রমজানে দাম বেড়ে যাবে এমন আশঙ্কায় কাউকে খাদ্যপণ্য মজুত না করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, অনেকের প্রবণতা থাকে যে, জিনিসের দাম বেড়ে যাচ্ছে, মজুত করে রাখি। আমি বলব, যখন যেটুকু দরকার সেটুকু কিনুন। বিরোধী দলের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, কিছু আছে মজুতকারী। আর বিরোধী দল তো আছেই- সব সময় ঝামেলা পাকানোর একটা চেষ্টা। মিথ্যাচার নিয়ে বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নেই। মানুষের যেন কষ্ট না হয় রমজান মাসে, তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা আমরা করছি। দেশে ২০ লাখ টন খাদ্য মজুত আছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, দেশে চাউলের কোনো অভাব নেই। সদ্য সমাপ্ত কাতার সফর নিয়ে আজ সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টায় গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। গত ৮ মার্চ প্রধানমন্ত্রী কাতার সফর শেষে দেশে ফেরেন। কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ বিন খলিফা আল থানি ও জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের আমন্ত্রণে এলডিসি সম্মেলনে যোগ দিতে ৪ মার্চ কাতার সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সফরকালে প্রধানমন্ত্রী কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ বিন খলিফা আল থানির সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে কাতার থেকে এলএনজি আমদানি, প্রবাসী শ্রমিকদের ইস্যুসহ দুই দেশের দ্বি-পক্ষীয় সম্পর্ক ও ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ বিষয়ে আলাপ করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সফরে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস, জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের প্রেসিডেন্ট সাবা কোরোসি, কাতার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শেইখা মোজা বিনতে নাসেরের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ ছাড়া জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থাসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।