মধুখালীতে অফিস সহায়কের চাকরী করে-পরিবার পরিকল্পনায় চাকুরী দেন; হাতিয়ে নিয়েছেন ৩৮লক্ষ ৭০হাজার টাকা

প্রকাশিতঃ জুলাই ১৩, ২০২৪ | ৭:২২ অপরাহ্ন
অনলাইন নিউজ ডেক্স

ফরিরদপুরের মধুখালীতে পরিবার পরিকল্পনায় অফিস সহায়কের চাকরী করেন। বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের বিভিন্ন পদে চাকরীর প্রলোভন দেখিয়ে জেলার বোয়ালমারী উপজেলার ৫ জনের কাছ থেকে প্রতারনার মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছেন ৩৮ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা প্রতারক আজাদ ফকির। ফরিদপুর বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৭নং আমলী আদালতে মধুখালী উপজেলার মেগচামী ইউনিয়নের মেগচামী গ্রামের মোঃ আকবর ফকিরের ছেলে মোঃ আজাদ ফকিরকে প্রধান করে তার স্ত্রী হাসিনা পারভীন, মধুখালী উপজেলার নওপাড়া ইউনয়নের আলগাপাড়া গ্রামের মৃত খোরশেদ মোল্যার ছেলে সেকেন্দার মোল্যা,সেকেন্দারের ছেলে মোঃ রইচউদ্দিন মোল্যা, সেকেন্দারের স্ত্রী সাহেরা বেগমকে আসামী করে ৫ জনের বিরুদ্ধে দায়ের কৃত মামলা সুত্রে জানা যায় মধুখালী পরিবার পরিকল্পনায় অফিস সহায়ক হিসেবে কর্মরত মোঃ আজাদ ফকির জেলার বোয়ালমারী উপজেলার দক্ষিণ কামারগ্রাম গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে রফিকুল ইসলামের সাথে পরিচয় সুত্রে জানাশোনা থাকায় প্রতারক আজাদ ফকির রফিকুল ইসলামকে বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরে বিভিন্ন পদে চাকুরীর প্রস্তাব দেন। রফিকুল ইসলাম নিজের স্ত্রীসহ বোয়ালমারী উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ৪জন এবং জেলর সালথা উপজেলার ১ জনসহ ৫জনকে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরে বিভিন্ন পদে প্রত্যেককের ১০লক্ষ করে ৫০লক্ষ টাকার বিনিময়ে চাকুরীর চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয় । সিদ্ধান্ত মোতাবেক ৫ নভেম্বর ২০২১ খ্রিঃ শুক্রবার দক্ষিণ কামারগ্রাাম রফিকুল ইসলামের বাড়ীতে সকল চাকুরী প্রার্থী প্রত্যেককে ৬ লক্ষ টাকা নিয়ে উপস্থিত হয়ে নগদ ৩০লক্ষ টাকা মোঃ আজদ ফকিরকে বুঝিয়ে দেন। আজাদ ফকিরসহ তার সহযোগিরা ৩০লক্ষ টাকা বুঝে নিয়ে তাদের সাথে থাকা সাথে বিভিন্ন আবেদন ফরমে স্বাক্ষর ও চাকুরী প্রার্থীদের প্রয়োজনী কাগজপত্র নিয়ে চলে আসেন। পরবর্তী সকল চাকুরী প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষা দেওয়ার জন্য প্রবেশপত্র প্রদান করে বাকী টাকা দেওয়ার জন্য চাপাচাপি করেন। প্রতারক আজাদ ফকির এটাও আসস্থ করেন যে আপনাদের চাকুরী হয়ে গেছে এখন শুধু যোগদান করতে হবে দ্রুত বাকী টাকা পরিশোধ করেন । তার কথা মোতাবেক চাকুরী প্রার্থীগণ ১২ ডিসেম্বর ২০২১খ্রিঃ থেকে ২৪ অক্টোবর ২০২২খ্রিঃ সময়ের মধ্যে বিভিন্ন ব্যাংকের মাধ্যমে ৮লক্ষ ৭০ হাজার টাকা গ্রহন করেন। সব মিলিয়ে ৩৮ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা। ২৮ অক্টোবর ২০২২খ্রিঃ প্রত্যেক প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করেন। পরীক্ষা পরবর্তী দির্ঘ দিন অতিবাহিত হলেও আর চাকুরী হয় না। আজাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে সে জানায় চাকুরী দিতে পারবেন না কারন নিয়োগ বন্ধ হয়ে গেছে।চাকুরী প্রার্থীরা টাকা ফেরৎ চাইলে আজকাল করে টালবাহান করতে থাকেন আজাদ। অবশেষে ৩১ ডিসেম্বর ২০২২খ্রিঃ মিমাংসার উদ্দেশে ৬ মাসের সময় নিয়ে ৩৮লক্ষ ৭০ হাজার টাকা ফেরৎ দেওয়ার লক্ষ্যে ৩শ টাকার ননজুডিসিয়াল ষ্ট্যাম্পে একটি অঙ্গীকারনামায় লিখিত দেন। ৬ মাস পরবর্তী দীর্ঘ সময় পার হলেও সে আর টাকা ফেরৎ দেন নাই। দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হয়ে যাওয়ায় আদালতের স্মরণাপন্ন হওয়ায় এখন চাকুরী প্রার্থীগণ আদালতের রায়ের অপেক্ষায় আছেন। চাকুরীর প্রলভোন দিয়ে প্রতারনা করে ৩৮লক্ষ ৭০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়ে মোঃ আজাদ ফকিরের মোবাইলে জানতে চাইলে তিনি মোবাইলে কোন বক্তব্য দিবেন না বলে জানান, সে আরো বলেন আমার সাথে দেখা করেন তখন বলবো। এ বিষয়ে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আফরোজ হোসাইনের কাছে তার মোবাইলে জানতে চাইলে তিনি জানান বিষয়টি পুরানো । আমার যোগদানের পূর্বের ঘটনা এ বিষয় সম্পর্কে আমার কিছুই জানা নাই। তার পাওনা ছুটি সে নিতেই পারেন। কি ভাবে ব্যবহার করবেন সেটার তার ব্যপার। ফরিদপুর জেলা সহকারী পরিবার পরিকল্পনা পরিচালক মোঃ কামরুল হাসানের মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি জানান আমার জানা নাই । কেউ অভিযোগ দেননাই দিলে দেখা যাবে ।