সব রাজনৈতিক দলকে ভোটে আনাই চ্যালেঞ্জ

প্রকাশিতঃ এপ্রিল ৭, ২০২৩ | ৫:১৩ পূর্বাহ্ন
অনলাইন নিউজ ডেক্স

বিএনপিসহ সংলাপ বর্জন করা দলগুলোকে সব সময়ই ভোটে আসার আহ্বান জানানো অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এ বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ হচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলোকে ভোটে আনতে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সংকট নিরসন করা। বড় কোনো দল নির্বাচনে না এলে তা আইনগতভাবে সিদ্ধ হলেও পুরোপুরি বৈধ হবে না। ইভিএম নির্বাচনে কোনোভাবেই বড় চ্যালেঞ্জ নয় মন্তব্য করে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমাদের নির্বাচনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে– যে রাজনৈতিক সংকট বিরাজ করছে, নির্বাচনে সবাই বা প্রধানতম দলগুলো অংশ নেবে কিনা, সেটা অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। ইভিএমে ভোট করলে নির্বাচন প্রক্রিয়া সহজ হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন কমিশনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন সিইসি। আগাম নির্বাচন সম্পর্কিত গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর এবং ইভিএমের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে এ আয়োজন করে ইসি। এ সময় চার নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান, রাশিদা সুলতানা, মো. আলমগীর ও মো. আনিছুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। ব্যালটে আগের রাতে ভোট জালিয়াতি হওয়ার আশঙ্কা থাকলেও ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) এটা সম্ভব নয় বলে দাবি করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। তিনি বলেন, বেশ কিছু ইতিবাচক দিক ইভিএমে রয়েছে, যা ব্যালটে নেই। এটা সত্য, ব্যালটে জালিয়াতি প্রতিহত করা যতটা কষ্টকর, ইভিএমে মোটেই অতটা কষ্টকর নয়। যেমন অনেকে বলে থাকেন, ব্যালটে রাতে ভোট হয়ে গেছে। সত্য-মিথ্যা আমি একেবারেই জানি না। কিন্তু দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হয়েছে যে রাতেও ভোট হতে পারে। ইভিএম কিন্তু সকাল ৮টার আগে চালুই হবে না, এটা স্বয়ংক্রিয়। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, আগাম ভোটের প্রশ্নই আসে না। আমরা আগাম নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণ করছি না। আমরা ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছি। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে অথবা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছি। আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি ডিসেম্বর ও জানুয়ারির। হাবিবুল আউয়াল বলেন, ইভিএম নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত নির্বাচন কমিশন সংখ্যাধিক্যের মতামতের ভিত্তিতে সংসদ নির্বাচনে ব্যালট পেপারে ভোট নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কোনো দলকে ভোটে আনতে বা কারও চাপে কমিশন এমন সিদ্ধান্ত নেয়নি বলেও দাবি করেন তিনি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, এ নিয়ে নানা সংশয় যেদিন দেখা দিয়েছে, সেদিন থেকেই ইভিএম থেকে সরে আসা হয়েছে। এ নিয়ে কমিশন দীর্ঘ আলোচনা শেষে সিদ্ধান্ত হয়েছে।