মানহীন ও নকল প্রসাধনীর ব্যবসা বন্ধে আইনি কাঠামোতে পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে সরকার। প্রসাধনী ব্যবসা করতে হলে ঔষধ প্রশাসন থেকে লাইসেন্স নেওয়ার বাধ্যবধকতা আরোপ করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে বিদ্যমান ঔষধ আইনে কসমেটিকস শব্দটি যুক্ত করে ‘ঔষধ ও কসমেটিকস বিল ২০২৩’ সংসদে তোলা হয়েছে বৃহস্পতিবার। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের অনুপস্থিতিতে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বিলটি সংসদে তোলেন। পরে সেটি পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়। প্রস্তাবিত বিলে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের দায়িত্ব ও কর্মপরিধি সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে। বলা হয়েছে- কসমেটিকস বিক্রি, আমদানি ও উৎপাদন করতে হলে লাইসেন্স নিতে হবে। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর লাইসেন্স অথোরিটি হিসেবে কাজ করবে। এখন যারা কসমেটিকসের ব্যবসা বা উৎপাদন করছেন, তাদেরও লাইসেন্স নিতে হবে। সেজন্য ওষুধ প্রশাসন বিধি প্রণয়ন করবে। বিলে ওষুধের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করলে বা বেশি মুনাফার লোভে মজুত করলে ১৪ বছর জেল ও ১০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান করা হয়েছে। ওষুধ মজুতদারি বা নকল করলে যাবজ্জীবনের বিধান: চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি করলে রাখা হয়েছে ২০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান। ১৯৪০ সালের ড্রাগস আইন এবং ১৯৮২ সালের দি ড্রাগস কন্ট্রোল অ্যাক্ট-এ দুটিকে এক করে এই বিল আনা হয়েছে সংসদে। প্রস্তাবিত আইনে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের মাধ্যমে ওষুধের নিরাপত্তা, কার্যকারিতা, নতুন ওষুধ, ভ্যাকসিন মেডিকেল ডেভেলপ করার বিষয়টি সুনির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে- ‘ওভার দ্য কাউন্টার’ ওষুধ ছাড়া রেজিস্ট্রার্ড চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ব্যাতীত কোনো ওষুধ বিক্রি করা হবে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। মেডিকেল ডিভাইস ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রস্তাবিত আইনে ধারা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মেডিকেল ডিভাইসকেও সেখানে ওষুধ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। বিলের তফসিলে ৩০ ধরনের অপরাধ চিহ্নিত করে সেগুলোর ক্ষেত্রে কী সাজা হবে তা উল্লেখ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে অপরাধের ধরন অনুযায়ী সর্বনিম্ন ১০ হাজার টাকা জরিমানা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১৪ বছরের জেল ও ১০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান করা হয়েছে। কিছু ওষুধের দাম সরকার নির্ধারণ করে দেবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে বিলে।