রাষ্ট্রীয় সফরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) গেছেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ। রোববার তিনি আবুধাবিতে পৌঁছান। তার সঙ্গে আছেন স্ত্রী আসমা আল-আসাদও। গত বছর আসাদের আমিরাত সফরের তুলনায় এবার দেশটিতে তাকে স্বাগত জানানোয় আনুষ্ঠানিকতা করা হয়েছে বেশি। গতবছরের সফরটি ছিল ২০১১ সালে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরুর পর আসাদের প্রথম কোনও আরব দেশ সফর। গৃহযুদ্ধের শুরুর দিকে সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ উপসাগরীয় আরব দেশগুলো আসাদ-বিরোধী বিদ্রোহীদের সমর্থন দিয়েছিল। আমিরাতের রাষ্টীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, আবুধাবিতে পৌঁছার পর প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল-নাহিয়ানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন আসাদ। সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের গাড়িবহর রাজকীয় প্রাসাদে প্রবেশের সময় তোপধ্বনি করে অভিবাদন জানানো হয়। আসাদকে বহনকারী বিমানকেও অভ্যর্থনা জানিয়েছে আমিরাতের যুদ্ধবিমান। মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্র মিত্র আরব আমিরাত সিরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক নতুন করে স্থাপনের পথে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে। তুরস্ক ও সিরিয়ার বিপর্যয়কারী ভূমিকম্পের পর গত মাসে প্রথম বিদেশ সফরে ওমানে গিয়েছিলেন আসাদ। পরে এ মাসের শুরুতে তিনি রাশিয়া সফর করেন। সৌদি আরব, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাত এক সময় সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আসাদকে উৎখাত করতে বিদ্রোহীদের সমর্থন দিয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি কয়েক বছরে যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তির মুখেও আরব আমিরাত সিরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্গঠনের পথে এগিয়েছে। ইরানের প্রভাব মোকাবেলা করতেই এ পথে হাঁটছে তারা। সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে ইরানসহ রাশিয়াও আসাদকে সমর্থন দিয়েছে। আঞ্চলিক শক্তিধর দেশ সৌদি আরব সম্প্রতি তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে চুক্তি করে সিরিয়ার সঙ্গে আলোচনার দ্বার উন্মুক্ত করেছে। সিরিয়াকে একঘরে করে রাখাটা কাজে আসছে না বলেই আরব দেশগুলো একমত পোষণ করছে, বলছে সৌদি আরব।