মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোর শিক্ষা ব্যবস্থা দিন দিন সংকটাপন্ন হচ্ছে। শিক্ষক ও শিক্ষার্থী সংকট, অভাবে থাকা শ্রেণিকক্ষ এবং তদারকীর ঘাটতির কারণে শিক্ষার মান মারাত্মক ভাবে ব্যাহত হচ্ছে। স্থানীয় সূত্র জানায়, অধিকাংশ বিদ্যালয়ে শিক্ষকরা সময়মতো কর্মস্থলে উপস্থিত হন না। নির্ধারিত ছুটির আগেই বিদ্যালয় ত্যাগ, হাজিরা খাতায় সময় উল্লেখ, আবার কেউ কেউ ঢাকায় বসবাসের কারণে প্রতিদিনই দেরিতে আসেন। ফলে শিক্ষার্থীদের পাঠদান প্রক্রিয়া স্থবির হয়ে পড়ছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ৭১ নম্বর আব্দুল্লাহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সকাল ১০টায় তালাবদ্ধ ছিল। শিক্ষকরা ক্লাসে থাকলেও কোনো শিক্ষার্থী পাওয়া যায়নি। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীদের মসজিদে মাইকিং করে ক্লাসে আনতে হয়। একই চিত্র দেখা গেছে টানবলাকী, আনারপুরা, চর চৌদ্দকাহনীয়া, জামালদী, আড়ালিয়া, গুয়াগাছিয়া, পোড়াচক, উত্তর শাহপুর ও চরবাউশিয়া বড়কান্দীসহ একাধিক বিদ্যালয়ে। এছাড়া কয়েকটি বিদ্যালয়ের জমি দখলদারদের কবলে পড়ায় স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। ইমামপুর ও পৈক্ষারপাড়ের বিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত শ্রেণিকক্ষ ও অবকাঠামো না থাকার কারণে শিশুশিক্ষার্থীরা ভোগান্তির মুখে পড়ছে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের প্রায় ৮০টির বেশি পদ শূন্য রয়েছে, যা সংকটকে আরও প্রকট করছে।স্থানীয় অভিভাবকরা দাবি করছেন, দ্রুত কার্যকর তদারকি ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা না হলে গজারিয়ার প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা আরও ভয়াবহ সংকটে পড়বে। এবিষয়ে গজারিয়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শাহানাজ পারভীন মোবাইলে বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।