সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণ এয়ার সেপারেশন কলাম থেকে: তদন্ত কমিটি

প্রকাশিতঃ মার্চ ১৪, ২০২৩ | ১০:১১ অপরাহ্ন
অনলাইন নিউজ ডেক্স

সীতাকুণ্ডে সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে এয়ার সেপারেশন কলামের ত্রুটি থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে তদন্ত কমিটি। এছাড়া মালিকপক্ষের গাফিলতিতে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে দাবি করে কমিটি। মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে তদন্ত কমিটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবেদন হস্তান্তর করে। তবে বিস্ফোরণের কারণ ও সুপারিশের বিষয়ে জেলা প্রশাসক ও তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক কেউ বিস্তারিত কিছু বলতে রাজি হননি। এ সময় তদন্ত কমিটির সদস্য জেলা পুলিশের অতিরিক্ত সুপার সুদীপ্ত সরকার ও ফায়ার সার্ভিসের উপ পরিচালক আবদুল হালিম উপস্থিত ছিলেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাকিব হাসান বলেন, ‘অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের ঘটনা এটাই বাংলাদেশে প্রথম। শুধু তাই নয়, গত এক দশকে সারা পৃথিবীতে ৪-৫টির বেশি দুর্ঘটনা ঘটেনি। আমরা চেষ্টা করেছি, তদন্তে পুরো বিষয়টা তুলে আনতে। একই সঙ্গে ৯টি সুপারিশ করা হয়েছে। এসব সুপারিশ সরকার অবশ্যই বাস্তবায়ন করবে বলে আশাবাদী।’ আরেক প্রশ্নের জবাবে রাকিব হাসান বলেন, ‘কিছু অবহেলা অবশ্যই ছিল। যার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে পুরো প্রতিবেদন ও সুপারিশমালা জানানো হবে।’ জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, ‘সব অক্সিজেন প্ল্যান্ট থেকে ২-৩ জন করে প্রতিনিধিকে নিয়ে ওয়ার্কশপ করা হচ্ছে। এছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ কারখানাগুলোতে ২-৩দিনের মধ্যে পরিদর্শন করা হবে। সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টের পর ইউনিটেক্সের তুলার গুদামে আগুন লাগার ঘটনা উল্লেখ করে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘সেখানে কোনো জলাধার ছিল না। যত্রতত্র শিল্প কারখানা গড়ে উঠেছে। কোন পুকুর বা জলাধার নেই। অনেক দূর থেকে পানি আনতে হয়েছে। ফলে দুর্ঘটনা হলে সঙ্গে সঙ্গে আগুন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় না।’ বিস্ফোরণের কারণ হিসেবে তদন্ত কমিটির এক সদস্য বলেন, ‘সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টের এয়ার সেপারেশন কলামে ত্রুটি ছিল। সেটি তারা অদক্ষ লোক দিয়ে পরিচালনা করছিল। যার কারণে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া নাশকতার কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। মালিক পক্ষের অবহেলায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।’ প্রসঙ্গত, গত ৪ মার্চ সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণে ৭ জন নিহত হয়। আহত হয় আরও ২৫ জন। সেদিন ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে জেলা প্রশাসন। পরে কমিটিতে আরও দুজন সদস্যকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। শুরুতে ৫ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার কথা থাকলেও পরে দুদিন সময় বাড়িয়ে প্রতিবেদন দেওয়া হয়।