নিজের ছেলেকে খুব ভালো শিক্ষা দিচ্ছেন আপনি। খুব ভালো মানুষ তৈরি করছেন। ওই ছেলেটি যে টিফিন নিতে রাজি হয়েছে, সেটিও ভালো। আমিও খুব গরিব ছিলাম। স্কুলের খাবার কিনে খাাওয়ার ক্ষমতা ছিল না। দোষ না থাকলেও সেটা নিয়ে লজ্জা পেতাম।’ একজন মায়ের আচরণে এমন প্রসংশামূলক মন্তব্যে মুগ্ধতা ছড়াছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ছেলের জন্য রোজ কলেজে টিফিন পাঠাতেন গৃহবধূ। এখন ছেলের পাশাপাশি তার এক সহপাঠীর জন্যও প্রতিদিন টিফিন পাঠান তিনি। কারণ ছেলের কাছ থেকেই তিনি জানতে পারেন, ওই সহপাঠী ঠিকমতো খেতে পাচ্ছে না। মা হয়ে কীভাবে সব শুনেও চুপ করে বসে থাকবেন! তাই যা করার, তা-ই করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার এ পদক্ষেপের দারুণ প্রশংসা করেছেন নেটিজেনরা। খবর এনডিটিভির। মহীয়সী ওই নারীর নাম অ্যান্টোনিয়া। নিজেই টুইটারে ছেলের সহপাঠীকে খাবার পাঠানোর গল্প জানিয়েছেন। সঙ্গে ছবি দিয়েছেন দুজনের টিফিনের। অ্যান্টোনিয়া লিখেছেন, কলেজে আবার ছেলের একজন বন্ধু হয়েছে। ছেলে দেখে, গত কয়েক দিন ধরে সে কিছুই খায় না। আমার ছেলে নিজের টিফিন থেকে ভাগ দিতে থাকে তাকে। ওই সহপাঠী জানায়, গত কয়েক দিন ধরে তিনি অভুক্ত। আমি তার পর থেকে রোজ দুই বাক্স করে টিফিন পাঠাই। যাতে দুজনেই মন দিয়ে লেখাপড়া করতে পারেন।’ নারীর এই পদক্ষেপের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন নেটিজেনরা। একজন লিখেছেন, এত ভালো মা হওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।’