গাড়ি চালানোর আড়ালে স্বর্ণ চোরাচালানে বেবিচক কর্মী

প্রকাশিতঃ এপ্রিল ১৬, ২০২৩ | ৮:১৬ পূর্বাহ্ন
অনলাইন নিউজ ডেক্স

বিমানবন্দর নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের গাড়ি চালানোর আড়ালে বেবিচক কর্মী সালেকুজ্জামান দীর্ঘদিন ধরে স্বর্ণ চোরাচালান করতেন। গত শুক্রবার কোটি টাকার স্বর্ণসহ তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল শনিবার আদালত তাঁর তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানিয়েছেন, তিনি যে চক্রের হয়ে কাজ করেন, সেটিতে সক্রিয় সদস্য ১৫ থেকে ২০ জন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি স্বর্ণ চোরাকারবারে জড়িত। পুলিশ জানিয়েছে, রিমান্ডে সালেকুজ্জামানের দেওয়া তথ্য গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। এরই মধ্যে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বিমানবন্দর থানার এসআই রোকন ইসলাম খান জানান, শুক্রবার বেবিচকের নিরাপত্তা পাশ ব্যবহার করে গাড়িচালক সালেকুজ্জামান হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ২১ নম্বর গেট ব্যবহার করে টার্মিনালের ভেতরে প্রবেশ করেন। এর পর ১ নম্বর লাগেজ বেল্টের টয়লেট থেকে জনৈক চোরাকারবারি যাত্রীর বহন করা স্বর্ণের পাঁচটি বার ও ৫০টি চেইন সংগ্রহ করেন তিনি। কৌশলে এগুলো নিয়ে কাস্টমসের গ্রিন চ্যানেল অতিক্রমের সময় তাঁর আচরণ ও গতিবিধি দেখে এপিবিএনের গোয়েন্দাদের সন্দেহ হয়। এ সময় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁরা অফিসে নেন। পুলিশ জানায়, তল্লাশি করে তাঁর দেহে অভিনব কৌশলে লুকিয়ে রাখা স্বর্ণ জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় এপিবিএনের এসআই ওসমান গনি বাদী হয়ে মামলা করেছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিমানবন্দরের এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানান, সালেকুজ্জামান দীর্ঘদিন ধরে বেবিচক নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের গাড়ি চালানোর আড়ালে স্বর্ণ পাচার করে আসছিলেন। এ কারণে এতদিন তিনি ধরা পড়েননি। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ৮২৩ দশমিক ৫২ গ্রাম ওজনের স্বর্ণসহ তাঁকে আটক করা হয়, যার আনুমানিক মূল্য কোটি টাকার কাছাকাছি। এ বিষয়ে বিমানবন্দর থানার ওসি আজিজুল হক মিঞা জানান, গ্রেপ্তার বেবিচক কর্মী সালেকুজ্জামানের সঙ্গে আরও যাঁরা জড়িত, তাঁদেরও আইনের আওতায় আনা হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। মামলার তদন্তের স্বার্থে কারও নাম প্রকাশ করা যাচ্ছে না। বিমানবন্দর এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিয়াউল হক জানান, সালেকুজ্জামানের সঙ্গে আরও যাঁরা জড়িত আছেন, তাঁদেরও শনাক্ত করা হবে।