তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশের মূল চালিকা শক্তি হবে স্মার্ট ইকোনমি। স্মার্ট ইকোনমির মেরুদণ্ড হবে আমাদের স্মার্ট উদ্যোক্তারা। দেশে বর্তমানে ২ হাজার ৫শ\' স্টার্টআপ রয়েছে, যারা ১৫ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে। আমাদের লক্ষ্য আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে দেশের আইটি সেক্টরে আরও ৫ হাজার স্টার্টআপ বাড়ানো, এর মাধ্যমে ৩০ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে এ সেবা খাত থেকে জিডিপিতে অবদান দাড়াবে ২০ শতাংশ। আজ বুধবার আগারগাঁওস্থ বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল অডিটরিয়ামে আইসিটি বিভাগ ও আইডিয়া ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত \'স্মার্ট এন্টারপ্রিনিউর: স্মার্ট বাংলাদেশ\' শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, উদ্যোক্তা তৈরিতে আমরা পুঁজি, প্রযুক্তি এবং প্রশিক্ষণ— এই তিনটি বিষয়ের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকি। চমৎকার বিজনেস মডেল, ভ্যায়াবল প্রোডাক্ট এবং ফটো টাইপ সম্পন্ন উদ্যোক্তাদের আইসিটি বিভাগ হতে এক লাখ থেকে দশ লাখ টাকা পর্যন্ত অফেরৎযোগ্য ফান্ড দেয়া হবে। স্মার্ট উদ্যোক্তারা ঝুঁকি নেবে উল্লেখ করে পলক বলেন, আমরা জাতিগতভাবে সাহসী, উদ্ভাবনী, সৃজনশীল, পরিশ্রমী মেধাবী এবং ঝুঁকি নিতে ভয় করি না। প্রতিমন্ত্রী বলেন, জব সিকার মাইন্ডসেট পরিবর্তন করে, জব ক্রিয়েটার মাইন্ডসেট তৈরি করতে পারলেই ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট ইকোনমি গড়ে উঠবে। আলিয়া ও কওমী মাদরাসার ৫০ লাখ শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষণ প্রদান করে প্রতিটি মাদরাসায় স্মার্ট এমপ্লয়মেন্ট ফেস্টিভ্যাল করা হবে। এছাড়াও বঙ্গবাজারের ক্ষতিগ্রস্ত উদ্যোক্তাদের মধ্যে ১০০ নারী উদ্যোক্তার মাধ্যমে ৫০ লাখ টাকা বিতরণ করা হবে। আইডিয়া ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন কাজী এম. আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন আইসিটি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন, আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ, সাবেক সিনিয়র সচিব শহিদুল হক, সাবেক সচিব কামরুন নাহার, এটুআই এর প্রকল্প পরিচালক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর, এটুআই এর পলিসি অ্যাডভাইজার আনীর চৌধুরী, স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামি আহমেদ, ডিজিকন টেকলোজিস লি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং বাক্কো এর সভাপতি ওয়াহিদ শরিফ, নারায়ণগঞ্জ এর লিডিং লাইট (ট্রেইনিং ইনস্টিটিউট) এর প্রতিষ্ঠাতা সিনথিয়া আকতার লিজা।