বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট ড.খন্দকার মারুফ হোসেন বলেছেন, আওয়ামী লীগ যতোই ছলচাতুরী করুক না কেন,তাদেরকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারে ফিরে আসতেই হবে,নতুবা গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে তাদেরকে বিদায় দেওয়া হবে। তিনি বলেন,ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে জনগণ মাঠে নেমেছে। জনগণের একটাই কথা এই গণবিরোধী সরকারকে বিদায় করতে হবে। গ্যাস,বিদ্যুতসহ দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে মানুষের ত্রাহি অবস্থা। এই রমজানে মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত ও খেটে খাওয়া মানুষেরা একটু ভালো খাবার খেয়ে রোজা রাখতে পারছে না। খেয়ে না খেয়ে মানবেতরভাবে রোজা পালন করছেন। সরকার মানুষের কষ্ট লাঘবের কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না। তাদের কোন দায়দায়িত্ব নেই। কারণ তারা জনগণের নির্বাচিত নয়। ড. মারুফ ১০ এপ্রিল সোমবার বিকেলে কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় স্থানীয় উপজেলা বিএনপি আয়োজিত ইফতার এর পূর্ব আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তৃতাকালে এইসব কথা বলেন।বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিনিয়র সদস্য,বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন টেলিফোনে ইফতার অনুষ্ঠানে উপস্থিত দলীয় নেতা-কর্মীসহ সকলকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান এবং অনুষ্ঠানের সফলতা কামনা করেন।প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ড. খন্দকার মারুফ আরও বলেন, এই সরকার গণতন্ত্র হত্যা করেছে, ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে। দেশের মানুষ আজ বঞ্চিত। শুধু সংসদ নির্বাচন নয়, কোন নির্বাচনেই জনগণ ভোট দিতে পারছে না। সরকার সর্বক্ষেত্রে ব্যর্থ। তারা এখন দিশেহারা। বুঝতে পারছে না,কখন কী করতে হবে। প্রজাতন্ত্রের কমচারীরা সরকারের নির্দেশনা মানছে না। গোটা প্রশাসনে এখন জগাখিচুড়ি অবস্থা। চতুর্দিকে দুর্নীতি আর লুটপাটের মহোৎসব চলছে। কোন রাখঢাক নেই।এমন হ-য-ব-র-ল অবস্থায় একটি রাষ্ট্র চলতে পারেনা। তিনি বিএনপি ঘোষিত ১০ দফা দাবি আদায় ও এই স্বৈরাচারী সরকারকে বিদায় করতে দলীয় নেতা-কর্মীসহ সকল শ্রেণি-পেশার জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণআন্দোলনে শরিক হতে উদাত্ত আহবান জানান ।তিতাস উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মো. ওসমান গণি ভুইয়ার সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মেহেদী হাসান সেলিম ভুইয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক মো.সাজ্জাদ হোসেন ভুইয়া,কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির আহবায়ক মো.আক্তারুজ্জামান সরকার ও সদস্য সচিব এএফএম তারেক মুন্সী,জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মো.সাদেক হোসেন সরকার,দাউদকান্দি পৌর বিএনপির আহবায়ক নুর মোহাম্মদ সেলিম সরকার ও সদস্য সচিব কাউসার আলম সরকার,দাউদকান্দি বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক জসিমউদ্দিন আহমেদ ,মেঘনা উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মো.রমিজউদ্দিন লন্ডনী,হোমনা উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মো.জহিরুল হক জহর ও সদস্য সচিব মো. মহিউদ্দিন,হোমনা পৌর বিএনপির আহবায়ক মোজাম্মেল হক মুকুল ও সদস্য সচিব শাহ আলম,কুমিল্লা উত্তর জেলা যুব দলের সভাপতি ভিপি শাহাবুদ্দিন ভুইয়া ও সাধারণ সম্পাদক ভিপি শাহিন প্রমুখ।আয়োজন ইফতার মাহফিলে উপস্থিত হোমনা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান মোল্লা,তিতাস উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক হাজ্বী মো.আলী হোসেন মোল্লা, যুগ্ম আহবায়ক আক্তারুজ্জামান ভিপি, মাহবুব আলম সরকার, এমদাদ হোসেন আখন্দ, মোয়াজ্জেম হোসেন মুন্সি,কাজী কবির হোসেন সেন্টু,মুন্সি আমিরুল ইসলাম মানিক,গোলাম মহিউদ্দিন জিলানী ভূইয়া,হাজ্বী মকবুল হোসেন,আক্তারুজ্জামান,আবদুস সালাম মেম্বার, কামরুজ্জামান হিরা,হোমনা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মো. নুরুজ্জামান মিন্টু,ব্যারিস্টার উজ্জ্বল,মোসামৎ শেফালী বেগম,কুমিল্লা উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল এমরান খান, সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন হাজারী,তিতাস উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান ভুল সিকদার, সাবেক যুগ্ম সাধারণ হাজী মোবারক হোসেন মোল্লা,বিএনপি নেতা মো.মোস্তাক আহমেদ সরকার, বিএনপি নেতা ইয়াহিয়া খান,সদস্য তোফায়েল হোসেন খাঁন,ডাঃ আবু নাছের ভূইয়া,আবদুল বাতেন,হেলাল ভূইয়া,মো.কবির হোসেন,মকবুল হোসেন, সেলিম মোল্লা,দেলোয়ার হোসেন দারোগা,আক্তারুল হক মাষ্টার,ফরিদ উদ্দিন সরকার,জহিরুল ইসলাম জহির,মোজাম্মেল হক মজনু পাঠান, ছাদির মোল্লা,সাইদুল ইসলাম সরকার বিজয়,সাতানী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল করিম সওদাগর,জগতপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো.নুরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মোরশেদ আলম,বলরামপুর ইউনিয়ন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো.নজরুল ইসলাম,সিনিয়র সহ-সভাপতি মো.মনিরুজ্জামান ভূইয়া,কড়িকান্দি ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো.অহিদ উল্লাহ,কলাকান্দি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছাবিকুল ইসলাম,সিনিয়র সহ-সভাপতি মো.জসিমউদদীন মুন্সি,বিএনপি নেতা হাসান মাহমুদ অপু, সাংগঠনিক সম্পাদক মো.আলমগীর হোসেন,ভিটিকান্দি ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো.জাহাঙ্গীর আলম,নারান্দিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান হানিফ,সাংগঠনিক সম্পাদক মো.মফিজ উদ্দিন,জিয়ারকান্দি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম মনু মেম্বার,সাংগঠনিক সম্পাদক মো.আলী হোসেন, মজিদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাসেম ভূইয়া বাবুল,সিনিয়র সহ-সভাপতি মো.লিলু মিয়া,উপজেলা যুব দলের সিনিয়র যুগ্ম- আহবায়ক আবুল খায়ের ভূইয়া টিপু, যুগ্ম-আহবায়ক মো.নজরুল ইসলাম সরকার,উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মো.ফারুক হোসেন ভূইয়া, সদস্য সচিব মো.ইসমাইল হোসেন,উপজেলা কৃষক দলের আহবায়ক মো.শাহজাহান সওদাগর,সদস্য সচিব মো.দেলোয়ার হোসেন মেম্বার,উপজেলা শ্রমিক দলের আহবায়ক মো.আদিলুর রহমান আদিল,সদস্য সচিব মো.রুবেল মিয়া,জাসাসের আহবায়ক মো.শামীর হোসেন, উপজেলা যুব দলের যুগ্ম-আহবায়ক আবুল খায়ের, আবুল কাসেম,মো.সায়মন আখন্দ,সদস্য মো.দেলোয়ার হোসেন,মো.নুরে আলম ভূইয়া,হোমনা উপজেলা যুব দলের যুগ্ম আহবায়ক মো.হেলাল উদ্দিন সরকার,কুমিল্লা উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সাধারণ সম্পাদক মো.ফরহাদ হোসেন ভূইয়া সোহেল, কুমিল্লা উত্তর জেলা যুবদলের সহ প্রচার সম্পাদক মো.নয়ন মোল্লা,উপজেলা কৃষক দলের সিনিয়র যুগ্ম- আহবায়ক আবদুল করিম মহারাজ,মো.কবির হোসেন,মো.নজরুল ইসলাম,উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক মো.শফিকুল ইসলাম ভূইয়া,যুগ্ম- আহবায়ক মো.আলাউদ্দিন ভূইয়া,মো.মানিক মিয়া,উপজেলা ছাত্র দলের সভাপতি মাঈনুদ্দিন খশরু,সাধারণ সম্পাদক মো.সিরাজুল ইসলাম,কড়িকান্দি ইউনিয়ন যুব দলের আহবায়ক মো.মোহর মুন্সি,সদস্য সচিব তফাজ্জল হোসেন শাকিল, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মো.বাদশা মোল্লা,বলরামপুর ইউনিয়ন যুব দলের আহবায়ক মো.নুরে আলম সরকার,যুগ্ম আহবায়ক একে এম শামীম,সাতানী ইউনিয়ন যুব দলের আহবায়ক আলমগীর হোসেন আলম,জগতপুর ইউনিয়ন যুব দলের আহবায়ক তফাজ্জল হোসেন তবিল,নারান্দিয়া ইউনিয়ন যুব দলের আহবায়ক মো.ছবির হোসেন মেম্বার,মজিদপুর ইউনিয়ন যুব দল নেতা তন্ময় হাসান কাজল,উপজেলা ছাত্র দলের আহবায়ক প্রার্থী আল আমিন হক বাবু,ছাত্র দল নেতা মো.ফাহিম সরকার, মো.রাসেল রানা,সোহাগ মিয়াসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।