এর আগে মস্কো শেষবারের মতো পরিষদের সভাপতি হয়েছিল হয়েছিল ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে। ওই একই মাসে তারা ইউক্রেনে হামলা চালিয়েছিল। এর ফলে পরিষদ থেকে রাশিয়ার অপসারণ দাবি করেছিল ইউক্রেন। নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতি হিসেবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় রাশিয়া খুব কমই প্রভাব বিস্তার করতে পারবে । তবে তারা অ্যাজেন্ডার দায়িত্বে থাকবে। চলতি এপ্রিল মাসের জন্য আবারও জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতি হয়েছে রাশিয়া। ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে রাশিয়ার এই দায়িত্ব গ্রহণ বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। আর এ কারণেই কিয়েভ তার পাশ্চাত্য মিত্রদের সাথে সুর মিলিয়ে বলেছে, এটি \'প্রতীকী বিপর্যয়।\' নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের মধ্যে পর্যায়ক্রমে সভাপতিত্ব পরিবর্তন হয়। এর ধারাবাহিকতাতেই রাশিয়া সভাপতি হয়েছে। কিন্তু ইউক্রেন ও তার মিত্ররা বিষয়টি সহজে গ্রহণ করতে পারছে না। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের চিফ অব স্টাফ আন্দ্রি ইয়ারমাক রাশিয়ার এই সভাপতিত্বের সময়টিকে \'প্রতীকী বিপর্যয়\' হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, \'এটা কেবল লজ্জাই নয়। এটি আন্তর্জাতিক সম্পর্কের নিয়মভিত্তিক ব্যবস্থার প্রতি আরেকটি প্রতীকী আঘাত।\' ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা বলেন, রাশিয়ার সভাপতির পদ গ্রহণ \'আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মুখে একটি চড়।\' মস্কো জানিয়েছে, \'কার্যকর বহুত্ববাদ\' প্রশ্নে জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদের চলতি মাসের বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন তাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গেই ল্যাভরভ। রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা আরো বলেন, ল্যাভরভ ২৫ এপ্রিল মধ্যপ্রাচ্য প্রশ্নে একটি বিতর্কে নেতৃত্ব দেবেন।সূত্র : আল জাজিরা