শনিবার (২৫ মার্চ) দুপুর ১২ টায় কেন্দুয়া উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাবেরী জালালের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো.নূরুল ইসলাম। প্রধান অতিথি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো.নূরুল ইসলাম বলেন, প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান অপারেশন সার্চ লাইট পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সব পদক্ষেপ চূড়ান্ত করে গোপনে ঢাকা ত্যাগ করে করাচি চলে যান। সেনা অভিযানের শুরুতেই হানাদার বাহিনী বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তার ধানমন্ডির বাসভবন থেকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের আগে ২৬ মার্চ (২৫ মার্চ মধ্যরাতে) বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং যে কোন মূল্যে শত্রুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান। বঙ্গবন্ধুর এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাঙালী পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং দীর্ঘ ৯ মাস সশস্ত্র লড়াই শেষে একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর পূর্ণ বিজয় অর্জন করে। বিশ্বের মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে নতুন রাষ্ট্র বাংলাদেশের। কেন্দুয়া উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মো. আশরাফ উদ্দিন ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, কেন্দুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট আব্দুল কাদির ভূঁইয়া,উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রাজীব হোসেন, কেন্দুয়া থানা ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলী হোসেন পিপিএম, কেন্দুয়া মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মো.বজলুর রহমান,কেন্দুয়া উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা প্রমূখ। এসময় কেন্দুয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো.আজহারুল আলম, কেন্দুয়া উপজেলা প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আমিনুল ইসলাম, কেন্দুয়া রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি আসাদুল করিম মামুন,কেন্দুয়া উপজেলা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মহিউদ্দিন সরকার, শিক্ষক মো.হারুন অর রশিদ কেন্দুয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সিরাজুল ইসলাম,সাংবাদিক আবুল কাশেম আকন্দ উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভা শেষে গণহত্যা দিবসে নিহত সকল শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন ও তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া পরিচালনা করেন কেন্দুয়া উপজেলা জামে মসজিদের পেশ ঈমাম মওলানা ওবায়দুল্লাহ।