মাগুরা শালিখা উপজেলার গঙ্গারামপুর ইউনিয়নের সাবেকখাটোর গ্রামে ২২ দিন বয়সের গরুর বাছুর মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। অফিসার ইনচার্জ শালিখা থানা অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মোছাঃ রোজিনা বেগম (৩৪), স্বামী- মোঃ আরব আলী, পিতা-মোঃ বাবর আলী, সাং-সাবেকখাটোর, ইউনিয়ন-গঙ্গারামপুর, থানা-শালিখা, জেলা-মাগুরা, অত্র থানায় হাজির হইয়া বিবাদী মোঃ শিমুল মোল্যা (৩৫), মোঃ কামরুল মোল্যা (৩০), মোঃ সেলিম মোল্যা (৪০), উভয় পিতা-মৃত রফিউদ্দিন মোল্যা, মোঃ সিয়াম মোল্যা (১৬), পিতা-মোঃ শিমুল মোল্যা, মোঃ আব্দুল্লাহ (২৫), পিতা-মোঃ সেলিম মোল্যা, সাং-সাবেকখাটোর, ইউনিয়ন-গঙ্গারামপুর, থানা-শালিখা, জেলা-মাগুরা, উক্ত ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে এই মর্মে অভিযোগ দায়ের করিতেছি যে, আমি একজন গৃহিনী। বিবাদীরা আমার গ্রাম্য প্রতিবেশী। বিবাদীদের সহিত আমাদের সামাজিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পূর্ব শত্রুতার সৃষ্টি হয়। উক্ত শত্রুতার জের ধরে বিবাদীরা আমার ও আমার পরিবারের সদস্যদের ক্ষতি করার পাইতাড়া করছে। এরই একপর্যায়ে অদ্য ইং-১০/১২/২০২৫ তারিখ দুপুর আনুমানিক ০১ টার সময় আমার ২২ দিন বয়সের গরুর বাছুর বিবাদীদের বাড়ীতে যায়। বিবাদীরা আমার ২২ দিন বয়সের গরুর বাছুর মেরে ফেলেছে। এবিষয়ে স্থানীয় অনেকে জানে ও শুনিয়াছে। পরে আমার পরিবারের সহিত আলোচনা করিয়া থানায় আসিয়া অভিযোগ দায়ের করিতে বিলম্ব হইল। এই বিষয়ে আপাতত অভিযোগ দায়ের করতেছি। পরবর্তীতে তথ্য সংগ্রহ সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করিব। অতএব উক্ত বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করতে চান (মোছাঃ রোজিনা বেগম) এবিষয়ে সরজমিনে বৃহস্পতিবার ১১ ডিসেম্বর বিকাল ৫ টার সময় রোজিনা বেগমের সাথে কথা হলে তিনি জানান, কয়েকদিন আগে আমার আপন ভাই কে মারার সূত্র ধরে আমার ২২ দিন বয়সের বাছুর শিমুলদের বাড়িতে গেলে মারা গেছে উঠানে। আমার সন্দেহ বাছুর কে তারা ছেচা মার দিয়ে মেরে ফেলেছে বাছুরটি তাদের উঠানেই গতকাল বুধবার থেকে পড়ে আছে। আমি আইনের মাধ্যমে বিচার চাই ও অপরাধীদের শাস্তি চাই। এসময় গাভীটি তার বাছুরটির জন্য প্রচন্ড ছটফট করছিলো।
শিমুলদের বাড়ির উঠানে বাছুর পড়ে থাকতে দেখা যায় তখন নায়েব আলী জানান, গতকাল বাড়িতে কেউ ছিলো না তবে বাছুর কে আমি উঠানে শোয়া অবস্থায় মরা দেখেছি। কারা কিভাবে মেরেছে এটা আমার জানা নেয় বলে গড়িমসি কথাবার্তা বলেন।