ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরীফ ওসমান হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের চলমান ঘটনাপ্রবাহ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে গুরুত্বের সঙ্গে প্রচার করা হচ্ছে। বিবিসি, আলজাজিরার মতো গণমাধ্যমগুলো সার্বিক পরিস্থিতি লাইভ ব্লগে তুলে ধরছে।
শুক্রবার বিকেলে আলজাজিরায় প্রধান শিরোনাম ছিল- ‘আন্দোলনের প্রভাবশালী নেতার মৃত্যুর পর বাংলাদেশে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে’। এতে বলা হয়, গত বছর ছাত্র আন্দোলনের এক নেতার মৃত্যুর পর বাংলাদেশে সহিংস বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। লাইভ ব্লগে ঢাকার চলমান ঘটনাপ্রবাহ ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরছে গণমাধ্যমটি।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স শিরোনাম করেছে- ‘বাংলাদেশ রকড বাই ডেথ অব স্টুডেন্ট লিডার, গভর্নমেন্ট ব্লেমস ফ্রিঞ্জ এলিমেন্টস।’ এতে বলা হয়, নির্বাচন সামনে রেখে ছাত্রনেতার মৃত্যু অস্থিরতাকে উসকে দিয়েছে। গণমাধ্যম কার্যালয়, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে। সরকার একদিনের শোক ঘোষণা করেছে। সেই সঙ্গে সবাইকে শান্ত থাকতে বলেছে।
বিবিসিতে ‘আন্দোলনের তরুণ নেতার মৃত্যুতে বাংলাদেশে সহিংসতা অব্যাহত’ শিরোনামের খবরে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার আন্দোলনের অন্যতম নেতা শরীফ ওসমান হাদির মৃত্যুর পর বাংলাদেশে সহিংস বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। একটি পক্ষ দ্য ডেইলি স্টার ও প্রথম আলোর অফিসে ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেয়।
ভারতের এনডিটিভি, টাইমস অব ইন্ডিয়া এবং পাকিস্তানের ডন ও জিও টিভির অনলাইনেও বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে খবর প্রকাশ করা হয়েছে।
১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগরের কালভার্ট রোডে একটি মোটরসাইকেল থেকে হাদিকে গুলি করা হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য সোমবার হাদিকে সিঙ্গাপুর নেওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার তিনি মারা যান।