রেকর্ড রান করেও বৃষ্টিতে টাইগারদের ‘জয় ডাকাতি’


মুশফিকুর রহিম ঝড় দেখিয়েছেন। তার সঙ্গে লিটন দাস, নাজমুল শান্ত আর তাওহীদ হৃদয়ের ব্যাটে ৫ উইকেটে দলীয় সর্বোচ্চ ৩৪৯ রান তোলে টাইগাররা। ওই ঝড়ের পরই শুরু হয় বৃষ্টি। যে বৃষ্টি না থামায় টাইগারদের নিশ্চিত ‘জয় ডাকাতি’ হয়ে গেছে। পরিত্যক্ত হয়েছে বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ডের দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচ। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সোমবার টস হেরে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। শুরুটা ধীরে হলেও শেষটা হয় ঝড়ো। বাংলাদেশ প্রথম পাঁচ ওভারে মাত্র ১৮ রান তোলে। ১০ ওভারে ৪২ রান তুলে হারায় প্রথম উইকেট। সেট হয়ে ওপেনার তামিম ইকবাল ফিরে যান ২৩ রান করে। এরপর লিটন দাস ও নাজমুল শান্ত ১০১ রানের জুটি গড়েন। ওই জুটি ভাঙে লিটন দাস ৭১ বলে তিন করে চার ও ছক্কায় ৭০ রান করলে। ওপেনার লিটনের পর নাজমুল শান্তও আউট হন। তার ব্যাট থেকে আসে ৭৭ বলে ৭৩ রান। তিনি তিনটি চার ও দুটি ছক্কা মারেন। এরপর শুরু হয় মুশফিক ও তাওহীদ হৃদয়ের ঝড়ো জুটি। তারা দু’জন ১২৮ রান যোগ করেন। অভিষেক ওয়ানডে ম্যাচে সেঞ্চুরি মিস করা হৃদয় দ্বিতীয় ম্যাচে মিস করেছেন ফিফটি। তিনি ৩৪ বলে চারটি চার ও এক ছক্কায় ৪৯ রানে আউট হন। তবে মুশফিকুর রহিম দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করেছেন। তিনি ৩৪তম ওভারে ক্রিজে এসে ৬০ বলের মুখোমুখি হয়ে সেঞ্চুরি তুলে নেন। ইনিংসের শেষ বলে পুরোপুরি একশ’ করে অপরাজিত থাকেন। এর আগে দেশের তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে সাত হাজার ওয়ানডে রানের কীর্তি গড়েন। সাকিবকে পেছনে ফেলে দেশের হয়ে দ্রততম ওয়ানডে সেঞ্চুরিও এখন তার। তাদের ঝড়ে বাংলাদেশ রেকর্ড রান তোলে। ২০১৯ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে ফরম্যাটে নিজেদের সর্বোচ্চ ৩৩৩ রান করেছিল বাংলাদেশ। সিলেটে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে ওই রেকর্ড ভেঙে ৩৩৮ রান তুলেছিল টাইগাররা। একদিন পরেই সিলেটে এই রেকর্ড ভাঙলো। শুধু শেষটা জয়ে লেখা হলো না। আয়ারল্যান্ডের হয়ে গ্রাহাম হিউম ১০ ওভারে ৫৮ রানে তিন উইকেট নিয়েছেন।