নাটোরে ধর্ষণ মামলায় ৬ জনের মৃত্যুদন্ড ও ৪ জনের যাবতজ্জীবন কারাদন্ড

প্রকাশিতঃ এপ্রিল ৫, ২০২৩ | ৪:২৮ অপরাহ্ন
অনলাইন নিউজ ডেক্স

নাটোরের সিংড়ায় এক কলেজছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং একজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। সেই সাথে প্রত্যককে ১লাখ টাকা করে জরিমানা করেন। বুধবার (৫ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে নাটোর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আব্দুর রহিম এ রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মোঃ ছাব্বির আহম্মেদ, মোঃ রেজাউনুল রাব্বি, মোঃ নাজমুল হক, মোঃ রাজিবুল হাসান, মোঃ রিপন ও মোঃ শহিদুল। যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মোঃ মনিরুল ইসলাম, মোঃ খায়রুল ইসলাম, মো আতাউল ইসলাম আতাউর এবং মোঃ রেজাউল করিম। মামলার সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালে ১৯ অক্টোবর বেলা ১১টার দিকে ভিকটিম জরুরি কাজে কলেজের জন্য বের হয়। এসময় পথে পরিচিত আসামি সাব্বির আহমেদের সঙ্গে ওই কলেজ ছাত্রীর দেখা হয়। পরে ভিকটিমকে ফুসলিয়ে বেড়ানোর কথা বলে নাটোরের সিংড়া উপজেলার প্রেট্রো বাংলা এলাকায় নিয়ে আসে। সেখানে আসামি নাজমুল হক, মোঃ রাজিবুল হাসান, মোঃ রিপন ও মোঃ শহিদুল ওই কলেজ ছাত্রীকে বেড়ানোর কথা বলে ভ্যান যোগে কলম মির্জাপুর গ্রামে নিয়ে যায়। পরে রাত হলে ওই ছাত্রী বাড়ি ফেরার কথা বললে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি দেখায় আসামিরা। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে আসামি মোঃ মনিরুল ইসলাম, মোঃ খায়রুল ইসলাম, মো আতাউল ইসলাম এবং মোঃ রেজাউল করিমসহ আরও ২/৩ জন মিলে কলম মির্জাপুর এলাকার ঈদগাঁ মাঠে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এসময় স্থানীয় লোকজন বুঝতে পেরে ওই ছাত্রীকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার এবং আসামিদের আটক করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আসামিদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে ২০ অক্টোবর সকালে ওই কলেজছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে সিংড়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি ধর্ষণ মামলায় মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ প্রায় ১২ বছর পর সাক্ষ্য প্রমান শেষে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোঃ আব্দুর রহিম ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং একজনকে খালাস দেন।