একনজরে মামলার বিচারকাজ

প্রকাশিতঃ নভেম্বর ১৮, ২০২৫ | ৮:৪০ পূর্বাহ্ণ
অনলাইন নিউজ ডেক্স

জুলাই গণহত্যার দায়ে শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে আইসিটি বিডি কেস নং ২/২০২৫ এর সূত্র ধরে ৫টি সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বিচার শুনানি হয়। আসামির তালিকায় রয়েছেন-সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। ২০২৪ সালের ১৪ আগস্ট অভিযোগ প্রাপ্তি ও তদন্ত শুরু ২৯ অক্টোবর। পরে মিস কেস নং-০২/২০২৪ হিসাবে ১৬ অক্টোবর মামলাটি ট্রাইব্যুনালে গৃহীত হয় এবং ওইদিন শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান কামালের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনাল থেকে ওয়ারেন্ট জারি করা হয়। এছাড়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। তদন্ত শেষে চলতি বছরের ১২ মে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। ফরমাল বা আনুষ্ঠানিক চার্জ দাখিল করা হয় ১ জুন। মামলার চার্জের সঙ্গে ১৪ খণ্ডে প্রায় ১০ হাজার পৃষ্ঠার দালিলিক সাক্ষ্য জমা দেওয়া হয়। যার মধ্যে পত্র-পত্রিকা, দেশি ও আন্তর্জাতিক অনুসন্ধান প্রতিবেদন, শহীদ ও আহতদের তালিকা সংবলিত গেজেট, বই, স্মারকগ্রন্থ, ঘটনাস্থলভিত্তিক আন্দোলনে আহত-নিহতের তালিকা, গাইড ও গ্রাফিতির বই, অভ্যুত্থানকালীন প্রকাশিত পত্রিকার প্রথম পাতাসংবলিত বই, শহীদ ও আহতদের চিকিৎসা সনদ, পোস্টমর্টেম ও সুরতহাল প্রতিবেদন, অস্ত্র ও বুলেট ব্যবহারের হিসাবসংবলিত জিডি ও প্রতিবেদন, হেলিকপ্টারের ফ্লাইট শিডিউল ইত্যাদি। ৯৩টি প্রদর্শনীর মাধ্যমে ওই দালিলিক সাক্ষ্য ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করা হয়। ৩২টি বস্তু প্রদর্শনীর মাধ্যমে অসংখ্য বুলেট, পিলেট, রক্তমাখা কাপড়, ভিডিও, ও অডিওসংবলিত ডিভিডি, পেনড্রাইভ, বই ইত্যাদি ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করা হয়। এছাড়া ৮৪ জন সাক্ষীর জবানবন্দি ট্রাইব্যুনালে জমা দেওয়া হয়। যার মধ্যে ৫৪ জন সাক্ষী ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে সাক্ষ্য প্রদান করেন। মামলার বিচার শুনানি শুরু হলে চলতি বছরের ১ জুন (আইসিটি বিডি কেস নং ২/২০২৫) এর কার্যক্রম শুরু। মামলায় পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও কামালের বিষয়ে ১৭ জুন পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। ২৪ জুন পলাতক আসামির জন্য টেস্ট ডিফেন্স নিয়োগ করা হয়। চার্জ শুনানি শুরু ১ জুলাই। শুনানি শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয় ১০ জুলাই। ওইদিন গ্রেফতারকৃত আসামি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন কর্তৃক দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। প্রসিকিউশনের ওপেনিং স্টেটমেন্ট ৩ আগস্ট। সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয় ৩ আগস্ট। [প্রথম সাক্ষী ছিলেন জুলাই আন্দোলনে গুরুতর আহত ভিকটিম খোকন চন্দ্র বর্মণ। সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয় ৮ অক্টোবর। [সর্বশেষ সাক্ষী ছিলেন তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীর। ৫৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে ট্রাইব্যুনাল। সাক্ষ্য শুনানি শেষ হলে ১২ অক্টোবর যুক্তিতর্ক শুনানি শুরু হয়। যুক্তিতর্ক শেষে অ্যাটর্নি জেনারেলের ক্লোজিং বক্তব্য পেশ করেন ২৩ অক্টোবর। ওইদিনই যুক্তিতর্ক শেষে রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন ট্রাইব্যুনাল। পরে ১৩ নভেম্বর এসে ট্রাইব্যুনাল ১৭ নভেম্বর রায় হবে মর্মে তারিখ ঘোষণা করেন। শেখ হাসিনার মামলায় প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে আনা পাঁচটি অভিযোগের মধ্যে রয়েছে-অভিযোগ নং ১: ১৪-০৭-২০২৪ গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনকারীদের ‘রাজাকারের বাচ্চা রাজাকারের নাতিপুতি’ সম্বোধন করে উসকানিমূলক বক্তব্য দেন। সেই বক্তব্য সমর্থন করে ওবায়দুল কাদেরসহ কয়েকজন নেতাও উসকানিমূলক মন্তব্য করেন। যার ফলে ছাত্ররা আন্দোলনে ফেটে পড়ে, ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ ও তাদের অঙ্গসংগঠনের সশস্ত্র ক্যাডাররা আন্দোলনকারীদের ওপর আক্রমণ করে ও নির্যাতন চালায়। এ বিষয়ে সাক্ষ্য-প্রমাণের মধ্যে রয়েছে-১. বিটিভি থেকে প্রাপ্ত ১৪-০৭-২০২৪ তারিখে গণভবনে শেখ হাসিনার সংবাদ সম্মেলনের ভিডিওর মূল কপি। ২. শেখ হাসিনার বক্তব্য সমর্থন করে ওবায়দুল কাদের এবং আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের উসকানিমূলক বক্তব্য সম্পর্কিত ভিডিও ও পত্রিকার খবর। ৩. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এবং বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত ছাত্রদের ওপর আওয়ামী লীগ কর্তৃক পরিচালিত নির্যাতন ও নিপীড়নের নিজস্ব অনুসন্ধানী প্রতিবেদন। ৪. শেখ হাসিনার উসকানিমূলক বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সারা দেশে হত্যা ও নির্যাতনের খবরসংবলিত পত্রিকা ও ভিডিও রিপোর্ট। ৫. শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের নেতাদের উসকানিমূলক বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে যেসব ছাত্র দেশব্যাপী আন্দোলন শুরু করে এবং তাদের ওপর যে নির্যাতন পরিচালিত হয় সেসব সাক্ষীর মৌখিক সাক্ষ্য। অভিযোগ নং-২: কাউন্ট ১ : ১৪ জুলাই, ২০২৪ তারিখ রাতে তৎকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি মাকসুদ কামালের সঙ্গে আসামি শেখ হাসিনা মোবাইল কথোপকথনে তিনি আন্দোলনকারীদের রাজাকার ট্যাগ দিয়ে তাদের ফাঁসি অর্থাৎ হত্যার নির্দেশ প্রদান করেন। কাউন্ট ২: ১৮ জুলাই ২০২৪ তারিখ শেখ ফজলে নূর তাপসের সঙ্গে শেখ হাসিনার কথোপকথনে দেখা যায়, আন্দোলন দমনে তিনি লেথাল উইপন অর্থাৎ মারণাস্ত্র ব্যবহার করে ছাত্র-জনতাকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন। ড্রোন ব্যবহার করে ছাত্র-জনতার অবস্থান নির্ণয় করা এবং হেলিকপ্টার থেকে গুলি করার নির্দেশনা প্রদান করেন। সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা পুড়িয়ে জনতার ওপর দায় চাপানোর নির্দেশনা প্রদান করেন। কাউন্ট ৩: শেখ হাসিনা ও হাসানুল হক ইনুর সঙ্গে ২টি কথোপকথনে দেখা যায়, আন্দোলন দমনে হেলিকপ্টার থেকে আন্দোলনকারীদের ওপর বোম্বিং করা এবং তাদের তালিকা তৈরি করে আটক করে নির্যাতন করা এবং তাদের বিএনপি, জামায়াত ও জঙ্গি ট্যাগ দেওয়ার নির্দেশনা প্রদান করেন। এ বিষয়ে সাক্ষ্য-প্রমাণের মধ্যে রয়েছে-১. সরকারি প্রতিষ্ঠান এনটিএমসি থেকে তদন্তকারী কর্মকর্তা কর্তৃক প্রাপ্ত ভয়েস রেকর্ড ২. ওই ভয়েস রেকর্ডের ফরেনসিক রিপোর্ট এবং ট্রান্সক্রিপশন ৩. মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের তালিকা ৪. আহতদের তালিকাসংবলিত গেজেট ৫. বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কর্তৃক প্রকাশিত দ্বিতীয় স্বাধীনতায় শহীদ যারা-দশ খণ্ডের শহীদদের তালিকা। ৬. বিভিন্ন হাসপাতাল ও গণ-অভ্যুত্থানে গুলিবিদ্ধ শহীদ এবং আহত ব্যক্তিদের শরীর থেকে প্রাপ্ত বুলেট ও পিলেট। ৭. গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিদের মোবাইলে ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজ ও ছবি। ৮. গণমাধ্যমে ও সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজ ও ছবি। ৯. অভ্যুত্থান চলাকালে প্রকাশিত পত্রপত্রিকা, ১০. গণ-অভ্যুত্থানপরবর্তী সময়ে আহত ও শহীদ পরিবারের সাক্ষাৎকার বা ঘটনাসংবলিত পত্রপত্রিকা। ১১. জাতিসংঘের কমিশনের প্রতিবেদন যেখানে ১৪০০ শহীদ হওয়ার ঘটনা কথা উলে­খ আছে ও শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততার কথা উল্লেখ আছে। ১২. বিবিসির প্রতিবেদন, যেখানে তারা নিজস্ব প্রযুক্তির মাধ্যমে শেখ হাসিনার মারণাস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশনা সম্পর্কিত কণ্ঠের সত্যতা পেয়েছেন এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে বলপ্রয়োগের প্রমাণ পেয়েছেন। ১৩. আলজাজিরার প্রতিবেদন। ১৪. হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদন. ১৫, ইন্টারন্যাশনাল ট্রুথ অ্যান্ড জাস্টিস প্রজেক্ট (আইটিজেপি) কর্তৃক প্রস্তুতকৃত ভিডিও ডকুমেন্টারি। ১৬. আন্দোলনে অন্ধত্ব বরণকারী, পঙ্গুত্ব বরণকারী, চিকিৎসা প্রদানে বাধার শিকার, আহত এবং নিহতদের চিকিৎসা প্রদানকারী চিকিৎসকরা, শহীদ পরিবার ও আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী আহত ব্যক্তিদের মৌখিক সাক্ষ্য, বিশেষজ্ঞের সাক্ষ্যসহ। ১৭. পুলিশ হেডকোয়ার্টার এবং ডিএমপি কর্তৃক পক্ষ থেকে প্রাপ্ত আন্দোলন চলাকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক তার ওপর পরিচালিত প্রায় সাড়ে তিন লাখ গুলি ব্যবহারের প্রতিবেদন। ১৮. বিমানবাহিনীর পক্ষ থেকে প্রাপ্ত আন্দোলন চলাকালে হেলিকপ্টার ব্যবহারের ফ্লাইট শিডিউল। ১৯. কারফিউ জারির সরকারি আদেশ এবং দেখামাত্র গুলির নির্দেশসংবলিত নিউজ। অভিযোগ নং-৩ : ১৬-০৭-২০২৪ তারিখ রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আন্দোলনের সমন্বয়ক আবু সাঈদকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ। এ অভিযোগের বিষয়ে সাক্ষ্য-প্রমাণ-১. ১৪ জুলাই ২০২৪ তারিখ গণভবনে সংবাদ সম্মেলনের ভিডিও। ২. ১৪ জুলাই ২০২৪ তারিখ রাতে মাকসুদ কামালের সঙ্গে শেখ হাসিনার কথোপকথনে আন্দোলনকারীদের দিয়ে তাদের ফাঁসি অর্থাৎ হত্যার নির্দেশনা। ৩. পুলিশ কর্তৃক আবু সাঈদকে হত্যার সময় ধারণকৃত এনটিভির লাইভ ভিডিও এবং এনটিভি অফিস কর্তৃক ওই ভিডিওর মূল কপি। ৪. আবু সাঈদের পাঁচটি পোস্টমর্টেম রিপোর্ট যা পুলিশের নির্দেশে চারবার পরিবর্তন করা। ৫. আবু সাঈদের হত্যার ঘটনায় সাজানো মিথ্যা মামলার কাগজপত্র। ৬ আবু সাঈদের পরিবারের সদস্য, আবু সাঈদকে পোস্টমর্টেম করা ডাক্তার, আবু সাঈদকে হত্যার ভিডিও ধারণকারী এনটিভির সাংবাদিক, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, আন্দোলনের সহযোদ্ধা, প্রত্যক্ষদর্শী ও আক্রমণে অংশগ্রহণকারী পুলিশ সদস্যদের মৌখিক সাক্ষ্য। অভিযোগ নং-৪: আন্দোলন চলাকালীন হাসিনার পতনের দিন ৫ আগস্ট ঢাকার চানখাঁরপুল এলাকায় ছয়জনকে পুলিশ কর্তৃক গুলি করে হত্যা করে পুলিশ। এর সাক্ষ্য-প্রমাণের মধ্যে রয়েছে-১. ঘটনার সময় চানখাঁরপুল এলাকায় পুলিশ কর্তৃক ছাত্র-জনতার ওপর নির্বিচারে গুলি করার ভিডিও, আর টিভির অফিস থেকে প্রাপ্ত ভিডিওর মূল কপি। ২. সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে প্রাপ্ত শহীদ আনাসকে গুলি করার ভিডিও। ৩. মাকে উদ্দেশ করে লেখা শহীদ আনাসের চিঠি। ৪. আনাসকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রিকশায় করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ভিডিও। ৫. ইয়াকুবকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ধরাধরি করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য রিকশায় তুলে দেওয়ার ভিডিও। ৬. ঘটনাস্থলে উপস্থিত, আশপাশের বিল্ডিং থেকে ব্যক্তিগত মোবাইলে ধারণকৃত পুলিশ কর্তৃক ছাত্র-জনতার ওপর গুলির দৃশ্যের ভিডিও। আহতদের ধরাধরি করে নেওয়ার ভিডিও। ৭. বিটিভি কর্তৃক প্রকাশিত জুলাই অনির্বাণ নামক ডকুমেন্টারি। ৮. শহীদ পরিবারের সদস্য, ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ সদস্য যাদের নির্দেশনা প্রদান করার পরও যারা গুলি করেনি ওই পুলিশ সদস্য, ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের মৌখিক সাক্ষ্য। অভিযোগ নং-৫: ৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখ আশুলিয়া থানা এলাকায় পুলিশ কর্তৃক ৬ জনকে হত্যা করে তাদের লাশ আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া। এর সাক্ষ্য-প্রমাণের মধ্যে রয়েছে- ১. মোবাইলে ধারণকৃত আশুলিয়া থানা পুলিশ কর্তৃক মারণাস্ত্র ব্যবহার করে আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার ওপর গুলিবর্ষণের ভিডিও। ২. হত্যার পর ছয়টি লাশ একটি প্যাডেল ভ্যানে ছুড়ে মারার দৃশ্য এবং চাদর দিয়ে ঢেকে দেওয়ার ভিডিও। ৩. পুলিশ ভ্যানে লাশগুলো পুড়ে যাওয়ার পর পোড়া লাশের ছবি। ৪. নিহতদের পরিবারের সদস্যদের মৌখিক সাক্ষ্য এবং তাদের উপস্থাপিত ছবি ও ভিডিও। ৫. ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের মৌখিক সাক্ষ্য। সাক্ষীদের পরিচিতি: ভিকটিম, আহত, শহীদের পরিবার, ঘটনার সাক্ষী, চিকিৎসা প্রদানকারী ডাক্তার, জব্দতালিকার সাক্ষী, পোস্টমর্টেমকারী ডাক্তার, ভিডিও ধারণকারী সাংবাদিক, আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী, সাংবাদিক, দোষ স্বীকারকারী আসামি, প্রত্যক্ষদর্শী, ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ, ব্যালাস্টিক বিশেষজ্ঞ, ঘটনার পটভূমি ও ঐতিহাসিক বিশ্লেষণকারী, আন্দোলনের সমন্বয়কারী, গুমের শিকার, পুলিশ, ওয়ারলেস অপারেটর, তদন্ত সংস্থার লাইব্রেরিয়ান, বিশেষ তদন্তকারী কর্মকর্তা ও তদন্তকারী কর্মকর্তা। প্রসিকিউশনের প্রার্থনা: সব সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে প্রসিকিউশন মাননীয় ট্রাইব্যুনালের কাছে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রার্থনা করেছে। একই সঙ্গে আসামিদের কাছ থেকে ভিকটিমদের জন্য ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবি করেছে।