মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, সর্বদলীয় ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের অন্যতম নেতা, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য নূরে আলম সিদ্দিকীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার এক শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, নুরে আলম সিদ্দিকী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের প্রতি অবিচল থেকে আইয়ুববিরোধী আন্দোলন, ছয় দফা আন্দোলন এবং ‘৭০-এর নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের একজন সংগঠক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে জাতির এই সাহসী সন্তানের অবদান পরবর্তী প্রজন্ম চিরকাল শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।’ প্রধানমন্ত্রী তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। প্রসঙ্গত, বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর, স্বাধীন বাংলা কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি নূরে আলম সিদ্দিকী মারা গেছেন। বুধবার ভোরে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মরদেহ হেলিকপ্টারে করে ঢাকা থেকে ঝিনাইদহের উদ্দেশে রওনা হয়েছে। বেলা ১১টায় পৌঁছানোর কথা। মরদেহ ঝিনাইদহ শহরের চাকলাপাড়ায় তাঁর বাড়িতে রাখা হবে। বাদ জোহর সরকারি বালক বিদ্যালয় মাঠে জানাজা হবে। জানাজা শেষে মরদেহ আবার ঢাকায় নেওয়া হবে। বাদ আছর গুলশানের আজাদ মসজিদে তাঁর জানাজা হবে। এ সময় নূরে আলম সিদ্দিকীকে \'গার্ড অব অনার\' দেওয়া হবে। সাভারের জিনারীবাজারে নিজের তৈরি করা মসজিদে সর্বশেষ জানাজা শেষে সেখানেই তাঁকে দাফন করা হবে। নুরে আলম সিদ্দিকী একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭৩-১৯৭৫ সাল পর্যন্ত তিনি যশোর-২ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। তার জন্ম ১৯৪০ সালের ২৬ মে ঝিনাইদহ জেলায়। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণসহ তৎকালীন নানা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। ১৯৭০-১৯৭২ মেয়াদে তিনি ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে তৎকালীন যশোর-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন নূরে আলম সিদ্দিকী।