পাকিস্তানে অভিযান জোরদার করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। এ অভিযানে অন্তত ৩০০ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছেন। আফগান সীমান্তবর্তী এলাকায় এসব অভিযান চালানো হয়েছে। গত সপ্তাহে ইসলামাবাদে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ১২ জন নিহত হওয়ার পর এ অভিযান জোরদার করা হয়।
শুক্রবার (২১ নভেম্বর) পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) বরাতে ডেইলি সাবাহর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আইএসপিআর জানিয়েছে, নিহতরা তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি) বা এর সহযোগী সংগঠনের সদস্য। ভারতের বিরুদ্ধে এসব সন্ত্রাসীকে সমর্থন দেওয়ার অভিযোগ করেছে পাকিস্তান।
দেশটিতে গত বুধবার খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের কুররম জেলায় পরিচালিত অভিযানে ২৩ সন্ত্রাসী নিহত হয়। সেনাবাহিনী জানায়, সন্ত্রাসীদের আস্তানায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এ অভিযান চালানো হয়।
পরবর্তীতে জারি করা আরেক বিবৃতিতে বলা হয়, মহমান্দ, লাক্কি মারওয়াত ও ট্যাংক জেলায় ১৮–১৯ নভেম্বর তিনটি পৃথক অভিযানে আরও ৭ সন্ত্রাসীকে হত্যা করা হয়।
সেনাবাহিনী জানিয়েছে, বিদেশি শক্তির মদদে পরিচালিত সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে পাকিস্তান পূর্ণ গতিতে অভিযান চালিয়ে যাবে।
ইসলামাবাদ দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছে যে কাবুল সরকার পাকিস্তানি তালেবানসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে আশ্রয় দিচ্ছে। গত সপ্তাহের আদালতপ্রাঙ্গণে আত্মঘাতী হামলাটিও আফগানিস্তান থেকে পরিকল্পনা করা হয়েছিল বলে দাবি করে পাকিস্তান। ওই হামলায় ১২ জন নিহত এবং বহু মানুষ আহত হয়। হামলার দায় স্বীকার করেছে টিটিপির একটি দল।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধেও সন্ত্রাসীদের সমর্থন দেওয়ার অভিযোগ বাড়িয়েছে, যদিও ভারত ও আফগানিস্তান উভয় দেশই এসব অভিযোগ অস্বীকার করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সম্পর্ক সাম্প্রতিক সময়ে তীব্রভাবে অবনতি হয়েছে। গত মাসে সীমান্তে ভয়াবহ সংঘর্ষে উভয়পক্ষ মিলে ৭০ জনের বেশি নিহত হয় এবং সপ্তাহব্যাপী উত্তেজনার পর সীমান্তও বন্ধ হয়ে যায়।