জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ চাঁপাইনবাবগঞ্জ বাসির প্রাণের ৫ (পাঁচ) দফা দাবী নিয়ে লাগাতার আন্দোলন করে আসছে। জাসদের একটি কর্মী বেঁচে থাকা পর্যন্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জ বাসির প্রাণের দাবী পূরণ না হওয়া পর্যন্ত শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে চলমান আন্দোলন চালিয়ে যাবে।এদিকে দাবি নিয়ে আন্দোলনের ব্যানার হাতে নেন জাসদ নেতা কর্মীরা ১: প্রধান মন্ত্রীর ঘোষিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরে একটি মেডিকেল কলেজ স্থাপন করতে হবে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতাল ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল, এখানে পর্যাপ্ত পরিমাণে জনবল নিয়োগ করা হইনি এখানে উন্নত মানের আধুনিক যন্ত্রপাতি দিতে হবে। ডাক্তারদের অনিয়ম দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে। সেবার শপথ নিয়ে মাথার উপরে একজন আছেন এই বিশ্বাস নিয়ে রোগীর সেবা দিতে হবে, ২৪ ঘন্টা সার্বক্ষণিক একজন এম বি বি এস ডাক্তার থাকতে হবে, প্রতিটি ইউনিয়ন,ওয়ার্ড পর্যায়ে সেবার মান বৃদ্ধির জন্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স দিতে হবে।সঠিক সময়ে ডাক্তারদের উপস্থিতির আইন থাকতে হবে,আইনের প্রয়োগ থাকতে হবে।রোগীর সামন্য কিছু হলে রাজশাহী অথবা তাদের নিজস্ব ক্লিনিকে অথবা কমিশনের ক্লিনিকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় ,সেটা বন্ধ করতে হবে।যে পাত্রে খাবেন সেই পাত্রটি সব সময় পরিষ্কার করে রাখতে হবে। হাসপাতাল সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে,এই সব দেখভাল করার জন্য অভিযোগ রুম খুলে একজন কে দায়িত্বে বসাতে হবে।সরকারি ডাক্তারদের ক্লিনিক বাণিজ্য বন্ধ করতে হবে। ২: করোনার অজুহাতে বন্ধকৃত সকল ট্রেন চালু করো,করতে হবে। ২০১৯ করোনা ভাইরাস যখন সারা বিশ্বের ন্যায় সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়ে তখন আমাদের সরকার বাহাদুর করোনার ভাইরাস থেকে আমাদের কে বাঁচানোর জন্য লোকাল ট্রেন সহ,পদ্মা,ধুমকেতু, সিল্ক সিটি মত আন্তঃনগর ট্রেন গুলো বন্ধ করে দিতে হবে। আমরা দীর্ঘ ২০/ ২৫ বছর আন্দোলন করে ট্রেনের লাইনে শুয়ে থেকে অবরোধ করে, প্রধান মন্ত্রীর কার্যালয়ে ১০০০০ দশ হাজার লোকের স্বাক্ষরিত বই জমা দিয়ে যদিও বা একটি আন্তঃনগর ট্রেন শুধুমাত্র একবার বনলতা পেয়েছি তাও আসন সংখ্যা সীমিত, তারপরও ট্রেনটি ভোররাতে ছাড়ে, যা থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ বাসি বঞ্চিত। বাংলাদেশে ট্রেনের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটলেও চাঁপাইনবাবগঞ্জে অবনতি ঘটেছে। বাসমালিক ও রেল কর্তৃপক্ষের যোগসাজশে চাঁপাইনবাবগঞ্জ এর ট্রেন গুলো বন্ধ রেখেছে। যেখানে সবসময় শতশত লোকের সমাগম ঘটত,দোকান পাট ছিল,মানুষের আয়-রোজগার হত,রেলের জমি বেদখল হচ্ছে,সেগুলো থেকে মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে ৩: চাঁপাইনবাবগঞ্জে একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করতে করতে হবে। ৪: সোনামসজিদ বন্দর কে পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দরে রূপান্তরিত সহ অবকাঠামো নির্মাণ ও ইমিগ্রেশন ব্যবস্থার আধুনিকরণ করতে হবে। ৫: চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর কে অর্থনৈতিক অঞ্চল জোন হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের ১০০ টি অঞ্চলকে অর্থনৈতিক অঞ্চল জোন হিসাবে গড়ে তুলতে হবে। ইতিমধ্যে ৮ টি অঞ্চল কে অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করেছেন। আমরা চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর কে অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা চাই। অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা হলে সরকারী,বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগের মাধ্যমে,শিল্পায়ন,কর্ম সংস্থান, উৎপাদন,রপ্তানি বৃদ্ধি ও বহুমুখী করনের উৎসাহ বাড়বে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ বাসির প্রাণের দাবীর সাথে দলবল নির্বিশেষে যে যার জায়গা থেকে নিজ নিজ উদ্যোগে,স্কুল,কলেজ যে কোনো প্রতিষ্ঠানে ব্যানারে আমাদের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে আন্দোলন গড়ে তুলুন। মোঃ কামরুল হক বাবলু যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক,জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা।।