এবার আমদানি খাতে ডলারের দাম এক টাকা বাড়ল। সোমবার থেকে বাড়তি দর কার্যকর হয়েছে। ফলে এখন আমদানির এলসি খোলার জন্য প্রতি ডলার কিনতে হবে ১০৯ টাকা করে। কয়েকটি ব্যাংক ১০৯ টাকার বেশি দামেও ডলার বিক্রি করছে। আর কিছু ব্যাংক ১০৮ টাকার বেশি থেকে ১০৯ টাকার কাছাকাছি দামে বিক্রি করছে। এর আগে ব্যাংকগুলো আমদানিতে ডলার ১০৭ টাকার বেশি থেকে ১০৮ টাকা করে বিক্রি করতো। সূত্র জানায়, ১ জুন থেকে রপ্তানি আয়ে এক টাকা ও রেমিটেন্সের ডলারের দাম ৫০ পয়সা বাড়ানো হয়েছে। ফলে এখন ব্যাংকগুলো রপ্তানি আয়ের ডলার কিনছে ১০৭ টাকা করে। রেমিটেন্সের ডলার কিনছে ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা দরে। একই দিন থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রির দাম বাড়িয়েছে দেড় টাকা। ফলে তারা এখন ডলার বিক্রি করছে ১০৬ টাকা করে। এসব খাত থেকে ডলার কিনে বানিজ্যিক ব্যাংকগুলো আমদানি ব্যয় মেটায়। ফলে আমদানিতেও ডলারের দাম বেড়েছে। ডলার কেনার গড় খরচের সঙ্গে তুলনা করে আমদানিতে দাম নির্ধারন করা হয়। রেমিটেন্স, রপ্তানি আয় ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলারের দাম বাড়ানোর ফলে এখন ডলার কেনার খরচও বেড়ে গেছে। যে কারণে ব্যাংকগুলো আমদানিতেও ডলারের দাম বাড়িয়েছে। সোমবার সরকারি খাতের অগ্রণী ব্যাংক আমদানিতে ডলার বিক্রি করেছে ১০৯ টাকা ৮ পয়সা, রূপালী ব্যাংক ১০৯ টাকা, সোনালী ব্যাংক ১০৮ টাকা ৮৩ পয়সা, জনতা ব্যাংক ১০৮ টাকা ৯০ পয়সা দরে বিক্রি করেছে। এছাড়া বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্য এনআরবি ব্যাংক ১০৯ টাকা ৪ পয়সা, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ১০৯ টাকা ৫ পয়সা, আল আরাফাহ ইসলামি ব্যাংক ১০৯ টাকা ১৯ পয়সা দরে বিক্রি করেছে। অন্য ব্যাংকগুলোর ১০৯ টাকার কাছাকাছি দামে ডলার বিক্রি করেছে। এর মধ্যে প্রিমিয়ার ব্যাংক ১০৮ টাকা ৮৫ পয়সা, সাউথ বাংলা ব্যাংক ১০৮ টাকা ৯৯ পয়সা, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ১০৮ টাকা ৯২ পয়সা, সিটিজেন ব্যাংক ১০৮ টাকা ৯৫ পয়সা দরে বিক্রি করেছে। আমদানিতে ডলারের দাম বাড়ানোর ফলে এসব পণ্যের খরচ বেড়ে যাবে। দেশেও এগুলোর দাম বাড়বে। এর প্রভাবে অন্যান্য পণ্যের দামও বাড়বে। ফলে মূল্যস্ফীতির হারে আরও চাপ পড়বে। এদিকে নগদ ডলারের দামও গড়ে এক টাকা বেড়েছে। এখন সর্বোচ্চ ১১১ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। আগে সর্বোচ্চ ১১০ টাকা করে বিক্রি হতো। তবে বেশির ভাগ ব্যাংক নগদ ডলার ১০৯ টাকা করে বিক্রি করছে। কিছু ব্যাংক ১১০ টাকা করেও বিক্রি করছে।