অপরিকল্পিত নগরায়ণ ও দুর্বল অবকাঠামোর কারণে ঢাকাসহ সারা দেশের হাজার হাজার স্থাপনা মারাত্মক অগ্নিঝুঁকিতে রয়েছে। সেই তুলনায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের প্রস্তুতি অতি সামান্য। অগ্নিনিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতি দশকেই সংস্থাটির সক্ষমতা প্রায় দ্বিগুণ হারে বাড়লেও একই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ইমারত ও জনসংখ্যা। ফলে পিছিয়ে গেছে ফায়ার সার্ভিসের প্রস্তুতি। স্টেশনগুলোয় পর্যাপ্ত জনবল ও সরঞ্জাম দিতে পারেনি সংস্থাটি। প্রত্যাশিত বিশ্বমানের প্রশিক্ষণ পাননি অধিকাংশ কর্মী। এতে কাহিল অবস্থায় রয়েছে সংস্থাটি। বছরের পর বছর মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে নিজস্ব কৌশল কাজে লাগিয়ে অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধারকাজ করছেন তারা। এভাবে কাজ করতে গিয়ে অনেকের মৃত্যুও হয়েছে। এমন বাস্তবতায় রাজধানী শহরকে প্রাধান্য দিয়ে সারা দেশের অগ্নিনিরাপত্তাব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। ফায়ার সার্ভিসের তথ্য অনুযায়ী, সংস্থাটির জনবল, ফায়ার স্টেশন, গাড়ি-সরঞ্জাম ও প্রশিক্ষণের ঘাটতি রয়েছে। ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের নীতিমালা অনুযায়ীও বাহিনীটি প্রস্তুত হয়ে উঠতে পারেনি। দেশে বর্তমানে ন্যূনতম ৭৩৫টি ফায়ার স্টেশন প্রয়োজন। এসব স্টেশনের বিপরীতে ৩১ হাজারেরও বেশি জনবল প্রয়োজন। বর্তমানে ফায়ার স্টেশন আছে মাত্র ৪৯৫টি। এর বিপরীতে জনবল আছে মাত্র ১৪ হাজার ৪৬৮ জন। এর মধ্যে অপারেশনাল কর্মী ১৪ হাজার ১৯ জন এবং সিভিল স্টাফ ৪৪৯ জন। চালু থাকা স্টেশনেই জনবল থাকার কথা ১৬ হাজার ২৩১ জন। অর্থাৎ ঘাটতি আছে ১ হাজার ৭৫৭ জন। দেশে বিদ্যমান ফায়ার স্টেশনগুলোয়ই অগ্নিনির্বাপণের জন্য গাড়ি-সরঞ্জাম থাকার কথা ২৮ হাজার ২২৩টি। অথচ সবমিলিয়ে তাদের ৪৪ ধরনের অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধার সরঞ্জাম রয়েছে ১৬ হাজার ৭৬৯টি। এর মধ্যে অনেক সরঞ্জাম অগ্নিনির্বাপণের কাজ করতে গিয়েও অকেজো হয়েছে। সেই হিসাব বাদ দিলেও ৪৯৫টি স্টেশনেই সাজসরঞ্জামের ঘাটতি আছে অন্তত ১১ হাজার ৪৫৪টি। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এই ঘাটতি বাড়ছেই। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন বলেন, নীতিমালা অনুযায়ী জনবল ও গাড়ি-সরঞ্জাম কম আছে। সরকার থেকে এই সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য আমাদের বলা হয়েছে। আমারা ডিপিপি (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব) রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগে পাঠাব। জনসংখ্যা ও ইমারত বৃদ্ধির সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের চ্যালেঞ্জের বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের দেশ যেভাবে উন্নত হচ্ছে, এজন্য আমাদের উন্নত বিশ্বের মতো আরও ফোর্স দরকার। আমরা মডার্নাইজেশনের জন্য কাজ করেছি। মন্ত্রণালয়ে অর্গানোগ্রাম জমা দেওয়া আছে প্রায় এক বছর আগে। যেখানে আমাদের জনবল হবে ৩১ হাজার। আমরা হিসাব করে দেখেছি, ৪৬৪টি উপজেলা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরের মতো শিল্প এলাকাকেন্দ্রিক শহর, বেপজা, বেজা, ইপিজেডসহ গুরুত্বপূর্ণ জায়গার জন্য ন্যূনতম ৭৩৫টি স্টেশন প্রয়োজন। প্রশিক্ষণের বিষয়ে তিনি বলেন, আমি অকপটে স্বীকার করি, প্রশিক্ষণের ঘাটতি আছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বাহিনীটির প্রতিষ্ঠাকাল ১৯৮১ থেকে ১৯৮৩ সালে অনুমোদিত জনবল ছিল ৩ হাজার ৮৮৩ জন। এরপর ১৯৮৪-১৯৯৩ পর্যন্ত জনবল হয় ৪ হাজার ১৭৪ জন, ১৯৯৪-২০০৩ পর্যন্ত ৪ হাজার ৪৬২ জন, ২০০৪-২০১৩ পর্যন্ত ৭ হাজার ৬৫০ জন এবং ২০১৪ থেকে বর্তমানে তা এসে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৪৬৮ জনে। ফায়ার স্টেশনের হিসাবে দেখা যায়, ২০১২ থেকে বর্তমানে সারা দেশে তাদের ৪৯৪টি ফায়ার স্টেশন রয়েছে। এই সংখ্যা ১৯৮১ সালে ছিল ৯০টি। ১৯৮২-১৯৯১ সালে বেড়ে হয়েছে ১০৯টি। ১৯৯২-২০০১ সালে ছিল ১২২টি, ২০০২-২০১১ সালে ২২৭টি স্টেশন ছিল। ফায়ার স্টেশনের নীতিমালা অনুযায়ী, বাহিনীটির বিদ্যমান সব জনবল ও সরঞ্জাম স্টেশনগুলোয় থাকলেও তাও পর্যাপ্ত নয়। কিন্তু বাস্তবতা হলো-এই জনবলের বড় অংশ ফায়ার স্টেশনগুলোর বাইরেও বিশেষায়িত বিভিন্ন স্থানে কাজ করে। দেশে বর্তমানে থাকা মোট ফায়ার স্টেশনের মধ্যে ‘এ’ শ্রেণিভুক্ত রয়েছে ৯২টি, ‘বি’ শ্রেণিভুক্ত ২৮৮টি, ‘বি’ স্থল-কাম-নদী স্টেশন ৪টি, ‘সি’ শ্রেণিভুক্ত ১০০টি এবং নদী ফায়ার স্টেশন ১১টি। ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের নীতিমালা অনুযায়ী, সাধারণত জেলা সদর, দুর্যোগপ্রবণ এবং ৪০ কিমি. ভ্রমণ দূরত্বের মধ্যে অন্য স্টেশন না থাকলে সেখানে ‘এ’ শ্রেণির ফায়ার স্টেশন হয়। ‘বি’ শ্রেণির স্টেশনের ক্ষেত্রে বিধান হলো-সাধারণত এগুলো উপজেলা সদর, নিকটবর্তী স্টেশন থেকে ভ্রমণ দূরত্ব ২০ মিনিট বা ২০ কিমি. এবং আওতাধীন এলাকায় অনূর্ধ্ব ১৪টি বহুতল ভবন থাকে। আর স্টেশনটির আওতাধীন এলাকায় কোনো নদীবন্দর থাকলে, স্টেশনটি সমুদ্রবন্দর এলাকায় হলে বা অধিক্ষেত্র হাওড় এলাকা বা বন্যাপ্রবণ এলাকায় অবস্থিত থাকলে সেখানে ‘স্থল-কাম-নদী’ শ্রেণির ফায়ার স্টেশন হয়। এর বাইরে ‘বিশেষ’ শ্রেণির ফায়ার স্টেশনের কথাও রয়েছে নীতিমালায়। বিভাগীয় শহর, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, রপ্তানি অঞ্চল এবং আটটির অধিক কেপিআই এলাকায় এ ধরনের ফায়ার স্টেশন হওয়ার কথা রয়েছে। তবে এখনো সম্পূর্ণভাবে নীতিমালা অনুযায়ী সারা দেশে ফায়ার স্টেশনগুলো গড়ে ওঠেনি। নীতিমালা অনুযায়ী, প্রতিটি ফায়ার স্টেশনই যে কোনো চার ধরনের স্টেশনের একটিতে অন্তর্ভুক্ত থাকার কথা। তবে এই চার শ্রেণির মধ্যে এখন ‘সি’ শ্রেণি বা পৃথকভাবে নদী ফায়ার স্টেশনের কথা উল্লেখ নেই। কিন্তু ফায়ার সার্ভিসের স্টেশনের বর্তমান তালিকায় এখনো ‘সি’ শ্রেণির স্টেশন এবং পৃথক নদী ফায়ার স্টেশনের কথা উল্লেখ রয়েছে। ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, ‘সি’ শ্রেণির ১০০টি স্টেশনকে উপরের শ্রেণিতে উন্নীতকরণে কাজ চলছে। কারণ, এসব স্টেশনের কাঠামোগত দুর্বলতার কারণে গাড়ি ও সরঞ্জামাদি রাখার জায়গা হয় না। অনেক গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জামাদি নষ্ট হয়। ধীরে ধীরে ‘সি’ শ্রেণির কোনো স্টেশন রাখা হবে না। এছাড়া ‘মডার্ন ফায়ার স্টেশন’ হিসাবে প্রস্তাবিত ১১টি স্টেশন, রূপপুর প্রকল্পের ফায়ার স্টেশনসহ কয়েকটি স্টেশন ‘বিশেষ’ শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত হবে। স্টেশন স্থাপনের নীতিমালায় আছে, ‘এ’ শ্রেণির প্রতিটি স্টেশনে ন্যূনতম ৩৯ জন জনবল থাকবে। গাড়ি ও সরঞ্জামাদির সাতটি ধরনের মোট সংখ্যা হবে ন্যূনতম ১০৯টি। সেই হিসাবে এ ধরনের ৯২টি স্টেশনে মোট জনবল ন্যূনতম ৩ হাজার ৫৮৮ এবং ১০ হাজার ২৮টি সাজসরঞ্জাম থাকার কথা। ‘বি’ শ্রেণির শ্রেণির ফায়ার স্টেশনে জনবল হবে ৩১ জন। এখানে ৬ ধরনের মোট সাজসরঞ্জাম থাকবে ন্যূনতম ৪৫টি। হিসাব অনুযায়ী, এই শ্রেণির ২৮৭টি স্টেশনে ন্যূনতম ৮ হাজার ৯২৮ জন জনবল এবং ১২ হাজার ৯১৫টি সাজসরঞ্জাম থাকার কথা। ‘স্থল-কাম-নদী’ শ্রেণির স্টেশনে ন্যূনতম জনবল হবে ৪১ জন। এমন স্টেশনে গাড়ি সরঞ্জামাদি থাকবে ন্যূনতম সাত ধরনের ৪৯টি। সেই হিসাবে বিদ্যমান ৪টি ‘স্থল-কাম-নদী’ স্টেশন এবং ১১টি নদী স্টেশনে ন্যূনতম ৬১৫ জন জনবল এবং ৭৩৫টি সাজসরঞ্জাম থাকার কথা। এর বাইরে বিদ্যমান ‘সি’ শ্রেণিভুক্ত ১০০টি স্টেশনকে শ্রেণি পরিবর্তনের হিসাবে ‘বি’ শ্রেণির স্টেশন ধরলে সেখানে আরও ৩ হাজার ১০০ জন জনবল এবং ৪ হাজার ৫০০টি সাজসরঞ্জাম থাকার কথা। এর বাইরে ‘বিশেষ’ শ্রেণির স্টেশনে মোট জনবল হবে ৫৬ জন। এসব স্টেশনের প্রতিটিতে নয় ধরনের সাজসরঞ্জাম থাকবে ন্যূনতম ১১২টি। তবে কোনো স্টেশনে অ্যাম্বুলেন্স বা স্পিডবোট সার্ভিস যদি না থাকে, তাহলে মোট জনবল চারজন করে কমবে। এ পরিসংখ্যানই বলছে, নীতিমালা অনুযায়ী ফায়ার সার্ভিসে জনবল ও সাজসরঞ্জাম কোনোটিই পর্যাপ্ত নেই। অগ্নিনির্বাপণের সক্ষমতার বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (অগ্নি অনুবিভাগ) মোসাম্মাৎ শাহানারা খাতুন বলেন, অগ্নিঝুঁকির বিষয়গুলো বিবেচনায় রেখেই প্রতিটি উপজেলায় একটি করে ফায়ার স্টেশন করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীও এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন। স্টেশন বাড়ার সঙ্গে জনবলও বাড়তে থাকবে। এর সঙ্গে সরঞ্জামাদি কেনার জন্যও বেশকিছু প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয় থেকেও সহযোগিতা করছে। ফায়ার সার্ভিসের জনবল যেভাবে বেড়েছে, সেই হারে অত্যাধুনিক সরঞ্জামাদি ও পরিবহণ বাড়েনি। সংস্থাটির গাড়ি ও সরঞ্জামের ৮টি ধরন বিশ্লেষণ করে পাওয়া গেছে এসব তথ্য। এর মধ্যে পানিবাহী গাড়ি (১ হাজার ৮০০ লি. থেকে ৬ হাজার ৫০০ লি.) প্রতিষ্ঠার সময়ে ১৯৮১ সালে ছিল ৪৫টি। এরপর ১৯৮২-১৯৯২ পর্যন্ত হয় ২৩৮টি, ১৯৯৩-২০০৩ পর্যন্ত ২৩৮টি, ২০০৪-২০১৪ পর্যন্ত ২৮৭টি এবং ২০১৫ থেকে বর্তমানে তা ৫৬২টিতে এসে পৌঁছেছে। বিশেষ পানিবাহী গাড়ি (১১ হাজার লি. থেকে ২১ হাজার লি.) প্রতিষ্ঠাকালে একটিও ছিল না। ১৯৮২-১৯৯২ সালে ছিল ৩টি, ১৯৯৩-২০০৩ পর্যন্ত ৮টি, ২০০৪-২০১৪ পর্যন্ত ১৮টি এবং বর্তমানে রয়েছে ২৫টি। টার্ন টেবল লেডার প্রতিষ্ঠাকালে একটিও ছিল না। ১৯৮২-১৯৯২ সালে ছিল মাত্র একটি, ১৯৯৩-২০০৩ পর্যন্ত হয় দুটি, ২০০৪-২০১৪ পর্যন্ত হয় ৮টি এবং ২০১৫ সাল থেকে বর্তমানে রয়েছে ১০টি। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত এপিএল (অ্যারিয়েল প্ল্যাটফরম লেডার) ছিল না ফায়ার সার্ভিসে। ১৯৯৩-২০০৩ পর্যন্ত হয় তিনটি, ২০০৪-২০১৪ পর্যন্ত হয় ৬টি। এরপর আর নতুন করে এপিএল সংযুক্ত হয়নি। প্রতিষ্ঠার পর থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত কোনো মাল্টিপারপাস ভেহিক্যাল ছিল না ফায়ার সার্ভিসে। ২০১৫ সাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের বহরে তা মাত্র ২টি যুক্ত হয়েছে। প্রতিষ্ঠার পর কোনো স্নোরকেল ছিল না ফায়ার সার্ভিসে। এরপর ১৯৮২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত মাত্র চারটি যুক্ত হয় বহরে। এরপর তা বেড়ে বর্তমানে ছয়টি হয়েছে। ১৯৮১ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসে কোনো ড্রোন ছিল না। বর্তমানে তাদের চারটি ড্রোন রয়েছে। এই ৮ ধরনের গাড়ি ও সরঞ্জাম রয়েছে সর্বমোট ৬১৩টি। এর বাইরে ফায়ার সার্ভিসের বহরে আরও ৩৫ ধরনের ১৬ হাজার ১৫৬টি গাড়ি ও সরঞ্জাম রয়েছে। তবে এই সংখ্যাও প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। ফায়ার সার্ভিসের সক্ষমতার ঘাটতির বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল বলেন, ফায়ার সার্ভিস বর্তমানে প্রয়োজনের তুলনায় পাঁচগুণ কম জনবল দিয়ে চলছে। তাদের এই সংকট শুরু থেকেই ছিল, এখনো আছে। ঢাকায় প্রয়োজনের তুলনায় অর্ধেক ফায়ার স্টেশন রয়েছে। এর মধ্যেও তাদের যতটুকু কাজ করতে পারার কথা, তা পারছে না। কারণ, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফিন্সের দুটি ভাগ রয়েছে। একটি অগ্নিনির্বাপণ এবং দুর্ঘটনা ঘটলে উদ্ধারকাজ পরিচালনা। আরেকটি হলো সিভিল ডিফেন্স। এই কাজটি তারা ঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারছে না। ফলে ঝুঁকি বাড়ছে। এতে অর্থনৈতিক অগ্রগতিও ঝুঁকির মুখে পড়ছে।