বিসিসি নির্বাচন : প্রার্থী হওয়া বিএনপির ১৯ জনকে শোকজ


দলীয় সিদ্বান্ত উপেক্ষা করে বরিশাল সিটি নির্বাচনে বিভিন্ন পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করা বিএনপির ১৯ প্রার্থীকে শোকজ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১ জুন) রাতে একজন মেয়র, সাধারন কাউন্সিলর পদের ১৫ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদের তিন প্রার্থীকে এ নোটিশ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মহানগর বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বে থাকা মো. জাহিদুর রহমান রিপন। প্রত্যেককে নোটিশ পাওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যে জবাব দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নোটিশ প্রাপ্তরা হলেন- মহানগর বিএনপির তিন যুগ্ম আহবায়ক ৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর প্রার্থী হাবিবুর রহমান টিপু, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মো. হারুন অর রশিদ ও ১৯ নং ওয়ার্ডের এ্যাড. শাহ আমিনুল ইসলাম আমিন। এছাড়াও নির্বাচনে থাকা মহানগর বিএনপির বর্তমান আহবায়ক কমিটির সদস্য ৯ নং ওয়ার্ডের সেলিম হাওলাদার, সংরক্ষিত ২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জাহানারা বেগম, ৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে সেলিনা বেগম এবং ১০ নম্বর ওয়ার্ড থেকে অংশ নেয়া রাশিদা পারভীন। নোটিশ পাওয়া অন্যরা হলেন-নগরীর ১৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য সচিব জিয়াউল হক মাসুম, একই ওয়ার্ডের প্রার্থী দক্ষিন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক জাবের আব্দুল্লাহ সাদি, একই ওয়ার্ডের প্রার্থী বরিশাল জেলা তাতি দলের সাবেক সভাপতি কাজী মোহাম্মদ শাহীন, ১৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম, নগরীর ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সিনিয়র সভাপতি হাবিবুর রহমান ফারুক, ৯ নং ওয়ার্ড যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি সৈয়দ হুমায়ন কবির লিংকু, ১৫ নং ওয়ার্ড থেকে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ-সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, ২২ নং ওয়ার্ড মহিলা দলের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক জেসমিন সামাদ, ২৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি ও মহানগরের সাবেক সহ-সভাপতি ফিরোজ আহম্মেদ, ২৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি ফরিদউদ্দিন হাওলাদার, ২৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক হুমায়ন কবির। বর্তমানে কোন পদ-পদবী না থাকা ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্য মেয়র পদের প্রার্থী কামরুল আহসান রুপনকেও নোটিশ দেয়া হয়েছে। সে প্রার্থী হওয়ার পর মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মীর জাহিদুল কবির জাহিদ জানিয়েছিলেন, রুপন বিএনপির কেউ নয়। তবে রুপন জানিয়েছেন বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১১ টার দিকে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মীর জাহিদুল কবির জাহিদ তাকে কারন দর্শানোর নোটিশটি মোবাইলে পাঠিয়েছেন। তিনি ওই কারন দর্শানোর নোটিশের জবাবে বলেন, এ বিষয়ে পরবর্তীতে আপনাদের জানাবো। নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১৫ বছর ধরে অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপিসহ দেশপ্রেমিক জনগন সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবীতে আন্দোলন করে আসছে। জনগনের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বেগম খালেদা জিয়া ৫ বছর ধরে কারাভোগ করেছেন। হত্যা, নির্যাতনসহ বিএনপির ৫০ লাখ নেতা কর্মীদের মিথ্যা অভিযোগে মামলা দিয়ে প্রতিনিয়ত হয়রানি করা হচ্ছে। অনেক নেতা কর্মী গুম রয়েছে। এ অবস্থায় নির্বাচন না করার সিদ্বান্ত নেয়া হয়েছে। দলের সদস্য হয়ে ব্যক্তিস্বার্থ চিন্তা করে সিদ্বান্তকে উপেক্ষা করেছেন। কেন আপনার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে না, তার কারন দর্শিয়ে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে লিখিত জবাব দলের কেন্দ্রীয় দপ্তরে জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হলো। চিঠি পাঠিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজবী।