চুরি, ছিনতাই, সামাজিক দাঙ্গা ও নানাবিধ অসামাজিক কার্যকলাপ প্রতিরোধ করে স্বল্প সময়ের মধ্যে জন সাধারণের ভালোবাসা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন মাগুরা জেলার শালিখা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোশাররফ হোসেন। গত মাসের ৭ তারিখে শালিখা থানায় যোগদানের পর থেকেই একাধিক মাদক ব্যবসায়ী ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি আটক করে রীতিমতো অপরাধ প্রবণতা হ্রাস করে জন সন্তুষ্টি অর্জন করেছেন বলে মনে করছেন অনেকে। সম্প্রতি ৮ কেজি গাঁজাসহ ৮ জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে সকলের প্রশংসায় ভাসছেন তিনি। এর আগে তিনি মাগুরা জেলার নোহাটা থানার তদন্ত ইনচার্জ হিসেবে কাজ করে ওই অঞ্চলে যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেছিলেন বলে জানা গেছে। দক্ষিণবঙ্গের খ্যাতনামা বিদ্যাপীঠ ব্রজেন্দ্র লাল(বিএল) কলেজ থেকে ইংরেজি বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন পূর্বক ২০০৭ সালে বাংলাদেশ পুলিশ বিভাগে যোগদানের পর থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে একের পর এক সততা ও নিরলস পরিশ্রম দিয়ে কাজ করে চলেছেন তিনি। পুলিশের এই কর্মকর্তার প্রশংসা করে শালিখা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাড: কামাল হোসেন বলেন, শালিখা থানায় যোগদানের পর থেকে তিনি এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা নিশ্চিত ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে একের পর এক যে অভিযান পরিচালনা করছেন তা সত্যই প্রশংসার দাবি রাখে। শালিখা প্রেসক্লাবের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদ বলেন, ক্যারাম, তাস, জুয়াসহ অবৈধ খেলা নিয়ন্ত্রণ ও মাদকদ্রব্য উদ্ধার করতে তিনি যে পদক্ষেপ নিচ্ছেন এভাবে পদক্ষেপ নিলে শালিখা উপজেলায় অপরাধ প্রবণতা অনেকটাই কমে যাবে বলে আমি মনে করি। শিক্ষক ও গবেষক শ্রী ইন্দ্রনীল বলেন, ওয়েল বিগিনিং ইজ হাফ ডান (ভালো শুরুটা অর্ধেক কাজ সম্পন্ন করে) তাই ওসি সাহেবের শুরুটা অনেক ভালো যদি এভাবে শেষটাও ভালো থাকে তাহলে তার মাধ্যমে শালিখা উপজেলা একদিন মডেল উপজেলায় পরিণত হবে। শালিখা থানায় সেবা নিতে আসা কয়েকজনের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, ওসি স্যারের ব্যবহার অনেক ভালো তাছাড়া থানায় কোন অভিযোগ নিয়ে গেলে তিনি সাথে সাথেই ব্যবস্থা গ্রহণ করে বলেও জানান তারা। এ প্রতিবেদকের সঙ্গে এক আলাপচারিতায় ওসি মোশাররফ হোসেন বলেন, জনগণ পুলিশের বন্ধু, জনগণের সেবায় পুলিশের মুখ্য দায়িত্ব। তিনি আরো বলেন, যেদিন থেকে পুলিশের ইউনিফর্ম গায়ে দিয়েছি সেদিন থেকেই জনগণের সেবায় নিজেকে নিবেদিত রেখেছি পাশাপাশি পুলিশ ডিপার্টমেন্টের একক অর্জন বলে কোন কথা নেই যা কিছু অর্জন হয় তা আমাদের সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সম্ভব হয় তবে সেখানে ডিপার্টমেন্টের ঊর্ধ্বতনদের নির্দেশনা থাকে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।