ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার ভাংবাড়ী গ্রামের মৃতঃ হেমন্ত রায়ের ছেলে সুজন চন্দ্র রায়, অত্যান্ত মেধাবী ছাত্র এস এস সি ও এইচ এস সি-তে গোল্ডেন পেয়ে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের ছাত্র। লেখা পড়ার আর্থিক সংকটের জন্য দিনাজপুর শহরে টিউশনি পড়ায় সে। কোনদিন পায়ে হেঁটে কোনদিন অটো ভ্যানে এভাবেই চলতো তার কষ্ঠের জীবন। একদিন হটাৎ করেই দেখা হয়, রাণীশংকৈল ডিগ্রি কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক প্রশান্ত বসাকের। তিনি সুজনের সাথে কথা বলেন, সুজন বলে আমার বাবা এক বছর হল হার্ডএটাকে মারা গেছে, আমার মা মানুষের বাড়িতে কাজ করে। আমার বোন দুই জন এক বোনের বিয়ে দিয়েছি আর ছোট বোন গোলডেন এ প্লাস পেয়ে ভর্তির জন্য কোচিং করতেছে। বোনের লেখা পড়ার খরচও চালাইতে হয় তাই সাইকেল কেনার মত টাকা যোগার করতে পারিনি। কথা গুলো শুনে,এই কথা গুলো ফেসবুকে পোস্ট দেয় প্রসান্ত বসাক, শুধু একটি সাইকেল কেনার জন্য আর্থিক সহযোগিতা চেয়ে। দেশ বিদেশ থেকে অনেকেই সহযোগিতা করেছেন সুজনের সাইকেল কেনার জন্য। শুক্রবার ৩১মার্চ দুপুরে ভাংবাড়ি তার বাড়িতে গিয়ে সাইকেল ও নগত অর্থ হাতে তুলে দেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী অধ্যাপক প্রশান্ত বসাক, সুবা কৃষ্ণ দাসা অধীকারী, চন্ডী প্রাসাদ, কালী দাস রায়, কমলা রায়,শুভ রায়,বাটুল রায় প্রমখ।