অস্থিরতা বিরাজ করছে পাঁচ বিশ্ববিদ্যালয়ে

প্রকাশিতঃ মার্চ ১৫, ২০২৩ | ৭:১৮ পূর্বাহ্ন
অনলাইন নিউজ ডেক্স

দেশের পাঁচ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থিরতা বিরাজ করছে। ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব, সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর কিছু নেতার নির্যাতনসহ বেপরোয়া আচরণ ও চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া শিক্ষক রাজনীতি ও নিয়োগ বাণিজ্য এবং স্থানীয়দের সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বৈরী সম্পর্ককে কেন্দ্র করে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এতে নষ্ট হচ্ছে ক্যাম্পাসের শিক্ষার পরিবেশ। সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে উদ্বেগ-আতঙ্ক। সাম্প্রতিক সময়ে আলোচিত ইস্যু হচ্ছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এলাকাবাসীর সংঘর্ষের ঘটনা। এক সাধারণ ছাত্রের সঙ্গে বাসে বচসার ঘটনা স্থানীয়দের মধ্যে টেনে নেন এক দোকানি। সেটি পরে এমন আকার ধারণ করে। ঘটনার জেরে ওই বাজারে অগ্নিসংযোগ থেকে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে দুই শতাধিক ছাত্র আহত হয়। দুদিন ক্যাম্পাসে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকে। দুই ছাত্রীর ভিডিও ধারণের ইস্যুতে মঙ্গলবার রাতে স্থানীয়দের সঙ্গে একই ঘটনা ঘটে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে। এর আগে প্রতিষ্ঠানটির একটি হলে এক সাধারণ ছাত্রীকে রাতভর নির্যাতন করেন ছাত্রলীগের কয়েক নেত্রী। সেই ঘটনার রেশ শেষ না হতেই উপাচার্যের অডিও ফাঁসের ঘটনায় নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে নিয়োগ প্রত্যাশী ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা মাঠে নেমেছেন। উপাচার্যের সঙ্গে মতবিরোধ, প্রশাসনপন্থিদের বিভিন্ন নির্বাচনে ভরাডুবি ও নিয়োগ কেলেঙ্কারি ইস্যুতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরসহ প্রশাসনের ১৮ কর্মকর্তা পদত্যাগ করেছেন। এতে সংকট আরও বড় আকার ধারণ করেছে। কুমিল্লা আর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে ক্যাম্পাসে সৃষ্টি হয়েছে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি। জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য ও কুয়েটের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, ক্যাম্পাস সমাজবিচ্ছিন্ন কোনো দ্বীপ নয়। ভেতর ও বাইরের উপাদান মিলে যে কোনো ঘটনা ঘটাই স্বাভাবিক। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগত ইস্যুতে সংঘটিত ঘটনা কিংবা কুমিল্লা ও জাহাঙ্গীরনগরে রাজনৈতিক ইস্যুতে সৃষ্ট পরিস্থিতি তেমনই স্বাভাবিক ঘটনার অংশ। কিন্তু এটি নিয়ন্ত্রণ ও শান্ত করার পদ্ধতি, লোকবল এবং আইন ও বিধিবিধান বিশ্ববিদ্যালয়কে দেওয়া আছে। যদি কর্তৃপক্ষ দ্রুততার সঙ্গে তা প্রয়োগ করতে না পারে তবে তা তাদের অদক্ষতা। তিনি আরও বলেন, তবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের পদত্যাগ আর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ ইস্যুতে উপাচার্যের অডিও ভাইরালের ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক। এসব ঘটনা হঠাৎ করে ঘটেনি। সংশ্লিষ্টদের ওপর আস্থাহীনতা থেকে এমন ঘটনা ঘটে থাকে। ছাত্র রাজনীতি-উপাচার্যের কারণে ইবি অস্থিতিশীল : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো প্রায় একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে। ক্যাম্পাসে আসা দুই বহিরাগত ছাত্রীদের ভিডিও ধারণ করে। এরপর দুই ছাত্র বহিরাগতদের ধরে ভিডিও মুছে দিতে বাধ্য করে। কিন্তু বিকালে বাজারে মোটরসাইকেলের তেল আনতে গেলে ওই দুই ছাত্র এলাকাবাসীর মারধরের শিকার হন। এরপরই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস ছেড়ে মহাসড়কে বেরিয়ে আসে। ইবি প্রতিনিধি সরকার মাসুম আরও জানান, সম্প্রতি ঘটে যাওয়া আরও বেশ কিছু ঘটনায় ক্যাম্পাসে বিরাজ করছে অস্থিরতা। গত ১১ ও ১২ মার্চ একটি আবাসিক হলে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের দ্বারা এক নবীন ছাত্রীকে রাতভর নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। যা দেশব্যাপী সমালোচিত হয়। এর মাঝেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিসির বেশ কয়েকটি অডিও ক্লিপ ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভসহ সব মহলে সমালোচনা চলছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে নান আলোচনা-সমালোচনা। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবাই অস্বস্তি প্রকাশ করে এ থেকে পরিত্রাণ চেয়েছেন। কিন্তু এই অবস্থার মধ্যে মঙ্গলবার রাতে এলাকাবাসীর সঙ্গে সংঘর্ষ ক্যাম্পাসে অস্থিরতার পাশাপাশি নিরাপত্তাহীনতা নতুন করে বাড়িয়ে দিয়েছে। ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনা নানা চড়াই-উতরাইয়ের মধ্যে শেষ হয়েছে। ওই ছাত্রী নিয়মিত ক্লাস করছে। কিন্তু এর রেশ না কাটতেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে থাকে ভিসির নিয়োগ সংক্রান্ত আলাপের অডিও। এ ঘটনায় ভিসির অনুপস্থিতিতে তার কার্যালয়ে তালা দিয়ে তিনদিন আন্দোলন করে চাকরিপ্রত্যাশী ছাত্রলীগের সাবেক নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে থানায় জিডি করা হয়। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গত ১৯ ও ২২ ফেব্রুয়ারি পৃথক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে মোট পাঁচটি নিয়োগ নির্বাচনি বোর্ড স্থগিত করে কর্তৃপক্ষ। এ প্রসঙ্গে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. তপন কুমার জোদ্দার বলেন, গত এক মাসের বেশকিছু ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় ভাবমূর্তি সংকটে পড়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্বস্তিকর পরিবেশ বিরাজ করছে। এগুলো দ্রুত সমাধান হওয়া প্রয়োজন। অন্যথায় ছোট ছোট সমস্যা যে কোনো সময় অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো বড় আকার ধারণ করতে পারে। প্রক্টরের কারণে ক্যাম্পাস অশান্ত : কুমিল্লা ব্যুরো থেকে আবুল খায়ের জানান, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ফের অস্থিরতা বিরাজ করছে। প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকীর মদদে এবং ছাত্রলীগ নেতা রেজা-ই এলাহীর প্রশ্রয়ে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই দুই ব্যক্তির কারণে ক্যাম্পাসে একের পর এক ঘটনা ঘটাচ্ছে সন্ত্রাসী ও খুনি বিপ্লব বাহিনী। তাদের হাতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা মারধরের শিকার হচ্ছে। এছাড়া ক্যাম্পাস দখলের চেষ্টার অংশ হিসাবে অস্ত্রের মহড়াও মাঝে মধ্যে চলে। এসব নিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে প্রক্টরের অপসারণ এবং শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ এবং মানববন্ধন করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ঘাতক বিপ্লব চন্দ্র দাসকে এখন প্রক্টর ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের বড় একটি অংশকে দমন থেকে শুরু করে নানান অঘটনে ব্যবহার করা হচ্ছে বিপ্লব ও তার বাহিনীকে। পুরস্কার হিসাবে ইতোমধ্যে তার ছাত্রত্ব ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। শহিদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রাফিউল আলম দীপ্ত এ প্রসঙ্গে বলেন, কাজী ওমর সিদ্দিকী প্রক্টর হওয়ার পর স্বঘোষিত খুনি বিপ্লব চন্দ্র দাস ক্যাম্পাসে নিয়মিত আসা-যাওয়া করছে। এমনকি কয়েকদিন আগে তার ছাত্রত্ব ফিরিয়ে দেওয়া হয়। সাম্প্রতিক সময়ে তার কর্মকাণ্ডগুলোই বলে দেয়, প্রশাসন তাকে সামনে রেখে ক্যাম্পাসে ফের লাশের রাজনীতি করতে চায়। আর কাজী নজরুল ইসলাম হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল হোসেন পলাশ বলেন, এই প্রশাসন আসার পর থেকেই বিপ্লব আবার আগের মতো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। ক্যাম্পাসে আতঙ্ক তৈরি করছে। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিভিন্ন সময়ে অস্ত্র দেখিয়ে ত্রাসের রাজত্ব তৈরি করেছে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, শিক্ষার্থীদের একটি অংশ আমার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে। এসব ঘটনার সঙ্গে আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং ক্যাম্পাসের স্থিতিশীলতা বজায় রাখা আমার দায়িত্ব। বেপরোয়া ছাত্রলীগ : জাবি প্রতিনিধি মোসাদ্দেকুর রহমান জানান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাল্লা দিনে দিনে ভারী হচ্ছে। গত কয়েক মাসে জাবি ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য পরিবহণে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার, সাধারণ শিক্ষার্থীদের মারধর, প্রবাসীকে মারধর, বহিরাগতদের মারধর ও ছিনতাই, অপহরণ, চাঁদাবাজিসহ নানা অভিযোগ ওঠে। গত ১০ মার্চ মুক্তমঞ্চে অনুষ্ঠান চলাকালে মঞ্চে উঠতে না দেওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তাসহ এক ব্যান্ডদলের অতিথিকে মারধরের অভিযোগ ওঠে কয়েকজনের বিরুদ্ধে। এরা হলেন শাখা ছাত্রলীগের উপবিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক উৎস দত্ত, উপছাত্রবৃত্তি বিষয়ক সম্পাদক অরবিন্দ ভৌমিক ও উপ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক সবুজ রায়। এ সময় প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহিন তাদের থামাতে গেলে তাকেও মারধর করা হয়। এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আক্তারুজ্জামান সোহেল বলেন, ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ এগুলো অতি-উৎসাহী কিছু কর্মীর কাজ। তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আমরা কখনোই তাদের এ ধরনের নির্দেশনা দিই না। বরং বর্তমান কমিটি দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশনা মোতাবেক কাজ করে যাচ্ছে। ছাত্রলীগ কখনোই সন্ত্রাসীদের প্রশ্রয় দেয় না। চবিতে যত অভিযোগ ভিসির বিরুদ্ধে : চবি প্রতিনিধি জানান, গত কয়েক বছর ছাত্রলীগের বিবদমান গ্রুপগুলোর মধ্যকার সংঘাত-সংঘর্ষে অস্থিতিশীল হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু বর্তমানে চলমান অস্থিরতা তৈরি হয়েছে শিক্ষকদের রাজনীতির কারণে। উপাচার্যের সঙ্গে দীর্ঘদিনের মতবিরোধের কারণে সোমবার পর্যন্ত প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকা ১৮ জন পদত্যাগ করেছেন। উপাচার্যের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে শিক্ষকদের বিভিন্ন দাবির প্রতি ভ্রূক্ষেপ না করা, শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম-দুর্নীতিসহ বেশ কিছু অভিযোগ আছে পদত্যাগীদের। পদত্যাগ করা এক সহকারী প্রক্টর বলেন, তারা চেষ্টা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজ অব্যাহত রাখতে। তবে তাদের নামে এমন কিছু অভিযোগ আনা হয়েছে যেগুলোর সঙ্গে তারা কোনোভাবেই জড়িত নন। পাশাপাশি তাদের সঙ্গে অসহযোগিতামূলক আচরণও করা হয়েছে। প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা ব্যক্তিদের মতামতের প্রাধান্য না দেওয়ার অভিযোগও করেন তিনি। চবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, কিছুদিন আগেও তাদের মধ্যে দহরম-মহরম সম্পর্ক ছিল। এরই মধ্যে কী এমন ঘটল যে, সবাই একযোগে পদত্যাগ করল! এখানে নিশ্চিতভাবে বোঝা যায়, প্রশাসনের সঙ্গে তাদের ভাগবাটোয়ারায় সমস্যা হওয়ায় তারা এ কাজ করেছে। বাসের বচসার রেশ ক্যাম্পাসে : রাবি প্রতিনিধি জানান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এবার আলোচনায় এসেছে এলাকাবাসীর সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায়। এ ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় ৫০০ জনকে আসামি করে মামলা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একই ঘটনায় মামলা করেছে মতিহার থানা পুলিশ। এতে ৩০ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম হুমায়ুন কবীরকে প্রধান করা হয়েছে। দুদিন উত্তাল থাকার পর সোমবার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হয় কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার পাওয়া খবর অনুযায়ী, ছাত্রছাত্রীরা ক্লাসে ফিরেছে।