বিএনপির কর্মীরা ক্লান্ত, নেতারা হতাশ: ওবায়দুল কাদের
অনলাইন নিউজ ডেক্স
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আন্দোলনের শক্তি বিএনপির নেই। আন্দোলনে জনগণ লাগে। তাদের সঙ্গে জনগণ নেই। বিএনপির কর্মীরা ক্লান্ত, নেতারা হতাশ, কেউ কেউ বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির মুখে আন্দোলনের কথাটা শুনলে ঘোড়ারও হাসি পায়। রিমোট কন্ট্রোল নেতাকে এ দেশের মানুষ গ্রহণ করে না। সাহস থাকলে রাজপথে আসুন। লন্ডনে বসে আন্দোলন হবে না, এটা প্রমাণ হয়ে গেছে।
বুধবার বিকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে জাতীয় শ্রমিক লীগের আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, তাদের (বিএনপি) হাতে ১৫ আগস্টের রক্তের দাগ, তাদের হাতে ২১ আগস্টের রক্তের দাগ, তাদের হাতে শ্রমিকের রক্তের দাগ।তারা আবার ক্ষমতায় আসতে পারলে রক্তে ভাসিয়ে দেবে।
তিনি বলেন, ফখরুল সম্পর্কে নানান কথা শোনা যায়, ভেতরের কথা। বিএনপি নেতাদের কারো সঙ্গে কারো মিল নেই। বিএনপির ভেতরেই যাকে পছন্দ হয় না তাকে বলে সরকারের এজেন্ট। নেতায় নেতায় ঝগড়া করে অন্যকে বলে। বিএনপিকে আমরা ধ্বংস করতে চাই না। আজকে বিএনপি যে অবস্থায় আছে নিজেরাই নিজেদের জন্য ভাঙন ও পতনের জন্য দায়ী হবে। ঘরে এত শত্রু, বিএনপি ধ্বংসের জন্য বাইরের কোনো শত্রুর প্রয়োজন হবে না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সব মানুষই যদি ঐক্যবদ্ধ হবে তাহলে বিএনপি কেন নির্বাচনে এলো না? আজকে বেলা শেষ, বিএনপিরও বেলা শেষ।
বিএনপি নেতাদের লজ্জাশরমও নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ বলেছেন একসময় মনে করতাম বাংলাদেশ আমাদের জন্য বোঝা। বাংলাদেশের যে উন্নয়ন-অগ্রগতি এটা দেখে আমি লজ্জা পাচ্ছি। পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী দেখতে পায়, বিএনপি কালো চশমা পরেছে, তারা দেখতে পায় না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা (বিএনপি) বিদেশিদের কাছে নালিশ করে, কার কাছে নালিশ করবেন? যাদের কাছে নালিশ করতেন তাদেরও বেসামাল অবস্থা। এখন আমেরিকায় আরব বসন্ত। ৪০টি বিশ্ববিদ্যালয় ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ করছে। পেছনের দরজা দিয়ে সমাবেশে উপস্থিত হয়। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী চীন সফরে গেছেন কয়দিন আগে, সে সময় সাংবাদিকরা জিজ্ঞাসা করল আপনাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন এত প্রতিবাদ? তখন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন, এটা গণতন্ত্রের অংশ।
এ সময় বিএনপি সরকারের আমলের প্রসঙ্গ টেনে মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আদমজীর মতো জুট মিল যাদের হাতে বন্ধ হয়েছে, শ্রমিক হত্যার রক্ত যাদের হাতে, এই দেশ তাদের ক্ষমা করবে না।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা শ্রমিকবান্ধব প্রধানমন্ত্রী। আজ কতবার মজুরি বাড়িয়ে ১২ হাজার ৫০০ টাকা করা হয়েছে। শ্রমিকের ওপর কোনো নির্যাতন নেই। বঙ্গবন্ধু আন্দোলন করেছেন, শ্রমিকের আন্দোলন করেছেন। নুরু মিয়ার রক্ত ছয় দফা আন্দোলনকে স্বাধীনতার আন্দোলনে পরিণত করেছে।
এ সময় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, শ্রমিকদের অধিকার দিবসে আমি বলব- আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাকবেন। নেত্রী যা করেছেন, ভবিষ্যতে আরও করবেন। নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করে শত্রুতা সৃষ্টি করবেন না।
জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি নুর কুতুব আলম মান্নানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম ও আফজাল হোসেন প্রমুখ।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, শ্রমিক লীগসহ ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
ডোনেট বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।