কালিদাসের শকুন্তলার উপর ভিত্তি করে বানানো হয়েছে ছবি \'শকুন্তলা\'। দক্ষিণ ভারতের এই ছবিতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন সামান্থা। অন্যদিকে দেব মোহন অভিনয় করেছেন রাজা দুষ্মন্তের চরিত্রে। ছবিটিতে কালিদাসের শকুন্তলা সাজতে গিয়ে বেশ কষ্ট করতে হয় সামান্থাকে। শুক্রবার ছবিটি মুক্তি পায়। তার আগে এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী সামান্থা জানান এই ছবির শ্যুটিংয়ের তার কষ্টের কথা। তিনি জানান ছবিটিতে অভিনয় করতে গিয়ে অ্যালার্জিতে অসুস্থ হওয়া থেকে শুরু করে খরগোশের কামড়ও খেতে হয়েছে তাকে। সামান্থা জানান, চরিত্রের জন্য তাকে ফুলের মালা পরতে হতো। বাহুতে, গলায়, হাতে ফুলের মালা পরতে হতো। সেই ফুল থেকে অ্যালার্জি হতো তার। সামান্থা এ বিষয়ে বলেন, \'আমি কোনও অভিযোগ, অনুযোগ ছাড়াই সারাদিন শুটিং করতাম। সন্ধ্যার পর থেকে আমার পুরো হাতে ফুলের দাগ দেখা যেত। টানা ৬ মাস ওই দাগ ছিল। মনে হতো, যেন হাতে ফুলের ট্যাটু করিয়েছি। আমি তার উপরই মেকআপ লাগিয়ে শুট করেছি। কেউ এটাকে সারাতে পারেনি। তারপর অবশ্য ধীরে ধীরে চলে গেছে সেই অ্যালার্জি।\' কেবল ফুল থেকে অ্যালার্জি নয়, অভিনেত্রীকে এই সময় রীতিমত খরগোশের কামড় খেতে হয়েছে। ছবির জন্য খরগোশের সঙ্গে শুটিং করতে হয়েছে তাকে। আর তখনই একটি খরগোশ তাকে কামড় বসিয়ে দেয়। এর বাইরে ৩০ কেজির লেহেঙ্গা পরে শুট করতে হয় তাকে! সামান্থা বলেন, \'নীতা লুল্লা ম্যাম কিছু সুন্দর পোশাক বানিয়েছিলেন। একটি গানে আমায় দারুণ একটি লেহেঙ্গা পরতে হয়। আমার নাচের কথা মাথায় রেখে উনি কিছু ভারী আর কিছু হালকা লেহেঙ্গা বানান। শেষ পর্যন্ত আমি একটা ৩০ কেজির লেহেঙ্গা পরে নাচ করেছি।\' ছবিটি পরিচালনা করেছেন গুণশেখর। দেব মোহন, সামান্থা ছাড়াও অভিনয় করেছেন অদিতি বালান, মোহন বাবু, গৌতমী, মাধু, প্রমুখকে। আরেক দক্ষিণি সুপারস্টার আল্লু অর্জুনের মেয়ে আল্লু আরহাও অভিনয় করেছেন।