বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে নির্ধারিত বেষ্টনীর ভেতর চঞ্চল থাকা ১৪ বছর বয়সী বাঘিনীটি গত ৬ ফেব্রুয়ারি হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে খাওয়া বন্ধ করে দেওয়ায় ধীরে ধীরে দুর্বল হতে থাকে। বন্ধ হয়ে যায় গর্জন, হাঁটাচলা। সে সময়ই সাফারি পার্কের চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে বাঘিনীটির শুশ্রূষা শুরু করে কর্তৃপক্ষ। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে পার্ক কর্তৃপক্ষ জানায়, বাঘিনীর শরীরে ঘটেছে হেপা-টু নিউমোনিটিস ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ। এর প্রভাবে বাঘিনীটির লিভারে জটিলতা ও যক্ষ্মা রোগ দেখা দেয়। এমন পরিস্থিতিতে প্রাণীটি বাঁচাতে গঠন করা হয় মেডিকেল বোর্ড। রাজধানীর কেন্দ্রীয় ভেটেরিনারি হাসপাতালের সাবেক প্রধান ডা. এ বি এম শহীদুল্লাহর তত্ত্বাবধানে গত প্রায় দেড় মাস নিবিড় চিকিৎসা চলছিল। কিন্তু সব চেষ্টা ব্যর্থ করে বুধবার মারা গেছে বাঘিনীটি। এ দিন বিকেলেই ময়নাতদন্ত শেষে মৃত বাঘিনীটি মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে। শ্রীপুর থানায় করা হয়েছে জিডি। পার্কের দায়িত্বে থাকা সহকারী বন সংরক্ষক রফিকুল ইসলাম জানান, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মাধ্যমে বাঘিনীটির চিকিৎসা চলছিল। প্রাণীটি পার্কের চিকিৎসা কেন্দ্রে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। কিন্তু কোনোভাবেই সে সেরে ওঠেনি। বাঘিনীটি বেশিরভাগ সময় চোখ বন্ধ করে রাখত। পার্ক প্রতিষ্ঠার শুরুর দিকে ২০১৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আরও কয়েকটি বাঘের সঙ্গে বাঘিনীটি আনা হয়েছিল। তখন এর বয়স ছিল চার বছর। এর আগে গত বছরের জানুয়ারিতে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে আরেকটি বাঘ মারা যায়।