যাত্রিবাহী গাড়ি চলাচলের সুবিধার্থে ঈদের আগে-পরে সাত দিন (ঈদের দিন ও আগে-পরে তিন দিন করে) ফেরিতে পণ্যবাহী গাড়ি পারাপার বন্ধ থাকবে। তবে এ সময়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় ও দ্রুত পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক পার হতে পারবে। এছাড়া ঈদের আগে পাঁচ দিন ও পরে পাঁচ দিন বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল করতে পারবে না। বৃহস্পতিবার নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয় আয়োজিত ঈদ ব্যবস্থাপনা সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন। সভায় জানানো হয়- পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ রয়েছে। শিমুলিয়া-মাঝিরকান্দি রুটে মোটরসাইকেল পারাপারে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণের চেষ্টা করা হচ্ছে। এপ্রিল মাসে আবহাওয়া খারাপ থাকে; কালবৈশাখীর আশঙ্কা থাকে। সে সময়ে সবাইকে আবহাওয়া বার্তা মেনে চলতে হবে। ঢাকার সদরঘাট এলাকায় যাত্রীদের চলাচলের সুবিধার জন্য ঢাকা সিটি করপোরেশন ও নৌপুলিশ আরও সতর্কতার সঙ্গে কার্যক্রম পরিচালনা করবে। সদরঘাট এলাকায় ছোট ছোট নৌযানে করে লঞ্চে যাতে যাত্রী ওঠানামা করতে না পারে সেজন্য কঠোর নজরদারি করতে হবে। পাটুরিয়া, দৌলতদিয়া, আরিচা, কাজিরহাট, হরিনা, আলুবাজার ফেরিরুটে ফেরির সংখ্যা বাড়ানো হবে। সন্দ্বীপ ও হাতিয়ার মতো উপকূলীয় অঞ্চলে যাত্রী পারাপারে সি-ট্রাক চালু থাকবে। ফিটনেসবিহীন নৌযান যাতে চলাচল করতে না পারে সেজন্য নৌপরিবহণ অধিদপ্তর যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। অভ্যন্তরীণ নৌপথে যাত্রীসাধারণের সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্নে যাতায়াতের লক্ষ্যে ঢাকা ও গাজীপুর মেট্রোপলিটন এলাকায় গার্মেন্টস ও নিটওয়ার সেক্টরের নিয়োজিত কর্মীদের এলাকাভিত্তিক পর্যায়ক্রমে ছুটি প্রদানের জন্য বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। সভায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, পবিত্র ঈদুল ফিতর সামনে রেখে সাধারণ মানুষ যাতে নির্বিঘেœ নৌসেবা নিতে পারে সে বিষয়ে আমরা আন্তরিক। পদ্মা সেতু আমাদের অনুভ‚তির জায়গাটা দখল করে নিয়েছে। অনেকে মনে করেছিল পদ্মা সেতু হয়ে গেলে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষেরা আর লঞ্চ ব্যবহার করবে না। এটা ভুল প্রমাণিত হয়েছে। নৌপথে আগ্রহ কমে যায়নি বরং আগ্রহ বেড়েছে। সাধারণ মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে নৌসেবা নিতে পারে সে লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে। সেবা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। সভায় অন্যদের মধ্যে মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল, নৌপরিবহণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর মো. নিজামুল হক, বিআইডব্লিউটিসি’র চেয়ারম্যান এসএম ফেরদৌস, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ (যাত্রীপরিবহণ) সংস্থার সভাপতি মাহবুব উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রমসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।