জানায় মার্কিন সামরিক বাহিনী। মার্কিন সামরিক বাহিনীর ইউরোপীয় কমান্ড বলেছে, ‘রাশিয়ার অনিরাপদ ও অপেশাদার এ আচরণের কারণে ড্রোনটি বিধ্বস্ত হয়েছে। ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায়নি।’ ইকনোমিস্ট ম্যাগাজিনের প্রতিরক্ষা বিষয়ক সম্পাদক শশাঙ্ক জোশী বিবিসিকে বলেন, ‘রুশরা গায়ে পড়ে ড্রোনের পেছনে লাগার চেষ্টা করছে কারণ এগুলো তাদের (রুশদের) যোগাযোগব্যবস্থায় বাধা তৈরি করছে।’ হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, ‘কৃষ্ণসাগরের উপরে যুক্তরাষ্ট্রের আকাশযানের রুশদের মুখোমুখি হওয়ার ঘটনা বিরল নয়, তবে এবারই প্রথম সংঘর্ষ হলো এবং বিধ্বস্তের ঘটনা ঘটল।’ গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলটিতে যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্র দেশগুলোর সামরিক কার্যক্রম চলমান থাকবে বলেও জানানো হয়েছে। কৃষ্ণসাগরের পাড়ঘেঁষে রয়েছে বুলগেরিয়া, জর্জিয়া, রোমানিয়া, রাশিয়া, তুরস্ক ও ইউক্রেন। মূলত ২০১৪ সালে রাশিয়া ইউক্রেনের ক্রিমিয়া দখল করে নিলে এ অঞ্চলে উত্তেজনার সূত্রপাত ঘটে। এরপর গত বছর পুরোদমে রাশিয়ার ইউক্রেন আগ্রাসনের ফলে অঞ্চলটিতে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য নজরদারিমূলক উড্ডয়ন বাড়িয়ে দেয়। তবে আন্তর্জাতিক আকাশসীমায় সচরাচর এমন উড্ডয়ন করে থাকে যুক্তরাষ্ট্রসহ মিত্র দেশগুলো।