৪০০ বছর পর চিঠি বিলি বন্ধ করছে ড্যানিশ পোস্ট অফিস

প্রকাশিতঃ ডিসেম্বর ২২, ২০২৫ | ৬:৪৪ পূর্বাহ্ণ
অনলাইন নিউজ ডেক্স

ড্যানিশ ডাক বিভাগ ৩০ ডিসেম্বর তাদের শেষ চিঠি মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেবে। আর এর মধ্য দিয়ে দেশটির ৪০০ বছরের বেশি সময় ধরে চলে আসা এক ঐতিহ্যের অবসান ঘটবে। এ বছরের শুরুর দিকে চিঠি বিতরণ বন্ধের সিদ্ধান্তের কথা জানায় পোস্টনর্ড। ২০০৯ সালে সুইডেন ও ডেনমার্কের ডাক বিভাগ একীভূত হয়ে এই প্রতিষ্ঠানটি গড়ে ওঠে। ড্যানিশ সমাজে ক্রমবর্ধমান ডিজিটালাইজেশনের কথা উল্লেখ করে এই সিদ্ধান্তের কথা জানায় ডাক বিভাগ। এর ফলে প্রতিষ্ঠানটির এক হাজার ৫০০ কর্মী ছাঁটাই করা হবে এবং সড়ক থেকে এক হাজার ৫০০টি লাল রঙা পোস্টবক্স সরিয়ে ফেলা হবে। ডেনমার্ককে বিশ্বের অন্যতম ‘ডিজিটাল দেশ’ হিসেবে অভিহিত করে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, চিঠির চাহিদা সেখানে ব্যাপকভাবে কমে গেছে। অন্যদিকে, অনলাইনে কেনাকাটার প্রবণতা বাড়তে থাকায় তারা এখন চিঠির বদলে পার্সেল বা পণ্য বিলির দিকেই বেশি মনোযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ডেনমার্কের সড়ক থেকে এরই মধ্যে সরিয়ে ফেলা এক হাজার বিশেষ পোস্টবক্স চলতি মাসের শুরুতে বিক্রির জন্য উন্মুক্ত করা হলে মাত্র তিন ঘণ্টার মধ্যে সেগুলো বিক্রি হয়ে যায়। ভালো অবস্থায় থাকা পোস্টবক্সগুলো প্রতিটি ২৩৫ পাউন্ডে এবং কিছুটা পুরোনোগুলো ১৭৬ পাউন্ডে বিক্রি হয়। আগামী জানুয়ারিতে আরও ২০০টি পোস্টবক্স নিলামে তোলা হবে। পোস্টনর্ড জানিয়েছে, তারা সুইডেনে চিঠি বিলি অব্যাহত রাখবে এবং ডেনমার্কের গ্রাহকদের অব্যবহৃত স্ট্যাম্পের টাকা ফেরত দেবে। ডেনমার্কের নাগরিকরা অবশ্য চিঠি পাঠানোর সুবিধা থেকে একদম বঞ্চিত হচ্ছেন না। ‘দাও’ নামের এক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ১ জানুয়ারি থেকে তাদের সেবার পরিধি বাড়াচ্ছে। ১৬২৪ সাল থেকে ডেনমার্কে রাষ্ট্রীয়ভাবে চিঠি বিলি করা হচ্ছে। তবে গত ২৫ বছরে দেশটিতে চিঠি পাঠানোর হার ৯০ শতাংশের বেশি কমে গেছে। মজার ব্যাপার হলো, গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে আবারও চিঠি লেখার আগ্রহ ফিরছে। দাওয়ের গবেষণা অনুযায়ী, ১৮ থেকে ৩৪ বছর বয়সীরা অন্য বয়সীদের তুলনায় দুই থেকে তিন গুণ বেশি চিঠি পাঠাচ্ছেন। দ্য গার্ডিয়ান।