ঢাকা ওয়াসায় ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) অনিয়ম-দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করায় চেয়ারম্যানকে অপসারণের বিষয়টি উদ্বেগজনক। এর ফলে অভিযুক্তকে সুরক্ষা দেওয়ার দৃষ্টান্ত স্থাপিত হলো। এ ধরনের কাজ দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের শূন্য সহনশীলতার ঘোষণাকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে। পাশাপাশি ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির তথ্য প্রকাশকারীকে সুরক্ষার আইনি বাধ্যবাধকতার সঙ্গে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক। দুর্নীতিবিরোধী আন্তর্জাতিক সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল অব বাংলাদেশ (টিআইবি) মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেছে। বিবৃতিতে চেয়ারম্যানের অভিযোগ আমলে নিয়ে সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ তদন্তসাপেক্ষে অভিযুক্তকে জবাবদিহির আওতায় আনার আহ্বান জানানো হয়। প্রসঙ্গত, ঢাকা ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খানের বিরুদ্ধে সম্প্রতি অভিযোগ করেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা। এরপর সোমবার তাকে সরিয়ে নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়া হয়। টিআইবির বিবৃতিতে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, অপসারিত চেয়ারম্যানের মেয়াদ গত বছর অক্টোবরে শেষ হয়েছে। এরপর এতদিন নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ হয়নি। অথচ ওয়াসার এমডির বিরুদ্ধে বোর্ড চেয়ারম্যান মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার ৫ দিনের মাথায় নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়া হলো। যদিও স্থানীয় সরকার বিভাগ সচিব বলেছেন ঘটনাটি কাকতালীয়। কিন্তু উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অভিযোগকারীকে সরিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে ‘ওয়াসা পরিচালনায় এমডির ইচ্ছাই শেষ কথা বলে প্রমাণিত হয়েছে। নিজের স্বার্থ সুরক্ষায় যে কাউকে ওয়াসা থেকে বের করে দেওয়ার ক্ষমতা ওয়াসা এমডির রয়েছে’-এই অভিযোগকেই প্রতিষ্ঠিত করা হলো।