ইরানের পুরোনো স্বর্ণের খনিতে বিশাল মজুতের সন্ধান মিলেছে। সোমবার (১ ডিসেম্বর) স্থানীয় সূত্রের বরাতে মধ্যপ্রাচ্যের সংবাদমাধ্যমগুলোতে এ তথ্য জানানো হয়।
কুর্দিস্তান টুয়েন্টিফোর ও ফার্স নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের অন্যতম স্বর্ণখনি শাদানে এই স্বর্ণের মজুত পাওয়া গেছে। ইরানে বর্তমানে ১৫টি স্বর্ণখনি রয়েছে। এর মধ্যে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জারশোরান খনি সবচেয়ে বড়। দেশের অর্থনীতিতে শাদানের গুরুত্বও অনেক।
পূর্বাঞ্চলীয় দক্ষিণ খোরাসান প্রদেশে শাদান স্বর্ণখনি। এটি বেসরকারি মালিকানাধীন। তবে ঠিক কী পরিমাণ স্বর্ণ পাওয়া যেতে পারে তা প্রকাশ করা হয়নি।
দীর্ঘদিনের আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা ও অর্থনৈতিক চাপে ইরানের অর্থনীতি দুর্বল হয়ে পড়েছে। পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলোর অভিযোগের প্রেক্ষিতে আরোপিত নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি ইসরাইল-ইরান সংঘাতপরবর্তী পরিস্থিতি আরও কঠিন হয়ে ওঠে। এরই মধ্যে স্বর্ণের সন্ধানে দেশটিতে নতুন আশা ছড়াচ্ছে।
গত মাসে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের হরিপুর জেলার তারবেলা এলাকায় বিশাল স্বর্ণের মজুত আবিষ্কৃত হয়েছে। পাকিস্তান ফেডারেশন অব চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফপিসিসিআই) সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি ও এয়ার করাচির চেয়ারম্যান হানিফ গওহর এই দাবি করেছেন।
পাকিস্তানি গণমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানায়, সোমবার (৩ নভেম্বর) করাচি প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এ তথ্য জানান।
হানিফ গওহর বলেন, আবিষ্কৃত স্বর্ণভান্ডারের মূল্য প্রায় ৬৩৬ বিলিয়ন ডলার, যা দিয়ে পাকিস্তানের সব বিদেশি ঋণ পরিশোধ করা সম্ভব।
তিনি বলেন, বিষয়টি ইতোমধ্যে পাকিস্তানের বিশেষ বিনিয়োগ সহায়তা কাউন্সিল (এসআইএফসি) ও পাকিস্তান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (এসবিপি) গভর্নরের নজরে আনা হয়েছে।
পাকিস্তানের এই ব্যবসায়ী নেতা বলেন, খননকাজ শুরুর প্রস্তুতির জন্য অস্ট্রেলিয়া ও কানাডার দুটি ড্রিলিং কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ পেলেই তারবেলার মাটির নিচ থেকে স্বর্ণ উত্তোলনের কাজ শুরু হবে। তবে, এ বিষয়ে সরকারিভাবে কোনো তথ্য প্রকাশিত হয়নি।