১৮ মাস পর টেকনাফে কুমিল্লার রফিকুলকে পরিবারকে তুলে দিল মারোত

প্রকাশিতঃ মার্চ ২৯, ২০২৩ | ৫:২৯ পূর্বাহ্ন
অনলাইন নিউজ ডেক্স

নাম তার রফিকুল ইসলাম বাড়ী কুমিল্লা মুরাদনগরের সোনাকান্দা ইউনিয়নের শ্রীকাইল গনি সর্দারের বাড়ীর মোহাম্মদ শিশু মিয়ার পুত্র। দীর্ঘ আঠারো মাস আগে ঘর থেকে ঘুরতে বের হয়ে আর ফিরেনি। মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে পথে পান্তরে ঘুরে বেরিয়েছে। এদিকে মানসিক রোগীদের তহবিল- মারোত টেকনাফের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মানসিক রোগীদের সেবা দিয়ে আসছে দীর্ঘ ছয় বছর ধরে, নিয়মিত খাবার বিতরণ, প্রাথমিক চিকিৎসা, কাপড় বিতরণ, বেওয়ারিশ লাশ দাফন করে আসছে সংগঠনটি। গেল (২৬শে মার্চ) মারোত নয়াপাড়া ইউনিট এর সদস্য মোহাম্মদ মোহাম্মদ বিন হারুন এর ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান এর সামনে একজন মানসিক রোগী ঘুরাঘুরি করছে দেখে তার পরিচয় জিজ্ঞাসা করলে সে আংশিক কিছু বলতে চায়, কিন্তু পুরোপুরি বলতে পারেনা দেখে নিকটস্থ মারোত কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি ঝুন্টু বড়ুয়ার স্বরনাপর্ন হন। দীর্ঘদিন এর অভিজ্ঞতা র আলোকে তাকে জেরা করে তার পরিচয় মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে পরিবারের নিকট যোগাযোগ করতে সমর্থ হন। পরিবারের লোকজন তৎক্ষনাৎ তাকে ফিরিয়ে নিতে আগ্রহী হয়। এরই প্রেক্ষিতে পরিবারের লোকজন টেকনাফ নোয়াপাড়া বাজারে উপস্থিত হলে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্ট হয়। মানসিক রোগীদের তহবিল কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে এক অনারম্বর হস্তান্তর অনুষ্ঠান (২৭শে মার্চ) সোমবার সন্ধ্যায় নোয়াপাড়া বাজারে মারোত কেন্দ্রীয় সভাপতি আবু সুফিয়ান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। মারোত কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি ঝুন্টু বড়ুয়া র সার্বিক তত্বাবধানে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন টেকনাফ সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক সন্তোষ কুমার শীল, মারোত টেকনাফ পৌর ইউনিট এর আহবায়ক সাইফুল হাকিম, কেন্দ্রীয় কমিটির সহসাধারণ সম্পাদক মোবারক হোসেন ভুইয়া, আইটি ও দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ হোসাইন আমিরী নোয়াপাড়া ইউনিট এর মোহাম্মদ হারুন, সেন্টমার্টিন ট্রাভেলস এর ইনচার্জ নুর মোহাম্মদ প্রমুখ। মানসিক রোগীর পরিবারের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন বড় ভাই তাজুল ইসলাম, বোনজামাই মোহাম্মদ মিন্টু মিয়া, ছোট ভাই জহিরুল ইসলাম, ভাইফো রাকিবুল ইসলাম। কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ঝুন্টু বড়ুয়া জানান, মানসিক ভারসাম্যহীনদের নিয়ে কাজ করা এই সংগঠন নিয়মিত খাবার বিতরণ এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানে কাপড় চোপড় প্রদান, পরিবারের নিকট হস্তান্তর, মানসিক রোগী মৃত্যু হলে যথাসম্ভব কাফন দাফনের ব্যবস্থা করে থাকেন। সভায় পরিবার এর লোকজন মারোত এর কার্যক্রম ভুয়সী প্রশংসা করেন ও কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেন। অনুষ্ঠান শেষে মারোত এর পক্ষে হস্তান্তর পত্র গ্রহণ করে কুমিল্লা বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হন