আশা করছেন সমর্থকরা।
স্টেডিয়াম এলাকায় দুপুর থেকেই দেখা গেছে হাজারো দর্শকের ঢল। টিকিট নিয়ে নানা বিতর্কের মাঝেও মাঠে উপস্থিতির চিত্রই বলে দিচ্ছে, ফুটবল ঘিরে দেশের মানুষের আবেগ কতটা প্রবল।
এখন অপেক্ষা শুধু মাঠের লড়াইয়ে সেই আবেগের প্রতিদান পাওয়ার। হামজাদের এই যাত্রা কি শুরু হবে জয় দিয়ে? উত্তর পাওয়া যাবে আজ সন্ধ্যা ৭টায়।