কেন আরও নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, যা বললেন ব্লিঙ্কেন
অনলাইন নিউজ ডেক্স
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ঘোষণা করেছেন যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার প্রতিরক্ষা শিল্প, জ্বালানি এবং আর্থিক খাতের পাশাপাশি অভিজাতদের আরও প্রতিষ্ঠানকে লক্ষ্য করে তাদের নিষেধাজ্ঞার তালিকা প্রসারিত করছে, বলে সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
সম্প্রতি এক চিঠিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এ ঘোষণা দিয়েছেন। খবর তাস নিউজের।
বিবৃতি বলা হয়েছে, ‘স্টেট ও ট্রেজারি বিভাগ ১৫০টিরও বেশি ব্যক্তি এবং সংস্থার ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে।’
এতে নির্দিষ্ট করা হয়েছে যে, ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযানের সঙ্গে সম্পর্কিত ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
মার্কিন শীর্ষ এই কূটনীতিক বলেন, আজকের পদক্ষেপের অংশ হিসাবে, মার্কিন সরকার নিষেধাজ্ঞা ফাঁকি দেওয়া এবং প্রতারণার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি এবং সংস্থাগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করছে, যারা ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধ চালানোর ক্ষমতাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য জড়িত এবং যারা রাশিয়ার ভবিষ্যৎ শক্তি উৎপাদনকে শক্তিশালী করার জন্য দায়ী।
মার্কিন ট্রেজারির অনুরূপ বিবৃতিতে এটি উল্লেখ করা হয়েছে, নিষেধাজ্ঞাগুলো ‘রাশিয়ার অভিজাত এবং এর শিল্প ভিত্তি, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং প্রযুক্তি সরবরাহকারীদের ওপর’ আরোপ করা হয়েছে।
ব্লিঙ্কেনের ভাষ্য— স্টেট ডিপার্টমেন্ট বর্তমান নিষেধাজ্ঞাগুলো প্রয়োগ করছে শুধু রাশিয়ার তেল ও গ্যাস উৎপাদনকেই সীমিত করার প্রয়াসে নয়, এর ‘রপ্তানি ক্ষমতা সম্ভাবনা’ এবং ‘রাশিয়ার ধাতু ও খনির খাতে কাজ করছে’। এ ছাড়া বিধিনিষেধের লক্ষ্য ‘কালিব্র ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রসহ রাশিয়ান অস্ত্র সিস্টেম উৎপাদন এবং মেরামতকারী অসংখ্য সংস্থা’।
স্টেট ডিপার্টমেন্টের দাবি, এই বিধিনিষেধমূলক ব্যবস্থাগুলো ডেমোক্র্যাটিক পিপলস রিপাবলিক অফ কোরিয়া থেকে রাশিয়ান ফেডারেশনে যুদ্ধাস্ত্র চালানের সঙ্গে জড়িত ওয়াগনার গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত রুশ ব্যবসায়ী পাভেল শেভলিনের বিরুদ্ধেও চালু করা হয়েছিল।
ডোনেট বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।