সিনান ওগানের সমর্থন কি এরদোগানের জয় নিশ্চিত করবে?


আক্রমণ নয়, মসনদ দখলে এবার রাজায়-রাজায় সন্ধি। তুরস্কের দ্বিতীয় দফা নির্বাচনের (২৮ মে) ঠিক ছয় দিন আগেই জয়ের হাসি ছড়িয়ে পড়েছে তুরস্কের ২০ বছরের অপরাজিত নায়ক প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের (৬৯) মুখে। একই আনন্দে হাসছেন তুরস্কের এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের কিং মেকার সিনান ওগানও (৫৬)। দেশটির নতুন প্রজন্মের ‘রাজা’ সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে হাত মিলিয়েছেন তুর্কিরাজ এরদোগানের সঙ্গে। শত্রুতা ভুলে বন্ধু বনে যাওয়া ওগান প্রথম দফার নির্র্বাচনে পেয়েছিলেন ৫.১৭ শতাংশ ভোট। এরদোগানের ঝুলিতে ছিল ৪৪.৮৯ শতাংশ ভোট। সিনান এদিন দেশটির জাতীয় টেলিভিশনে প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে সমর্থকদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমরা ২৮ মে দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে পিপলস অ্যালায়েন্স প্রার্থী রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানকে সমর্থন করব।’ সমর্থকদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, ‘প্রথম দফার (১৪ মে) নির্বাচনে যারা আমাদের সমর্থন দিয়েছিল আমি সেই ভোটারদের আমন্ত্রণ জানাই তারা যেন দ্বিতীয় দফায় এরদোগানকে সমর্থন করে।’ এর আগে সিনান ওগান শুক্রবার এরদোগান ও বিরোধী নেতা কামাল কিলিচদারোগ্লুর মিত্রদের সঙ্গে পৃথক আলোচনা করেছিলেন। ওগানের ঘোষণার পর এক টুইট বার্তায় কিলিচদারোগ্লু প্রতিবাদ করেন। তিনি নাম প্রকাশ না করে এরদোগান-ওগান নতুন জোট সম্পর্কে বলেন, তার সুন্দর দেশ বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা এই দেশটিকে সন্ত্রাসবাদ ও উদ্বাস্তুদের হাত থেকে বাঁচাতে এসেছি। এটি একটি গণভোট। এখানে কেউ আর কাউকে বোকা বানাতে পারবে না।’ তুরস্কের তরুণ সমাজে নয়নমনি ওগানের এরদোগান সমর্থন তার ভোটারদের কাছে কতটা গুরুত্ব বহন করে তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। কারণ তার বেশির ভাগ সমর্থকের এরদোগান ও কিলিচদারোগ্লু উভয়ের প্রতিই অসন্তুষ্ট বলে ধারণা করা হয়। তবে এটি দ্বিতীয় দফায় আরও জাতীয়তাবাদী ভোটারদের কিলিচদারোগ্লুর আবেদনের জরুরি প্রচেষ্টাকে দুর্বল করে। ভেরিস্ক ম্যাপলেক্রফট কনসালটেন্সির হামিশ কিনার বলেন, ‘একজন কিংমেকার হিসাবে ওগানের নতুন খ্যাতি একটি অতিরঞ্জন। তার প্রথম দফার ভোটাররা এরদোগানকে সমর্থন করবে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই।’ তৃতীয় দশকের মতো এরদোগানকে ক্ষমতা পেতে হলে প্রথম দফার ভোটাররা যদি পাশে থাকে তাহলে ওগানের একটি ছোট অংশ এরদোগানকে সমর্থন করতে হবে।’ গত ১৪ মে সাধারণ নির্বাচনে এরদোগান তার ২০ বছরের শাসনামলে প্রথমবারের মতো সরাসরি বিজয় থেকে বঞ্চিত হন।