ভারতের জাতীয় দলের তকমা হারাল তৃণমূল কংগ্রেস, এনসিপি ও সিপিআই

প্রকাশিতঃ এপ্রিল ১১, ২০২৩ | ৫:০৫ পূর্বাহ্ন
অনলাইন নিউজ ডেক্স

ভারতের জাতীয় স্তরের রাজনীতিতে প্রভাব তৈরির চেষ্টা করছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে সাফল্যের বদলে এল বড় ধাক্কা। মমতার দল তৃণমূল কংগ্রেসের জাতীয় দলের মর্যাদা কেড়ে নিল ভারতের জাতীয় নির্বাচন কমিশন। একই সঙ্গে মহারাষ্ট্রভিত্তিক মারাঠা রাজনীতির লৌহপুরুষ খ্যাত শারদ পাওয়ারের এনসিপি (ন্যাশানালিস্ট কংগ্রেস পার্টি) এবং বাম দল সিপিআইয়ের (কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়া) সর্বভারতীয় রাজনৈতিক দল হিসেবে আর মর্যাদা রইল না। তবে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টিকে জাতীয় দল হিসাবে ঘোষণা করেছে ভারতের জাতীয় নির্বাচন কমিশন। জাতীয় দল হওয়ার জন্য তিনটি শর্ত রয়েছে। এর মধ্যে একটি পূরণ করা জরুরি। প্রথমত, লোকসভা নির্বাচনে অন্তত তিনটি রাজ্যে প্রার্থী দিতে হবে একটি দলকে। সেই সঙ্গে জিততে হবে দেশের মোট লোকসভা আসনের ২ শতাংশে। দ্বিতীয়ত, লোকসভা বা বিধানসভা নির্বাচনে অন্তত চারটি রাজ্যে ৬ শতাংশ করে ভোট পেতে হবে। এবং এক বা তার বেশি রাজ্যে পেতে হবে চারটি লোকসভা আসন। তৃতীয়ত, চারটি বা তার বেশি রাজ্যে রাজ্যদলের তকমা। উপরোক্ত তিন শর্তের যেকোনো একটি পূরণ করলেই মেলে জাতীয় দলের তকমা। যার কোনো মানদণ্ডই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেস এনসিপি বা সিপিআই পূরণ করতে পারেনি। গত বছর জুলাইয়ে তৃণমূল কংগ্রেস, এনসিপি এবং সিপিআইকে চিঠি পাঠিয়ে কমিশন বলেছিল, তোমাদের জাতীয় দল হিসাবে মর্যাদা কেন কেড়ে নেওয়া হবে না? তিন দলের থেকেই মেলেনি সন্তোষজনক উত্তর। উল্টো জাতীয় দলের তকমা যাতে খারিজ করা না হয়, তার জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে দরবার করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশন যাতে কোনো পদক্ষেপ না করে তার আবেদন করেছিল তৃণমূল। পাল্টা তৃণমূলের জাতীয় দলের তকমা কেড়ে নেওয়ার দাবি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এসব টানাপোড়েনের মধ্যেই সম্প্রতি এক মামলার পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত জানিয়ে দিয়েছিল এ ব্যাপারে ১৩ এপ্রিলের মধ্যে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে নির্বাচন কমিশনকে। ফলে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। জাতীয় দলের তকমা হারাল তিন দল। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের ভিত্তিতে ২০১৬ সালে জাতীয় দলের তকমা পেয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। মাত্র সাত বছরের ব্যবধানে ফের আঞ্চলিক দলে পরিণত হলো মমতার দল। অন্যদিকে দিল্লির পাশাপাশি গুজরাট, পাঞ্জাব এবং উত্তরাখণ্ডে নির্বাচনী সাফল্য পেয়ে তিনটি শর্তের তিনটি পূর্ণ করতে পেরেছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল।