জোটবদ্ধ নির্বাচনে এতদিন যে আসনগুলোয় ছাড় দিয়েছিল আওয়ামী লীগ, সেগুলো ধরে রাখাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ ১৪ দলীয় জোট শরিকদের। ‘আগামী দিনে আর নৌকা নয়, যার যার দলের নিজস্ব প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে হবে’-আওয়ামী লীগ সভাপতি ও জোটের প্রধান নেতা শেখ হাসিনার এমন ঘোষণা চিন্তায় ফেলে দিয়েছে তাদের। পাশাপাশি আসন্ন সংসদ নির্বাচন খুব সহজ হবে না-শরিক দলগুলোর শীর্ষ নেতাদের এমন বার্তাও দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। তিনি জোটপ্রার্থীদের নিজস্ব জনপ্রিয়তা, যোগ্যতা, দক্ষতা ও গ্রহণযোগ্যতা দিয়ে জয়ী হয়ে আসতে হবে বলেও সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, শেখ হাসিনার ওই ঘোষণার প্রতিফলন দেখা গেছে সর্বশেষ উপনির্বাচনে। বিএনপির সংসদ-সদস্যদের পদত্যাগে শূন্য হওয়া পাঁচটি আসনে ১ ফেব্রুয়ারি উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে ১৪ দলীয় জোটের দুই শরিক-বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদকে দুটি আসনে ছাড় দেয় আওয়ামী লীগ। তবে আসন ছাড় দিলেও ক্ষমতাসীনরা তাদের দলের ‘নৌকা’ প্রতীক দেয়নি শরিকদের। যে কারণে ওয়ার্কার্স পার্টি এবং জাসদের দুই প্রার্থী তাদের নিজ নিজ দলের প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেন। নৌকাবিহীন নির্বাচনে শরিক প্রার্থীদের পাশে ছিল না স্থানীয় আওয়ামী লীগও। এমনকি দুটি আসনেই আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন ভোটের মাঠে। ফলে একটিতে পরাজয়, আরেকটিতে কোনোরকমে জয় পান শরিক দলের প্রার্থী। জানা যায়, গত বছর ২৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের অধিবেশনে অর্থাৎ কাউন্সিল অধিবেশনে অন্য কোনো রাজনৈতিক দলকে নৌকা প্রতীক ধার না দেওয়ার দাবি তোলেন দলটির তৃণমূলের নেতারা। ওই বছরই ১৫ মার্চ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে গণভবনে ১৪ দলীয় জোটের সর্বশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় জোটবদ্ধ নির্বাচনের বিষয়ে আস্বস্ত করলেও তিনি শরিকদের নৌকা প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার বিষয়ে কিছু বলেননি। শেখ হাসিনা ওই বৈঠকে শরিক দলের শীর্ষ নেতাদের যার যার মতো করে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য প্রস্তুতি নিতে বলেন। জোটর নেতাদের মতে, শেখ হাসিনার এই ঘোষণা বাস্তবায়িত হলে আগামী নির্বাচন ১৪ দলের শরিকদের জন্য কঠিন হবে। বিশেষ করে ‘নৌকা’র ওপর ভর করে টানা তিনবার জোটবদ্ধ নির্বাচনে অংশ নিয়ে যে আসনগুলোয় জোটের প্রার্থীরা জয়ী হয়ে আসছেন, সেগুলো আগামী দিনে ধরে রাখাই কঠিন হয়ে উঠবে তাদের জন্য। বিএনপিসহ তাদের শরিকদলগুলো জোটবদ্ধভাবে আগামী নির্বাচনে অংশ নিলে ভোটের মাঠের চিত্র বদলে যেতে পারে। তখন নৌকার বাইরে দলীয় প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে টিকে থাকাই কঠিন হয়ে যাবে ১৪ দলীয় জোটের শরিক প্রার্থীদের। জানতে চাইলে ১৪ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক দল বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি প্রবীণ রাজনীতিবিদ রাশেদ খান মেনন এমপি বুধবার বলেন, ‘শেখ হাসিনা কী বলেছেন জানি না। তবে তিনি বলার আরও আগেই অর্থাৎ ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত ওয়ার্কার্স পার্টির কংগ্রেসেই আমরা দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। নির্বাচন সহজ হোক আর কঠিন হোক, আমরা দলীয় প্রতীকেই আগামী নির্বাচনে অংশ নেব। অন্য কোনো দলের প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেব না।’ তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগসহ ১৪ দল টানা তিনটি নির্বাচন জোটবদ্ধভাবে করেছে। আওয়ামী লীগ চাইলে আগামী দিনেও হয়তো করবে। তবে জোটবদ্ধ নির্বাচনের নামে তারা (আওয়ামী লীগ) শরিকদের কিছু আসনে ছাড় দিল, আবার ছাড় দেওয়া আসনে বিদ্রোহী কিংবা প্রক্সি প্রার্থী রেখে দিল; তাহলে তো আর জোটবদ্ধ নির্বাচন হলো না। শরিকদের আসনে তাদের অর্থাৎ আওয়ামী লীগের কোনো প্রার্থী থাকবে না-এটা নিশ্চিত করতে হবে। একইভাবে নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কেউ শরিক দলের প্রার্থীদের বিরোধিতা করবে না, এটাও নিশ্চিত করতে হবে। এ দুটি বিষয় আওয়ামী লীগ নিশ্চিত করুক, বাকিটা ভোটের মাঠে ফয়সালা হবে। রাশেদ খান মেনন বলেন, মানুষের ভোটের অধিকারই তো নেই। অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য ভোটের নিশ্চয়তা থাকলে এবং মানুষ তার পছন্দের প্রার্থীকে নির্বিঘ্নে ও স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারলে তবেই না বোঝা যাবে কার কেমন জনপ্রিয়তা। দেখা যায়, সর্বশেষ উপনির্বাচনে ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী অধ্যাপক ইয়াসিন আলী দলের প্রতীক হাতুড়ি নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়ে পরাজিত হন। ওই আসনে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে জয়ী হন জাতীয় পার্টির প্রার্থী হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ। একইভাবে বগুড়া-৪ আসনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)-এর প্রার্থী অ্যাডভোকেট একেএম রেজাউল করিম তানসেন দলের প্রতীক মশাল নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হন। ওয়ার্কার্স পার্টির অধ্যাপক ইয়াসিন আলী ২০১৪ সালের নির্বাচনে ১৪ দলীয় জোটের প্রার্থী হিসাবে ঠাকুরগাঁও-৩ আসন থেকে জয়ী হন। ২০১৮ সালের নির্বাচনে তিনি জোটের মনোনয়ন পেলেও বিএনপির প্রার্থীর কাছে হেরে যান। অন্যদিকে জাসদের অধ্যাপক একেএম রেজাউল করিম তানসেন ২০০৮ ও ২০১৪ সালের নির্বাচনে জোটের প্রার্থী হিসাবে বগুড়া-৪ আসন থেকে সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০১৮ সালের নির্বাচনে জোটের মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচন করে হেরে যান বিএনপির প্রার্থীর কাছে। ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের উপনির্বাচনে স্থানীয় আওয়ামী লীগ জোটের প্রার্থীকে বাদ দিয়ে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদের সঙ্গে ছিল। ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের অভিযোগ-টাকাপয়সার বিনিময়ে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীরা জাতীয় পার্টির প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেন। এই আসনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন গোপাল চন্দ্র রায়। ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থীর পরাজয়ের এটাও একটি বড় কারণ। একইভাবে বগুড়া-৪ আসনে কেন্দ্রীয়ভাবে আওয়ামী লীগ জোটের প্রার্থী একেএম রেজাউল করিম তানসেনকে আসনটি ছাড় দেয়। কিন্তু ভোটের মাঠে স্থানীয় আওয়ামী লীগ এর বিরোধিতা করে। শুধু তাই নয়, এখানেও দলটির বিদ্রোহী প্রার্থী ছিল। এতে করে ভোটের মাঠে কঠিন লড়াইয়ে অবতীর্ণ হতে হয় জাসদের এই প্রার্থীকে। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ১৪ দল ২০০৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে প্রথম জোটবদ্ধভাবে অংশ নেয়। জাতীয় পার্টিকে নিয়ে আওয়ামী লীগ ও ১৪ দল মিলে ওই নির্বাচনে গঠিত হয় মহাজোট। জাতীয় পার্টির বাইরে আওয়ামী লীগ আসন সমঝোতার অংশ হিসাবে ১৪ দলের শরিক জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদকে ৪টি আসনে ছাড় দেয়। এগুলো হচ্ছে-কুষ্টিয়া-২ আসনে দলটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু, চট্টগ্রাম-৮ আসনে দলটির সাবেক কার্যকরী সভাপতি মাইনউদ্দিন খান বাদল, বগুড়া-৪ আসনে দলটির সহসভাপতি একেএম রেজাউল করিম তানসেন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনে দলটির আরেক সাবেক সহসভাপতি অ্যাডভোকেট শাহ জিকরুল আহমেদ। নির্বাচনে অ্যাডভোকেট শাহ জিকরুল আহমেদ ছাড়া অন্য তিনজনই জয়ী হন তখন। ওই নির্বাচনে জোটের আরেক শরিক দল ওয়ার্কার্স পার্টিকেও ৩টি আসনে ছাড় দেয় আওয়ামী লীগ। এগুলো হচ্ছে-ঢাকা-৮ আসনে দলটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, নড়াইল-১ আসনে দলটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিমল বিশ্বান, রাজশাহী-১ আসনে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা। এই তিনজনের মধ্যে বিমল বিশ্বাস পরাজিত হন নির্বাচনে। বিএনপিও তাদের শরিকদের বর্জনের মধ্যেই অনুষ্ঠিত ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে ওয়ার্কার্স পার্টিকে ৪টি আসনে ছাড় দেয় আওয়ামী লীগ- ঢাকা-৮ আসনে দলটির সভাপতি রাশেদ খন মেনন, রাজশাহী-১ আসনে দলটির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, নড়াইল-২ আসনে পলিটব্যুরোর সদস্য শেখ হাফিজুর রহমান এবং সাতক্ষীরা-১ আসনে আরেক সদস্য অ্যাডভোকেট মোস্তফা লুৎফুল্লাহ। এই চারজনই নৌকা নিয়ে নির্বচনে জয়ী হন। এর বাইরে বরিশাল-৩ আসনে শেখ টিপু সুলতান এবং ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে অধ্যাপক ইয়াসিন আলী ওয়ার্কার্স পার্টির দলীয় প্রতীক হাতুড়ি নিয়ে ভোট করে জয়ী হয়। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ তাদের আরেক শরিক জাসদকেও ৪টি আসনে ছাড় দেয়। কুষ্টিয়া-২ আসনে দলটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু, ফেনী-২ আসনে দলটির সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার, চট্টগ্রাম-৮ আসনে কার্যকরী সভাপতি মাইনউদ্দিন খান বাদল এবং নরসিংদী-২ আসনে জায়েদুল কবীর। নির্বাচনে জায়েদুল কবির পরাজিত হন, বাকি তিনটি আসনে জয়ী হন জাসদের প্রার্থীরা। এছাড়াও ওই নির্বাচনে জাসদের প্রতীক মশাল নিয়ে পঞ্চগড়-১ থেকে নির্বাচন করে জয়ী হন নাজমুল হক প্রধান এবং বগুড়া-৪ আসন থেকে একেএম রেজাউল করিম তানসেন। ওই সময় বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনকে ২টি (দলটির চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীকে চট্টগ্রাম-২ আসনে এবং লক্ষ্মীপুর-১ আসনে দলটির তৎকালীন মহাসচিব লায়ন এমএ আউয়াল), জাতীয় পার্টিকে (জেপি) ২টি এবং বিকল্পধারা বাংলাদেশকে ২টি (দলটির মহাসচিব মেজর (অব.) আব্দুল মান্নানকে লক্ষ্মীপুর-৪ এবং যুগ্মমহাসচিব মাহী বি. চৌধুরীকে মুন্সীগঞ্জ-১) আসনে ছাড় দেয় আওয়ামী লীগ। তাদের মধ্যে জেপির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু পিরোজপুর-২ আসন থেকে তার দলের প্রতীক বাইসাইকেল নিয়ে নির্বাচন করে জয়ী হন। বাকিরা নৌকা প্রতীক নিয়ে ভোট করেন এবং জয়ী হন। সর্বশেষ ২০১৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ওয়ার্কার্স পার্টিকে দেওয়া হয় ৫টি আসন। রাশেদ খান মেননকে ঢাকা-৮, রাজশাহী-২ আসনে ফজলে হোসেন বাদশা, ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে অধ্যাপক ইয়াসিন আলী, বরিশাল-৩ শেখ টিপু সুলতান এবং সাতক্ষীরা-১ আসনে অ্যাডভোকেট মোস্তফা লৎফুল্লাহ। তারা সবাই নৌকা নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেন। ঠাকুরগাঁও-৩ অধ্যাপক ইয়াসিন আলী বিএনপি এবং বরিশাল-৩ আসনে শেখ টিপু সুলতান জাতীয় পার্টির প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন। এই নির্বাচনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদকে ছাড় দেয় তিন আসনে আওয়ামী লীগ। তারা হলেন-কুষ্টিয়া-২ আসনে হাসানুল হক ইনু, ফেনী-২ আসনে শিরিন আখতার এবং বগুড়া-৪ আসনে একেএম রেজাউল করিম তানসেন। একেএম রেজাউল করিম তানসেন বাদে বাকি দুজন জয়ী হন নির্বাচনে তখন। জাসদ ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে আরও একদফা ভাঙনের শিকার হয়। কার্যকরী সভাপতি মাইনউদ্দীন খান বাদলসহ কয়েকজন মিলে গঠন করেন বাংলাদেশ জাসদ নামে পৃথক দল। তারাও আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটবদ্ধ নির্বাচনে অংশ নেন তখন। এর অংশ হিসাবে চট্টগ্রাম-৮ আসনে মাইনউদ্দীন খান বাদলকে ছাড় দেয় আওয়ামী লীগ, নৌকা নিয়ে জয়ী হন তিনি। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসন সমঝোতার অংশ হিসাবে জাতীয় পার্টি-জেপির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু পিরোজপুর-১ আসন থেকে তার দলের প্রতীক বাইসাইকেল নিয়ে নির্বাচন করে জয়ী হন। এর বাইরে জোটের প্রার্থী হিসাবে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীকে চট্টগ্রাম-২ আসনে, বিকল্পধারা বাংলাদেশের মহাসচিব মেজর (অব.) আব্দুল মান্নানকে লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে এবং একই দলের যুগ্ম মহাসচিব মাহী বি. চৌধুরীকে মুন্সীগঞ্জ-১ আসনে ছাড় দেয় আওয়ামী লীগ। নৌকা প্রতীক নিয়ে ভোট করে তারা সবাই জয়ী হন। জানা যায়, ১৪ দলের শরিক দলগুলো আগামী দিনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটবদ্ধ নির্বাচনে অংশ নেওয়া এবং যে আসনগুলোয় তাদের সংসদ-সদস্য রয়েছেন, সেগুলো ধরে রাখাকেই এখন গুরুত্ব দিচ্ছে। এক্ষেত্রে বরাবরের মতোই আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক ‘নৌকা’য় নজর তাদের। ওয়ার্কার্স পার্টি ইতোমধ্যে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করলেও বাকিরা তাকিয়ে আছেন শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের দিকে। অতীতের মতো আগামী দিনেও নৌকায় চড়ে ভোটের বৈতরণি পার হতে চান শরিক দলের শীর্ষ নেতারা। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার এমপি বুধবার বলেন, আমরা নৌকা নিয়েও নির্বাচন করেছি, জয়ী হয়েছি। আবার দলীয় প্রতীক নিয়েও নির্বাচন করে জয়ী হয়েছি। সব অভিজ্ঞতাই আমাদের রয়েছে। তিনি আরও বলেন, আগামী নির্বাচনের আগে আমরা বসব। ১৪ দল বসবে। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক হবে, কথা হবে। তখন এসব বিষয় ফয়সালা হবে। আমাদের লক্ষ্য বিএনপি-জামায়াতসহ স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে ১৪ দলীয় জোটের রাজনৈতিক ও আদর্শিক ঐক্য সুসংহত রেখে এগিয়ে যাওয়া।