পাহাড়িদের প্রধান সামাজিক উৎসব বিজু উপলক্ষ্যে রাঙামাটিতে ৫ দিনব্যাপী মেলা শুরু হয়েছে। সোমবার বিকাল ৪টার দিকে রাঙামাটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে আয়োজিত মেলার উদ্বোধন করেন খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি। এর আগে শহরের কলেজ গেট প্রাঙ্গণ থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পাঁচ দিনব্যাপী ‘বিজু সাংগ্রাই বৈসুক বিষু বিহু মেলা ২০২৩’ আয়োজন করেছে রাঙামাটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট। এতে সার্বিক সহযোগিতা করছে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়। মেলার উদ্বোধনীতে প্রধান অতিথি দীপংকর তালুকদার এমপি ছাড়াও রাঙামাটি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. ইমতাজ উদ্দিন, জেলা প্রশাসক মো. মিজানুর রহমান ও পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন রাঙামাটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের আহ্বায়ক ও জেলা পরিষদের সদস্য রেমলিয়ানা পাংখোয়া। পাঁচ দিনব্যাপী মেলায় পাহাড়িদের ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক উৎসব, খেলাধুলা, পণ্য প্রদর্শনী, নাটক মঞ্চায়নসহ ব্যাপক কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। মেলায় বসানো হয়েছে ৭৫টি স্টল। আগামী ৭ এপ্রিল শেষ হবে এ মেলা। এদিকে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী প্রধান সামাজিক উৎসব ঘিরে পাহাড়ে বইছে উৎসবের আমেজ। এ উপলক্ষ্যে রাঙামাটিসহ তিন পার্বত্য জেলায় পালিত হচ্ছে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালা। প্রতি বছর চৈত্রসংক্রান্তি ও বাংলা নববর্ষে উৎসবটির আয়োজন করে পাহাড়ি জনগোষ্ঠী। উৎসবকে চাকমারা বিজু, মারমারা সাংগ্রাই, ত্রিপুরারা বৈসুক, তঞ্চঙ্গ্যারা বিষু এবং অহমিয়া জনগোষ্ঠী বিহু নামে পালন করে। ১২ থেকে ১৪ এপ্রিল তিন দিনব্যাপী মূল উৎসব পালন করা হয় পাহাড়িদের ঘরে ঘরে। মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে ২০২০ ও ২০২১ সালে পরপর দুই বছর কোনোরকম আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই পার করতে হয়েছিল। গত বছর থেকে আবার স্বাভাবিক পরিবেশে প্রাণ ফিরে পেয়েছে পাহাড়িদের প্রধান এ সামাজিক উৎসবটি।