বাংলাদেশ দলের দুই বাঁ-হাতি স্পিনার সাকিব আল হাসান ও তাইজুল ইসলামের স্পিনে বিভ্রান্ত হয়েছে আয়ারল্যান্ড ক্রিকেট দল। ১৫৫ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমেই বিপদে পড়েছে সফরকারীরা। স্কোর বোর্ডে ১৩ রান জমা করতেই প্রথমসারির ৪ ব্যাটসম্যানের উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়েছেন আইরিশরা। দ্বিতীয় ইনিংসের প্রথম ওভারে সাকিব আল হাসানের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফেরেন জেমন ম্যাককুলাম। সাকিবের পর জোড়া আঘাত হানেন তাইজুল। তাইজুলের অফ স্টাম্পের বাইরে পিচ করা ডেলিভারি শার্প টার্নে ঢুকছিল স্টাম্পের দিকে। ব্যাট নামাতে দেরি করেন কমিন্স। বল আঘাত হানে প্যাডে। জোরালো আবেদনে আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার। নিজের পরের ওভারে বোলিংয়ে এসেই আয়ারল্যান্ড অধিনায়ক অ্যান্ড্রু বালবার্নিকে বোল্ড করেন তাইজুল। তার আর্ম ডেলিভারি পেছনের পায়ে দাঁড়িয়ে খেলার চেষ্টা করেছিলেন আইরিশ অধিনায়ক; কিন্তু বল তার ব্যাটের বাইরের কানা ছুঁয়ে আঘাত হানে অফ স্টাম্পে। এরপর কার্টিস ক্যাম্পারকে সাজঘরে ফেরান সাকিব। সাকিবের ডেলিভারি সামনের পায়ে ডিফেন্ড করতে চেয়েছিলেন কার্টিস ক্যাম্পার; কিন্তু ঠিকঠাক খেলতে পারেননি। ব্যাটের বাইরের কানা ছুঁয়ে বল জমা পড়ে লিটন দাসের গ্লাভসে। ক্যাম্পারের বিদায়ে ১৩ রানে ৪ উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। মঙ্গলবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে একমাত্র টেস্টে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে তাইজুল ইসলামের ঘূর্ণিবলে বিভ্রান্ত হয়ে ২১৪ রানে অলআউট হয় আয়ারল্যান্ড ক্রিকেট দল। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫০ রান করেন হ্যারি টাকার। এছাড়া লরকান টাকার, কার্টিস ক্যাম্পার ও মার্ক এডেয়ার যথাক্রমে ৩৭, ৩৫ ও ৩২ রান করে করেন। বাংলাদেশ দলের হয়ে বাঁ-হাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম সবোচ্চ ৫ উইকেট শিকার করেন। দুটি করে উইকেট নেন মেহেদি হাসান মিরাজ ও পেস বোলার এবাদত হোসেন। জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে মুশফিকুর রহিমের সেঞ্চুরি (১২৭) আর সাকিব আল হাসান (৮৭) ও মেহেদি হাসান মিরাজের (৫৫) ফিফটিতে ভর করে ১৫৫ রানের লিড নিয়ে ৩৬৯ রানে ইনিংস থামায় টাইগাররা। মঙ্গলবার প্রথম দিনের শেষ বিকালে ৩৪ রানে ২ ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত ও তামিম ইকবালের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। বুধবার দ্বিতীয় দিনে ব্যাটিংয়ে নেমে দিনের শুরুতেই আউট হন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মুমিনুল হক সৌরভ। ৪০ রানে ৩ উইকেট পতনের পর মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে ১৫৯ রানের জুটি গড়েন সাকিব আল হাসান। আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে যাওয়া সাকিব ৯৪ বলে ১৪টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৮৭ রান করে আউট হন। ৫৫ রান করেন মিরাজ। আর ৪৩ রান করেন লিটন দাস।