সিরিয়ায় মুখোমুখি যুক্তরাষ্ট্র-ইরান

প্রকাশিতঃ মার্চ ২৬, ২০২৩ | ৯:৫৯ পূর্বাহ্ন
অনলাইন নিউজ ডেক্স

এবার যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করল সিরিয়ায় ইরানসমর্থিত বাহিনী। তারা জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র আরও বিমান হামলা চালালে জবাব দেওয়ার জন্য তাদের কাছেও শক্তিশালী অস্ত্র রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার থেকে সিরিয়ায় ইরানপন্থী বাহিনী ও যুক্তরাষ্ট্র মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে। পাল্টাপাল্টি হামলার পাশাপাশি শনিবার হুঁশিয়ারিও করেছে দুই পক্ষ। খবর আল জাজিরার। সিরিয়ায় ইরানের উপদেষ্টা কমিটির স্বাক্ষরিত অনলাইন বিবৃতিতে মার্কিন বিমান হামলায় বেশ কয়েকজন যোদ্ধা নিহত ও আহত হওয়ার কথা জানানো হয়েছে। যদিও নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত করা হয়নি। বিবৃতিতে বলা হয়, সিরিয়ায় আমাদের কেন্দ্র ও বাহিনীকে লক্ষ্যবস্তু করা হলে তার জবাব দেওয়ার ক্ষমতা আমাদের আছে। এর আগে বৃহস্পতিবার সিরিয়ার হাসাকায় ড্রোন হামলায় এক মার্কিন সামরিক ঠিকাদার নিহত এবং আরেক ঠিকাদার ও পাঁচ সেনা আহত হয়। হামলায় ব্যবহৃত ড্রোনগুলোর উৎস ইরান বলে ধারণা মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর। এর জবাবে বৃহস্পতিবার রাতে মার্কিন এফ-১৫ জঙ্গি বিমানগুলো ইরানপন্থী গোষ্ঠীগুলোর স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালায়। এরপর শুক্রবার সকালে সিরিয়ার আল ওমর তেল ক্ষেত্রের কাছে একটি মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা হলে দেশটির পূর্বাঞ্চলের আরও কয়েকটি এলাকায় রকেট হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। সর্বশেষ মার্কিন ঘাঁটিতে হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের একজন সেনা আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা। পাল্টাপাল্টি হামলার পর ইরানকে হুঁশিয়ার করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেছেন, মার্কিন নাগরিকদের রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র আরও জোরালো পদক্ষেপ নিতে পারে। কানাডা সফরকালে বাইডেন বলেন, ‘কোনো ভুল করবেন না। ইরানের সঙ্গে আমরা সংঘর্ষ চায় না। তবে জনগণকে রক্ষায় আমাদের আগ্রাসী পদক্ষেপের জন্য প্রস্তুত থাকুন।’ ইরানকে উচ্চমূল্য চুকাতে হবে কিনা পশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা থামব না। এদিকে মার্কিন বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৯ জনে দাঁড়ানোর তথ্য দিয়েছে সিরিয়ার যুদ্ধ পর্যবেক্ষণকারী যুক্তরাজ্যভিত্তিক গোষ্ঠী ‘সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস’। শনিবার তারা জানায়, মার্কিন হামলায় যে ১৯ জন নিহত হয়েছেন তাদের মধ্যে তিনজন সিরীয় সেনা, ১১ জন সরকারপন্থি মিলিশিয়া এবং ৫ জন সিরীয় সরকারপন্থি বিদেশি যোদ্ধা। সিরিয়ায় এক যুগ ধরে চলা গৃহযুদ্ধে দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ ইরানের কাছ থেকে বড় ধরনের সমর্থন পেয়ে আসছেন। লেবাননের হিজবুল্লাহ গোষ্ঠী এবং তেহরানপন্থি ইরাকি গোষ্ঠীগুলোসহ ইরানের ছায়া বাহিনীগুলো সিরিয়ার পূর্ব, দক্ষিণ ও উত্তরাঞ্চলে এবং রাজধানী দামেস্কের আশপাশের বিশাল এলাকায় নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে। দেশটিতে ইরানের বাড়তে থাকা প্রভাবে উদ্বিগ্ন ইসরায়েল তেহরানপন্থি গোষ্ঠীগুলোর অবস্থানে প্রায়ই বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালেও যুক্তরাষ্ট্রের এ ধরনের হামলা অনেকটা বিরল ঘটনা।