বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের গুম-খুন হওয়া নেতাকর্মীদের তালিকা এবং মিথ্যা-গায়েবি মামলাসংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য চেয়ে তৃণমূলে চিঠি দিয়েছে দলটি। একই সঙ্গে এসব ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), এএসপি ও এসপিদের নাম ও পরিচয় পাঠাতে বলা হয়েছে। ১৮ মে দলের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি চিঠি সব সাংগঠনিক জেলায় পাঠানো হয়। এদিকে এ সংক্রান্ত হালনাগাদ তথ্য যাচাই-বাছাই করে প্রতিবেদন তৈরি করতে কেন্দ্রীয়ভাবে একটি সেল গঠন করা হয়েছে। পুলিশের সাবেক এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে দেওয়া হয়েছে এর দায়িত্ব। জানতে চাইলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, এটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। সর্বশেষ আপডেট পাঠানোর জন্য তাদের আবার বলা হয়েছে। জানা গেছে, বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে গুম-খুন ও মামলার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে পরিণত হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বারবার বলা হচ্ছে, তাদের শত শত নেতাকর্মী গুম-খুনের শিকার। গায়েবি মামলায় তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। প্রভাবশালী দেশসহ অনেকে এ সংক্রান্ত হালনাগাদ তথ্য চাইতে পারে বলে মনে করছেন দলটির হাইকমান্ড। যাতে প্রমাণসহ এ সংক্রান্ত তথ্য সঙ্গে সঙ্গে সরবরাহ করা যায় সে লক্ষ্যেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জেলা ও মহানগরের সভাপতি বা আহ্বায়ক ও সাধারণ সম্পাদক বা সদস্য সচিব বরাবর পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘এতে ওই সময়ের সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নাম ও পরিচয় উল্লেখ করতে হবে। এছাড়া ওই সময়কার সংশ্লিষ্ট সার্কেল এএসপি বা এডিশনাল এসপি (মেট্রোর ক্ষেত্রে এসি-জোন) এবং এসপির (মেট্রোর ক্ষেত্রে ডিসি-ডিভিশন) নাম ও পরিচয়, মিথ্যা বা গায়েবি মামলা রুজুকারী কর্মকর্তার নাম ও পরিচয় এবং মিথ্যা বা গায়েবি মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তার নাম ও পরিচয়ও পাঠাতে বলা হয়েছে।’ জানতে চাইলে লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেন, চিঠি পেয়ে কাজও শুরু করেছি। মামলা-গুম-খুনের সঙ্গে জড়িতদের নামও কেন্দ্রে পাঠাব।