প্রথম প্রকাশিত ব্ল্যাক হোলের ছবি মেশিন লার্নিং পদ্ধতি ব্যবহার করে উন্নত করেছেন গবেষকরা। এই পদ্ধতি ব্যবহারের কারণে পৃথিবী থেকে পাঁচ কোটি ৩০ লাখ আলোকবর্ষ দূরের ‘মেসিয়ার ৮৭’ নামে পরিচিত ছায়াপথের কেন্দ্রে অবস্থিত ব্ল্যাক হোলের ছবিতে আলোর এক পাতলা বলয় ও এর কেন্দ্র ঘিরে থাকা পদার্থ দেখতে পাওয়ার বিষয়টি উঠে এসেছে ‘দ্য অ্যাস্ট্রোফিজিকাল জার্নাল লেটার্স’ জার্নালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে। ২০১৭ সালে এর মূল ছবিগুলো তোলা হয় ‘ইভেন্ট হরাইজন টেলিস্কোপ (ইএইচটি)’তে। এটি পৃথিবীর চারপাশে থাকা বিভিন্ন রেডিও টেলিস্কোপের এমন নেটওয়ার্ক, যা এমন এক ‘সুপার-ইমেজিং’ টুল হিসাবে কাজ করে যার আকার একটি গ্রহের সমান। খবর ইনসাইডারের মার্কিন রেডিও ‘এনপিএর’-এর ব্যাখ্যা অনুসারে, এর মূল ছবি দেখতে কিছুটা ‘ঝাপসা ডোনাট’-এর মতো। তবে, গবেষকরা ‘প্রিমো’ নামে এক নতুন পদ্ধতি ব্যবহার করে তুলনামূলক নির্ভুল ছবি পুনর্গঠনের চেষ্টা করেছেন। গবেষকরা বলছেন, অ্যালবার্ট আইনস্টাইনের অনুমানের সঙ্গে নতুন ছবির মিল খুঁজে পাওয়া যায়। তবে তাদের প্রত্যাশা, মেশিন লার্নিং ও টেলিস্কোপ হার্ডওয়্যার নিয়ে আরও গবেষণা চালালে তা একে অতিরিক্ত সংশোধনের দিকে নিয়ে যাবে। কৃষ্ণগহ্বর বা ‘ব্ল্যাক হোল’ মহাবিশ্বের এমন রহস্যময় ও অদ্ভুত জায়গা, যেখানে এর প্রবল আকর্ষণ বলের প্রভাবে কোনো কিছুই এটি থেকে বেরিয়ে আসতে পারে না।